দ্বীন বা ধর্মীয় কাজে বিভক্তির মূল কারণ হকের (সঠিক) পথ ছেড়ে বিচ্যুত ব্যক্তির অনুসরণ করা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আবদুল মালেক। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জুমার বয়ান এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, এই বিভক্তি দূর করে একতাবদ্ধ হওয়ার জন্য একমাত্র সমাধান হচ্ছে সেই পথ ছেড়ে হকের পথে ফিরে আসা। উলামায়ে কেরামের রাহবারি ও নির্দেশনা মেনে কাজ করা।
তিনি বলেন, আমাদেরকে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে, যেনো আল্লাহ আমাদের অন্তরগুলোকে হক (সত্য) গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে দেন।
আরও পড়তে পারেন-
- উলামায়ে কেরামের প্রতি মুফতি শফী (রাহ.)এর দরদমাখা নসিহত
- কম্পিউটার চিপ শিল্প: জলবায়ুর উপর ফেলছে ভয়ঙ্কর প্রভাব
- ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করে ইসরায়েল
- ব্যতিক্রমী এক ইসলামী আইন গবেষক
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
বায়তুল মোকাররমের খতিব বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে তাদেরকে প্রতিহত করা জরুরি। যে কোনো অপরাধই জুলুম, তবুও আল্লাহ বিশেষভাবে জুলুমের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তোমরা অপরাধ এবং জুলুমের পক্ষে সহযোগিতা করো না।’ জালেমদেরকে সমর্থন করা বা সহযোগিতা করা জায়েজ নেই। এবং উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা আবশ্যক।
জুমার বয়ানে মাওলানা আবদুল মালেক শীতকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে বলেছেন, হাদিসে শীতকালকে মুমিনের বসন্তকাল বলা হয়েছে। এ সময় দিন ছোট এবং রাত বড় হয়। তাই সালফে সালেহীনে দিনে রোজা রেখে রাত জেগে ইবাদত করতেন। মুত্তাকী হওয়ার জন্য আমাদেরকে এই চর্চায় অভ্যস্ত হতে হবে। আমরা যদি রাতের প্রথম ভাগে ঘুমিয়ে যাই তাহলে স্বাভাবিকভাবেই শেষ রাতে উঠতে পারবো ইনশাল্লাহ।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ