Home শিক্ষা ও সাহিত্য ক্বাওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা: জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক

ক্বাওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা: জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক

।। ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসেন ।।

প্রাক কথাঃ দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে চরমভাবে হতাশ করেছে। নৈতিকতার অভাব, সন্ত্রাস, হত্যা, ছাত্রী ধর্ষণ, শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্কে নাড়া দিয়েছে প্রচন্ডভাবে। যে শিক্ষা ব্যবস্থায় মানবিকতার উজ্জীবন হয় না, নৈতিকতার উৎকর্ষ সাধিত হয়না বরং মানুষকে পশুত্বের পর্যায়ে নিয়ে যায়, সে শিক্ষা কোন ক্রমেই একটি আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতির কাম্য হতে পারে না। লেজুড় ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি শিক্ষাঙ্গণের সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশকে কলুষিত করে দিয়েছে। রাজনৈতিক নেতারা যেমন তাদের দলীয় স্বার্থে ছাত্রদের ব্যবহার করে তেমনি ছাত্ররাও দলীয় ব্যানারের ছত্র ছায়ায় চাঁদাবাজি, পার্সেন্টেজ গ্রহণ, সন্ত্রাস ইত্যাকার অবৈধ সুযোগ গ্রহণ করে থাকে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অতি মাত্রায় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশকে বিঘ্নিত করেছে, এতে মোটেই সন্দেহ নেই।

ত্রিধারা শিক্ষাঃ আমাদের দেশে ত্রিধারা শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিতঃ সরকারী, বেসরকারী ও কাওমী। সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা মূলতঃ তৎকালীন ইংরেজ কর্তৃক প্রবর্তিত। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত ব্যক্তিগণ রক্ত মাংসে বাংলাদেশী হলেও ধ্যান ধারণা ও চিন্তা চেতনায় ইংরেজ। এখানেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের কামিয়াবী। রাজনৈতিকভাবে তারা এদেশ ছেড়ে চলে গেলেও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে তাদের উত্তরাধিকারী রেখে গেছে। ইংরেজের প্রবর্তিত ও ইংরেজ পদ্ধতিতে প্রচলিত এ শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার অনুপস্থিতি ছাত্রদেরকে খোদা বিমুখ করেছে এবং মুক্তি দিয়েছে পরকালীন জবাবদিহিতার বন্ধন থেকে। সঙ্গত কারণে শিক্ষার্থীগণ বেপরোয়া হয়ে রক্ত ঝরাচ্ছে শিক্ষাঙ্গণে। আমাদের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করে কয়েক বার বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগপূর্ণ বক্তব্যে এ কথা স্পষ্ট যে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতির আশা-উদ্দীপনার প্রতিফলন নেই।

উল্লেখ্য যে, ইংরেজরা নিজেদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নৈতিকতা ও প্রযুক্তিগত একটি মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে, যেটা আমরা পারিনি। সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা ও গবেষণা ছাড়া অন্য কিছু কল্পনা করা যায় না। নির্দিষ্ট সময়ে সেমিষ্টার শেষ করা ইউরোপীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট। লেজুড় ভিত্তিক রাজনীতি, হরতাল, নকলের দাবীতে মিছিল সেখানে অকল্পনীয়। ইউরোপীয় দেশে এমনকি পার্শ্ববর্তী ভারতে ছাত্রদেরকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করাটাকে রাজনীতিবিদগণ অপরাধ মনে করেন।

আমাদের দেশে ক্ষমতার মঞ্চে আরোহনের জন্য ছাত্র সংগঠন হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সোপান। সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দীন আহমদ বেশ ক’বার পরীক্ষামূলকভাবে ছাত্র-রাজনীতি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে সম্মিলিত প্রয়াস নেয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানালেও কেউ এগিয়ে আসেনি। কারণ রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন, ছাত্র সংগঠন ও ছাত্র ক্যাডার ছাড়া ক্ষমতায় আরোহণ করা দুরূহ। গর্হিত রাজনীতির শিকার হয়ে অনেক মেধাবী ছাত্র তাদের উজ্জ্বল একাডেমিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে।

আলীয়া পদ্ধতির শিক্ষাঃ আলীয়া পদ্ধতির যে শিক্ষা ব্যবস্থা ভারত ও বাংলাদেশে চালু আছে তার পাঠ্যক্রম এক সময় সক্ষম আলিম সৃষ্টি করেছে বটে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনের ফলে আলীয়া মাদ্রাসার সিলেবাসে পরিবর্তন এসেছে। আধুনিক বিষয়াবলীর আধিক্যের ফলে ইসলামী বিষয়াবলী গৌণ হয়ে পড়েছে। রাজনীতি চর্চা, বেপরোয়া নকল, লেবাস-পোষাকে পরিবর্তন, দাড়ি কর্তন ইত্যাদির ফলে আলীয়া মাদ্রাসাগুলো তাদের অতীত ঐতিহ্য হারিয়ে এখন নিস্প্রভ হয়ে গেছে। আলীয়া মাদ্রাসার অনেক ছাত্রকে দেখে পার্থক্য করা যায়না যে, তারা কি মাদ্রাসায় পড়ুয়া না কলেজের ছাত্র। দাখিল ও আলিম পাশ করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকাতে আলীয়া মাদ্রাসার মেধাবী শিক্ষার্থীগণ ফাজিল ও কামিল পড়ার জন্য আর মাদ্রাসায় থাকতে চায়না। এ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় মুখীতা আলীয়া মাদ্রাসাগুলোকে বলতে গেলে প্রায় ছাত্র শণ্য করে দিয়েছে। যারা থাকে, তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়েই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যায়। তবে এর ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। কিছু মেধাবী ছাত্র এমনও আছে, যাদের অভিভাবকগণ তাদেরকে শুধু দ্বীনে ইলম হাসিলের জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না করিয়ে কামিল পর্যন্ত মাদ্রাসায় পড়ার ব্যবস্থা করেন। এ ধরণের ছাত্র সংখ্যা কিন্তু অতি অল্প। আলীয়া মাদ্রাসার এ পরিবর্তিত পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে আলীয়া মাদ্রাসাগুলো জাতির আশা আকাখা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। কুরআন, হাদীস ও আরবী সাহিত্য পড়াতে সক্ষম এমন লোক আলীয়া মাদ্রাসা থেকে অত্যন্ত কম সৃষ্টি হচ্ছে।

ক্বাওমী পদ্ধতির শিক্ষাঃ অন্যদিকে ক্বাওমী পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, প্রচলিত আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার তুলনায় সেখানে নৈতিক মান সম্পন্ন জনগোষ্ঠী তৈরী হচ্ছে। বলতে গেলে আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির বিয়াবানে ক্বাওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা মরুদ্যানের মতো স্নিগ্ধ, সুরভিত ও প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরা। তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্টগুলো নিয়ে আলোচনা করছি-

১। ক্বাওমী মাদরাসায় ধর-মার-কাট ধারার রাজনীতি চর্চা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফলে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি নেই। একদল অপরকে ঘায়েল করার জন্য কোন রক্তক্ষয়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই।

২। ক্বাওমী মাদ্রাসায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড একেবারে অনুপস্থিত। ছাত্রদের মধ্যে কোন বিবাদ-বিসম্বাদ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক বিচার করে অপরাধীকে যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়; প্রয়োজনে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।

৩। অধিকাংশ ক্বাওমী মাদ্রাসায় আবাসিক ব্যবস্থা চালু আছে। ছাত্রদেরকে হোষ্টেলে রেখে বিজ্ঞ শিক্ষকদের তত্বাবধানে তাদের পাঠদান ও চারিত্রিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

৪। মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ কাজগুলো ছাত্রদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে করানো হয়, যাতে পরবর্তী জীবনে আত্মনির্ভরশীল হয়ে যোগ্যতার সাথে কাজ করার গুণ ছাত্রদের মাঝে গড়ে উঠে।

৫। ক্বাওমী মাদ্রাসাগুলো সরকারী কোন সাহায্য ও অনুদান নেয় না। দেশ-বিদেশের সর্বস্তরের মুসলমানদের অর্থায়নে এ সব প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। সরকারের অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্যই এ প্রয়াস।

৬। প্রায় ছাত্রদেরকে মাদ্রাসার পক্ষ হতে বিনা বেতনে অধ্যয়ন, ফ্রি আবাসন ও আহারের ব্যবস্থা করা হয়।

৭। শিক্ষকগণ দ্বীনি ইলমের বিকাশের স্বার্থে সামান্য বেতন নিয়ে পাঠদান করে থাকেন।

৮। ক্বাওমী মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষকদের সম্পর্ক অত্যন্ত আন্তরিক ও সুমধুর। অনেকটা গুরু-শিষ্যের ন্যায়।

৯। ক্বাওমী মাদ্রাসার ছাত্রগণ আধুনিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভদ্র, শালীন, মার্জিত ও বিনয়ী হয়ে থাকে।

১০। ক্বাওমী মাদ্রাসায় প্রয়োজনীয় বাংলা, ইংরেজী, অংক ও ভূগোল শিক্ষা দেয়া হয়, যাতে পরবর্তীতে এ বিষয়াবলীর উপর আরো উচ্চতর শিক্ষা নেয়া যায়।

১১। ক্বাওমী মাদ্রাসাসমূহ বার্ষিক সম্মেলন-মাহফিল করে জনগণের সাথে তাদের সম্পর্ক নবায়ন করে এবং শিক্ষা সমাপনকারী ছাত্রদের সম্মান সূচক পাগড়ী প্রদান করা হয়। এটা অনেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের মতো।

১২। প্রতিষ্ঠিত ক্বাওমী মাদ্রাসাগুলোতে দাওরায়ে হাদীস পাশ করা ছাত্রদের জন্য ইসলামী সাহিত্য ও বাংলা বিভাগের অধীনে এক/দু’বছর ব্যাপী বিশেষ কোর্স চালু রয়েছে। এ বিভাগে বাংলা, ইংরেজী সাহিত্য, গ্রামার, ইতিহাস, ভূগোল, প্রবন্ধ রচনা, সাংবাদিকতা ও অংক শিক্ষা দেয়া হয় পূর্ণকালীন ও খন্ডকালীন শিক্ষকের মাধ্যমে।

১৩। প্রতিষ্ঠিত ক্বাওমী মাদ্রাসাসমূহ নিয়মিত মাসিক সাহিত্য ও ধর্মীয় পত্রিকা বের করে থাকে, যার মাধ্যমে ইসলামী সাহিত্য সৃষ্টি, ধর্মীয় প্রশ্নাবলীর জবাব ও দাওয়াতী পরিবেশ গড়ে উঠছে। এ সব জার্নালের মাধ্যমে ইসলামী ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একদল লেখক গোষ্ঠী তৈরী হচ্ছে, যারা সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।

শেষ কথাঃ উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে একথা স্পষ্ট হয়েছে যে, ক্বাওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত রাষ্ট্রীয় শিক্ষা কাঠামোর বাইরে একটি স্বতন্ত্র শিক্ষাধারা; একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম; দ্বীনের পথে নিবেদিত প্রাণ সৈনিক গড়ার এক সুরক্ষিত দূর্গ। দারুল উলূম দেওবন্দের শিক্ষাধারায় বাংলাদেশের নগরে জনপদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপিত হাজার হাজার ক্বাওমী মাদ্রাসা শতাব্দী কাল ধরে কুরআন-হাদীসের জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে ইলমে দ্বীনের মশালকে প্রজ্জ্বলিত ও অনির্বাণ রেখেছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞ আলিম, মুহাদ্দিস, মুফতী, মুনাজির তথা আল্লাহর পথে দাওয়াত দানকারীদের একটি উল্লেখযোগ্য জামায়াত বেরুচ্ছে।

পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের ক্বাওমী মাদ্রাসাগুলো ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দেরই এদেশীয় সংস্করণ। বাংলাদেশের ক্বাওমী মাদ্রাসাগুলোর অনেক নবীন ও প্রবীণ শিক্ষক দারুল উলূম দেওবন্দের ডিগ্রী প্রাপ্ত। মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম প্রায় এক ও অভিন্ন।

দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবোত্তর পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং মুসলমানদের ধর্মীয় সামাজিক জীবন থেকে শিরক-বিদআতের জঞ্জাল দূর করার মহান উদ্দেশ্যে। দারুল উলুম দেওবন্দ সরেজমিনে পরিদর্শন করে একজন ভারতীয় প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী ও সাংবাদিক যে মন্তব্য করেছেন প্রাসঙ্গিকতার কারণে পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা নিবেদন করছি। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী শ্রী বিশ্বনাথ দাশ বলেন-

‘‘দারুল উলূমের শিক্ষাক্রম প্রাচীন কালের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যেখানে গুরু নিজের শিষ্যদের খাদ্য ও আবাসের ব্যয় ভার বহন করতো। বর্তমান কালে যে শিক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তিত রয়েছে তাতে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে রূহানী সম্পর্ক নেই; এ পদ্ধতিতে ছাত্র-শিক্ষককে একে অপর থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে। জ্ঞান মানুষের মধ্যে যে বিনয় ও ভদ্রতা সৃষ্টি করে তার সুন্দর উদাহরণ দারুল উলূম দেওবন্দ’’

নয়া দিল্লীর বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক প্রতাপ’ এর সাংবাদিক মিঃ মন মোহন লাল দেওয়ানা একদা দারুল উলূম দেওবন্দ পরিদর্শনে এসে মন্তব্য করেন-

‘‘দারুল উলূম সত্যিকার অর্থে ভারতে দেশ প্রেমের বিরাট এক ইসলামী প্রতিষ্ঠান। যা শতাব্দীরও অধিক কাল ধরে স্বীয় প্রতিষ্ঠাতার পদাংক অনুসরণ করে ভারতের মুসলমানদের সাম্য, প্রেম এবং দেশ ভক্তির পাঠ দিয়ে আসছে। আমাদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঋধংযরড়হধনষব ছাত্রদেরকে দারুল উলূমের শিক্ষার্থীদের নিকট শিক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ। দারুল উলূমের বিস্তৃত অট্টালিকার কোথাও কোন চেয়ার টেবিল চোখে পড়েনি। সমস্ত স্টাফ মাটিতে পাতানো বিছানায় বসে নিজ নিজ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দারুল উলূমে গেলে মানুষ এমন এক দুনিয়ায় পৌঁছে যায়, যেখানে শান্তি ও নিরবতার একচ্ছত্র রাজত্ব।’’

লেখক: প্রখ্যাত আলেম, শিক্ষাবিদ, ইসলামী গবেষক, লেখক ও জনপ্রিয় বক্তা এবং সাবেক বিভাগী প্রধান- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চট্টগ্রাম এমইএস কলেজ।