আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পদক্ষেপ কার্যকর হলে আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রম ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ওয়াশিংটন এরইমধ্যে আইসিসির কয়েকজন বিচারক ও প্রসিকিউটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এবার আইসিসির বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আইসিসির বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে আলোচনার জন্য আদালতের কর্মকর্তারা এরইমধ্যে জরুরি অভ্যন্তরীণ বৈঠক করেছেন। আর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকরাও এ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, আইসিসি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের ওপর ‘অবৈধ এখতিয়ার’ দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র সদস্যদের সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত আরো পদক্ষেপ নেবে।’
তিনি আরো জানান, ‘আইসিসির সামনে কাঠামোগত পরিবর্তন আনার সুযোগ রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আইসিসি আমাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি হিসেবে কাজ করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সেনা সদস্য এবং অন্যদের সুরক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেবে।’
আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে ব্যাংকিং সেবা, সফটওয়্যার ব্যবহার এমনকি কর্মীদের বেতন পরিশোধেও সমস্যা হতে পারে। সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে আদালতের কর্মীদের ২০২৫ সালের বাকি সময়ের বেতন আগাম পরিশোধ করা হয়েছে বলে তিনটি সূত্র জানিয়েছে। পাশাপাশি বিকল্প ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও সফটওয়্যার সরবরাহকারীর সন্ধান করছে আইসিসি।
হেগভিত্তিক এই আদালত সম্প্রতি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাসের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ