Home সোশ্যাল মিডিয়া ‘শেষ পর্যন্ত ভাল’র স্বীকৃতি ম্লান হয়ে গেল’

‘শেষ পর্যন্ত ভাল’র স্বীকৃতি ম্লান হয়ে গেল’

।। আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী ।।

১. আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সাম্প্রতিক কালে অর্থ কেলেংকারী– বিশেষতঃ ক্যাসিনো জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে যে অভিযান শুরু করেছিলেন তার প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে এ অভিযানকে আরো এগিয়ে নিতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এতে তাঁর হৃত ইমেজ ফিরে আসতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলাম। যদিও প্রথম প্রথম আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকসহ অনেকেই এটাকে ছিছকে চুরি বা চুনোপুটিদের কাজ বলেই অভিহিত করেছিলেন।

তবে আমিও একজন চুনোপুটি পলেটিশিয়ান হিসাবে ব্যাক্তিগত ভাবে কিছুটা সফলতার আশাবাদী ছিলাম। ক্যাসিনো চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেননের ব্যাপারেও হয়ত ধীরে সুস্হে সিদ্ধান্ত আসবে বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু সম্রাটকে নিয়েই সরকার যে নাটক দেখাল তাতে বুঝতে আর বাকী থাকলনা যে, এ ব্যাপারে সরকার আর এগোতে পারছে না।

একজন লোক, হোন না তিনি প্রধানমন্ত্রী, সাথীদের সহযোগিতা না পেলে একার পক্ষে বেশী দূর এগুনো সম্ভব নয়। তাঁকে আরো এগোতে দিলে যে, রাঘব বোয়ালদেরও তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই তাঁরা যা করার তাই সেরে ফেলেছেন। কাজেই হৃত ইমেজ মূখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।

২. প্রধান মন্ত্রী গেলেন জাতিসংঘে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাস্তব মুখী ভাষণ দিলেন। তবে কুটনৈতিক তৎপরতায় এগুতে পেরেছেন বলে এখনও পরিষ্কার নয়। এর ব্যর্থতার বড় দায় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর।

৩. বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী গেলেন ভারত। ভারতকে যা দিয়ে এসেছেন, এর জন্য ভারতের উচিত ছিল তাঁকে নিয়ে কমপক্ষে হপ্তা খানেক আনন্দ ফুর্তি করা। কিন্তু তাঁরা তো ফলাফলটা নিয়েও ভাবে। তাই কষ্ট করে ধৈর্য ধারণ করেছে। 

কমপক্ষে তিস্তা থেকে এক- আধ ফোঁটা জল নিয়ে এসেও যদি ফেনী নদীর পানিসহ আরো দু’একটা দিয়ে উদারতার পরাকাষ্ঠা দেখাতেন, তাহলে জাতির সামনে মুখ দেখাবার ভান করা যেত। জনধিক্কার নিয়েই সানাই বাজানো যেত। কিন্তু আবরার হত্যা!! জাতিকে চমকে দিল। 

” আজ গোটা জাতি ঐকমত্য পোষণ করছে যে, ভারতের সাথে সংঘটিত সাম্প্রতিক চুক্তি দেশ বিক্রির একতরফা চুক্তি। বঙ্গবন্ধু এজন্য দেশ স্বাধীন করেন নি।”