চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা মুফতি হাফেয আহমাদুল্লাহ (রহ.)এর ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক হযরত আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী কুরাইশী (দা.বা.)।
আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) রবিবার প্রদত্ত এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মরহুম আল্লামা মুফতি হাফেজ আহমাদুল্লাহ সাহেব (রহ.) দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রবীণ আলেমদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালে চট্টগ্রামের পটিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি জামিয়া আশরাফিয়া, লাহোর ও খাইরুল মাদারিস থেকে শিক্ষা লাভ করেন। পাকিস্তানের দারুল উলুম করাচী থেকে তিনি মুফতি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে দেশে ফিরে তিনি আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি মাদ্রাসায় অধ্যাপনা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান মুফতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আল্লামা আবদুল হালিম বুখারী (রহ.)এর ইন্তিকালের পর জামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদিসের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দরস দিয়ে যান। আল্লামা মুফতি আহমাদুল্লাহ (রহ.) ইসলামিক ফিকহ একাডেমি বাংলাদেশ এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের নেতৃত্বের সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও, তার উল্লেখযোগ্য কিছু গ্রন্থ ও অনুবাদ রয়েছে, যার মধ্যে “মাশায়েখে চাটগামী” ও “যুগোপযোগী দশ মাসায়েল” অন্যতম।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
শোক বার্তায় আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.) আরো বলেন, মরহুম মুফতি আহমাদুল্লাহ সাহেব ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। ঈমান-আক্বিদার বিষয়সহ দ্বীনি যেকোন বিষয়ে প্রায়ই আমার সাথে কথা বলতেন ও মতবিনিময় করতে। জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর প্রতিও তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা ছিল। হাটহাজারীতে যখনই আসতেন, মরহুম হযরত আমার রুমে কিছু সময় না কাটিয়ে যেতেন না। বিভিন্ন দ্বীনি বিষয়ে ও ইলমি বিষয়ে আলোচনা করতেন। তাঁর বহুমুখী দ্বীনি খিদমত ও অবদান আগামীতে দ্বীনের দায়ী ও উলামায়ে কেরামের জন্য অনুপ্রেরণার খোরাক হয়ে থাকবে। এভাবে তাঁকে হঠাৎ হারিয়ে ফেলবো, কখনো ভাবিনি। আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাঁর এই ইন্তিকালে ইলমি ও দাওয়াতী অঙ্গনে যে বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা সহজে পুরণ হবার নয়।
শোকবার্তায় আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী (দা.বা.) মরহুম আল্লামা মুফতি আহমাদুল্লাহ (রহ.)এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে জান্নাতে মরহুমের উঁচু মাক্বামের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। পাশাপাশি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, জামিয়া পটিয়ার সকল শোকাহত শিক্ষক-ছাত্র এবং অগণিত শাগরিদ-ভক্তদের প্রতি প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ