টংগী ইজতেমা ময়দানে মানুষ জবাই করে দেয়া আর মানুষের হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার নাম তবলিগ না। এ ধরনের হত্যাযজ্ঞের নাম একরামুল মুসলেমিন না। তাবলিগ হচ্ছে ঈমান আমল শিক্ষা দেয়ার নাম। শরীয়তের খেলাপ এমন কোনো কাজ তাবলিগের নামে করা যাবে না। আক্রমণাত্মক কথা বার্তা বলা যাবে না। এক লোক গোমরাহির কথা বলে; নবী রাসূল (সা.)-এর সমালোচনা করে তাকে বাংলাদেশে আনতে এতো পাগল হতে হবে কেন? এটা গোমরাহির তাবলিগ। গোমরাহির তাবলিগ গ্রহণযোগ্য নয়। মসজিদ আল্লাহর ঘর। ইবাদতের ঘর। মসজিদ দখল করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হবে আর বলবেন আমরা বৈষম্যের শিকার। এটা হতে পারে না।
আজ (১০ জানুয়ারী) শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে এসব কথা বলেন।
খতিব বলেন, মসজিদ মাদরাসা তৈরির জন্য সরকারি খাস জমি হলেও সরকারের অনুমতি নিয়ে তৈরি করতে হবে। ছহি তরিকার ভিত্তিতেই আল্লাহর ঘর মসজিদ তৈরি করতে হবে। কেউ আল্লাহর ঘর মসজিদ তৈরিতে সামান্যতম অর্থ দিয়ে শরীক হলে আল্লাহ জান্নাতে তাকে একটি ঘর তৈরি করে দিবেন। মসজিদ মাদরাসায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ইবাদত বন্দেগি ও কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়। তাই মসজিদ মাদরাসায় আল্লাহর রহমন নাযিল হয়।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
খতিব বলেন, আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করে সবাইকে লক্ষ্য করে বলেন, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় করো। রবের সব বিধান মেনে চলো। ওই দিনের ভয় করো যে দিন ছেলে বাপের কোনো কাজে আসবে না বাপ ছেলের কোনো কাজে আসবে না। দুনিয়াতে কোনো সমস্যা পড়লে ওপর থেকে ফোন আসে আর হাশরের দিনে যত বিপদই আসুক ওই দিন ওপর থেকে কোনো ফোন আসবে না।
খতিব বলেন, সন্তানদের যদি নেক সন্তান বানাতে পারেন এবং সদকায়ে জারিয়া কিছু করে যেতে পারলে মৃত্যুর পরেও নেকি পাওয়া যাবে।
খতিব বলেন, যে কোনো জনকল্যাণমূলক কাজের ছওয়াব মৃত্যুর পরেও জারি থাকবে। আল্লাহ সবাইকে হাশরের দিনের প্রস্তুতি নেয়ার তৌফিক দান করুন। (আমিন)।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ