Home সোশ্যাল মিডিয়া ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী’ এই প্রশ্নটি কেন একটি বড় ঘটনা?

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী’ এই প্রশ্নটি কেন একটি বড় ঘটনা?

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী? এটা বাংলাদেশের সমাজের বড় এক অগ্রগতির লক্ষণ। এ প্রশ্নের বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আছে। বিদ্যমান উৎপাদন সম্পর্ক ও বিদ্যমান শাসক মূল্যবোধগুলো পুনর্রুৎপাদন করাই সকল ধরনের বিদ্যাপীঠের কাজ।

নানান ধরনের বিদ্যাপীঠ আছে। এগুলো সবই রাষ্ট্রেরই ভাবাদর্শিক কলকব্জা। কেবল বিদ্যালয় নয়, ‘পরিবার’ও একই কাজই করে। এ বিষয়ে কোন বিভ্রমে ভোগার সুযোগ নেই।

পরিবার ও বিদ্যালয় ব্যবস্থা মিলেই বর্তমান অসম ‘ব্যবস্থা’ ও অসম্মানজনক সামাজিক ‘সম্পর্ক’গুলো মেনে নিতে, এর মাঝেই ব্যক্তিদের ‘শ্রেষ্ঠ’ ও ‘সফল’ হতে শেখায়। প্রত্যেকে এ পথেই নিজের ভেতর এই ব্যবস্থাকে পুনর্রুৎপাদন করে নেয় বা নিতে চায়। আনুগত্য শেখে। এভাবে পরিবার ও বিদ্যালয় মিলেই সমাজে ‘শান্তি-শৃঙ্খলা’র প্রধান শর্তগুলো তৈরি করে।

অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সম্পর্কে সমাজে-সমাজে, ঘরে-ঘরে বহু কুহক আছে। এগুলোর আসল ভূমিকা আড়াল করে নানান সুশীল গল্প ও মিথ ছড়ানো হয় তাদের সম্পর্কে। এসব গল্প ও মিথ মাড়িয়ে কোন শিক্ষার্থী-তরুণ-তরুণী যখন প্রশ্ন করতে শেখে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ কী হওয়া উচিত এবং সমাজে যখন সেই প্রশ্ন আলোড়ন তোলে, সমাজকে যখন সেই প্রশ্ন ভাবায়– তখন বুঝতে হবে আমরা এগোতে পারবো।

তরুণ তরুণীরা পথ খুঁজে পেতে শিখছে। নতুন ধরনের বিদ্যাপীঠ বানাতে পারবে বাংলাদেশ।

– আলতাফ পারভেজ, দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ে গবেষক।
১৮ সেপ্টেম্বর, দুপুর ১২:০০টার ফেসবুক পোস্ট।
ইমেইল- altafparvez@yahoo.com