অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতের পথে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা হবে “জাতির নবজন্মের মহোৎসব”।
শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ইউনূস বলেন, শুরুতে কমিশনের টিকে থাকা নিয়ে সংশয় ছিল, তবে এখন এর আলোচনায় যে অগ্রগতি এসেছে তা ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোর জন্যও অনুসরণীয় হয়ে উঠবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “ছোটখাটো বিষয়ে আটকে গিয়ে আমরা যেন বড় জিনিস হারিয়ে না ফেলি। জাতির সামনে আর কোনো বিকল্প পথ নেই। এই সমতায় আমাদের আসতেই হবে। এটি ছাত্র-জনতার দেয়া সুযোগ, যেখান থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
প্রধান উপদেষ্টা আলাদিনের প্রদীপের উপমা টেনে বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশের সামনে এক বিরল সুযোগ এনে দিয়েছে। “এই সুযোগ একবারই এসেছে, আর আসবে না। আমরা চাইলে ক্ষুদ্র স্বার্থে ব্যয় করতে পারি, আবার চাইলে পুরো জাতিকে নতুনভাবে গড়তে পারি।”
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের মূল লক্ষ্য হলো স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবেশের সব পথ বন্ধ করা। “নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়, এটি হবে নবজাগরণ। একমত হয়েই আমাদের নির্বাচনে যেতে হবে, তাহলেই জাতির ত্যাগ-আত্মাহুতি সার্থক হবে।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার।
উম্মাহ২৪ডটকম:আইএএ