ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বরতায় গাজা উপত্যকায় আরো ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাংবাদিক, নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। সোমবার দিনভর নির্বিচারে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে গাজা সিটির বিভিন্ন ভবন মাটির সাথে মিশে গেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ভোর থেকে শুরু হওয়া হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-কুফি, আল-আকসা টিভির সম্প্রচার প্রকৌশলী আয়মান হানিয়ে ও সাংবাদিক ইমান আল-জামিলির নাম উল্লেখ করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্স জানিয়েছে, খাদ্য সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ইসরাইলি গুলিতে দক্ষিণ খান ইউনিসে আরো পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত গাজায় অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২৫ জনে, যার মধ্যে ১২৫ শিশু রয়েছে।
অন্যদিকে কাতারের রাজধানী দোহায় জরুরি আরব-ইসলামী সম্মেলনে একজোট হয়ে নিন্দা জানায় মুসলিম দেশগুলো। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে ইসরাইলের হামলাকে ‘প্রকাশ্য, কাপুরুষোচিত ও বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ আগ্রাসন’ বলে আখ্যা দেন।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও কাতারের আমির শেখ তামিম একত্রে উপস্থিত থেকে মুসলিম বিশ্বের সংহতির বার্তা দেন।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেন, ‘যেকোনো ভাইয়ের ওপর আঘাত মানেই আমাদের সবার ওপর আঘাত।’
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানি প্রস্তাব দেন, জাতিনসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক মহলে বার্তা পৌঁছাতে যৌথ আরব-ইসলামী কমিটি গঠনের।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ইসরাইলকে ‘লোভী ও রক্তপিপাসু মানসিকতার’ বলে অভিহিত করে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, ইসরাইলের আগ্রাসন সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেন, ‘যেকোনো ভাইয়ের ওপর আক্রমণ মানেই আমাদের ওপর আক্রমণ।’
তিনি আরো বলেন, দোহায় সংঘটিত আগ্রাসনের আসল লক্ষ্য হলো মধ্যস্থতার ধারণা এবং সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের নীতি।
আরব লিগ মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত ইসরাইলকে ‘দস্যু রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘অপরাধের প্রতি নীরবতাও একটি অপরাধ।’
ওআইসি মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা কাতারের প্রতি পূর্ণ সংহতি ঘোষণা করে ইসরাইলবিরোধী কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
উম্মাহ২৪ডটকম:আইএএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com
দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।