স্বৈরতন্ত্রের শিকর উপড়ে ফেলার প্রত্যয়ে ৩৬ দিনের “চেতনায় জুলাই” কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দলটির নিয়মিত বৈঠকের পরে এক বিবৃতিতে মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২৪ এর জুলাই আমাদের ইতিহাসের অম্লাম এক স্মৃতি। একই সাথে বেদনা ও প্রতিজ্ঞার উপলক্ষ্য। স্বাধীন দেশে একটা নির্দিষ্ট সময়কালে এতগুলো মানুষ যাদের অধিকাংশই তরুণ মারা যাওয়া আমাদের জন্য বেদনা ও কষ্টের অনুভূতি তৈরি করে। এই কষ্ট ও বেদনার নীল আরো গাঢ় হয়ে আসে যখন তাদের আত্মহুতির এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও সংস্কার ও বিচার সম্পন্ন না করার বাস্তবতা সামনে আসে। জুলাইয়ে এই সূচনাকালে বেদনার্ত হৃদয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সাথে তাদের শাহাদাতের লক্ষ সংস্কার ও বিচার বাস্তবায়ন করার প্রতিজ্ঞা করছি।
ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব বলেন, জুলাইয়ের চেতনা ছিল দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ী উৎখাত করা। সেই চেতনাকে জনমনে স্থায়ী করার জন্য ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৩৬ দিনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
কর্মসূচিসমূহ হলো, স্বৈরাচারের ১৫ বছরের অপরাধের খতিয়ান ও তা প্রতিরোধে ইসলামী আন্দোলনের কার্যক্রম দেশব্যাপী তুলে ধরে স্বৈরাচারের স্মৃতির প্রতি ঘৃণ্যা অব্যাহত রাখা। শহীদ ও আহত পরিবারের খোঁজ-খবর নেয়া, হাদিয়া ও সম্মাননা দেয়া। শহীদদের কবর জেয়ারত করা ও দোয়ার আয়োজন করা। ৫ আগস্ট সারাদেশে আওয়ামী নিপিড়নের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা এবং বিভাগীয় শহরে গণমিছিল আয়োজন করা। ২৫ জুলাই ঢাকায় যুব জমায়েত। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্বে “ভয় নাই-প্রতিবাদেই মুক্তি” শিরোনামে বিক্ষোভ মিছিল। জুলাইয়ের চেতনা বাস্তবায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ এবং আগামী ১ আগস্ট জেলা, থানা শহরে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও গণমিছিল।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
এছাড়াও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, যুব আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন নিজস্ব আয়োজনে ৩৬ দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে।
এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব দেশবাসীর সহায়তা ও সমর্থন কামনা করেন এবং জুলাইয়ের চেতনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে সমর্থন ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, এবিএম জাকারিয়া, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাজী শেখ মুহাম্মাদ নুর উন নাবী, মাওলানা মনসুর আহমদ সাকী প্রমুখ।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ