Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন বিবর্তনের ভ্রান্ত দর্শন এবং প্রাসঙ্গিক পর্যালোচনা (৩)

বিবর্তনের ভ্রান্ত দর্শন এবং প্রাসঙ্গিক পর্যালোচনা (৩)

[পূর্ব প্রকাশিতের পর]

আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণাদি

১. ইমাম আবু হানীফা রাহ. এর সাথে একবার নাস্তিকদের বিতর্ক হলো, বিতর্কের দিন হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হলো, নাস্তিকরাও এসে উপস্থিত। কিন্তু সারা দিন চলে যাচ্ছে, ইমাম সাহেবের কোনো খবর নেই। অনেক অপেক্ষার পর ইমাম সাহেব আসলেন। তিনি এসে বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করে বললেন- আমার আসার পথে একটি নদী পড়ে। কোনো নৌকা না থাকায় কিছু সময় অপেক্ষা করলাম। পরে দেখি একটা গাছ তক্তা হয়ে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যে তক্তাগুলো নিজে নিজে এক সাথে মিলে নৌকা হয়ে গেল। অতঃপর নদীতে গিয়ে এপার ওপারে মানুষ পারাপার আরম্ভ করল। এই নৌকা দিয়ে পার হয়ে আসলাম। এ কারণেই আসতে বিলম্ব হয়ে যায়।

নাস্তিকরা বলল, আপনার মত একজন বিজ্ঞজনের এধরণের মিথ্যা বেহুদা কথা বলা উচিত নয়। এই হাজার হাজার শ্রোতাদের কেউ কি একথা বিশ্বাস করবে যে, এমনিতেই গাছ তক্তা হয়ে গেল, আবার নৌকা হয়ে গেল কোনো মিস্ত্রী ছাড়া, আবার কোনো লোক ছাড়াই মানুষ পার করা আরম্ভ করল?

নাস্তিকের উত্তর শুনে ইমাম সাহেব  বললেন, একটা নৌকা এবং তার পরিচালনা যদি মিস্ত্রী ও মাঝি ছাড়া সম্ভব না হয়, তাহলে পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, গাছ-পালা, ফল-ফুল দ্বারা সজ্জিত এই পৃথিবী সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এমনিতেই হয়ে গেল? নিশ্চয়ই না! 

বিতর্কে ইমাম সাহেবের বিজয় হলো, নাস্তিকরা পরাজিত হলো।

২. যানবাহনের অস্তিত্ব যদি তৈরীকারী ছাড়া না হতেও পারে, তাহলে সেই তৈরীকারী কখনও সৃষ্টিকর্তা ছাড়া হতে পারে না। যানবাহন তৈরী সহজ, মানুষ তৈরী কঠিন। সহজটাই এই বিবর্তনের গতিতে হতে পারে না, অথচ কঠিনটা হয়ে যায়, তা পাগলের প্রলাপ।

৩. শহর বন্দর ও হাট বাজার যদি বিবর্তনের ফসল না হতে পারে, তাহলে তার তৈরিকারক মানুষও বিবর্তনের ফসল হতে পারে না, বরং সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি- তিনি হলেন আল্লাহ। هو الله الخالق البارئ.

৪. বিল্ডিং অট্টালিকা নিশ্চয়ই ইঞ্জিনিয়ার ও রাজমিস্ত্রীর তৈরী, পাগল ছাড়া কেউ তা অস্বীকার করতে পারবে না। তদ্রƒপ ইঞ্জিনিয়ার ও রাজমিস্ত্রীও আরেক জনের তৈরী, তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না- সেই জনের নাম হলো আল্লাহ।

বিবর্তনের ভ্রান্ত দর্শন এবং প্রাসঙ্গিক পর্যালোচনা (প্রথম পর্ব পড়ুন)

৫. তাঁতি ছাড়া তাঁত ও তাঁতের কাপড় তৈরি যদি অসম্ভব হয়, তাহলে নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া তাতির অস্তিত্বও অসম্ভব। এই সৃষ্টিকর্তা হলেন আল্লাহ।

৬. বিবর্তনের মতবাদ ন্যাচারাল নয় বরং ডারউইন-ল্যামার্ক-এম্পেডোক্লিসগণের আবিষ্কৃত। তাহলে নিশ্চয়ই তাদেরও কোনো আবিষ্কারক আছেন। তিনিই হলেন আল্লাহ।

৭. গাভীর দুধ গাভী ছাড়া অসম্ভব। গাভীও সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অসম্ভব। তিনিই হলেন আল্লাহ।

৮. হরিণের মৃগনাভি হরিণ ব্যতিত অসম্ভব, তাহলে হরিণও সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অসম্ভব। তিনি হলেন আল্লাহ।

৯. স্যাটেলাইট, টেলিভিশন, ল্যাপটপ ও মোবাইল বিবর্তনের ফসল হিসেবে অটোমেটিক হয়ে যায়নি। তাহলে নিশ্চয়ই তার আবিষ্কারকরাও অটোমোটিক হয়ে যায়নি। তাদেরও আবিষ্কারক আছে। তিনিই হলেন আল্লাহ।

১০. হাতির পায়ের চিহ্ন দেখে আদৌ কোনো পাগল বলবে না, যে হাতি ছাড়াই অটোমেটিক এই চিহ্ন হয়ে গেছে। বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখে কেউ বলবে না যে এ চিহ্ন অটোমেটিক হয়ে গেছে। একটা পায়ের চিহ্ন দেখে যদি হাতি ও বাঘের অস্তিত্ব মেনে নিতে বাধ্য, তাহলে হাতি ও বাঘ দেখে তার সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করবো কোন যুক্তিতে? তিনিই হলেন আল্লাহ।

১১. মাকড়শার জাল যদি মাকড়শা ছাড়া অসম্ভব হয়, তাহলে মাকড়শাও সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অসম্ভব। তিনিই হলেন আল্লাহ।

১২. মৌমাছি ব্যতিত মধুর কল্পনা করা যায় না। তদ্রুপ সৃষ্টিকর্তা ব্যতিত মৌমাছিরও কল্পনা করা যায় না। এই সৃষ্টিকর্তা হলেন আল্লাহ।

১৩. লক্ষাধিক নবী-রাসূল যারা নিষ্পাপ, সত্যবাদী, বিজ্ঞানীদের চেয়ে হাজার গুণ বেশি জ্ঞানের অধিকারী, তারা বলছেন পুরো জগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ।

১৪. পৃথিবীর সকল মুসলমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদী বলেন, জগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ।

১৫. হিন্দু, বৌদ্ধসহ অনেক জাতি বলে, সৃষ্টিকর্তা আছেন, তবে একাধিক।

১৬. পৃথিবীর সকল ধর্মগ্রন্থে আছে, সৃষ্টিকর্তা ছাড়া জগতের কিছুই সৃষ্টি হয়নি।

১৭. ঝাড়বাতি, ঝিনুক, লাইট বিবর্তনের মাধ্যমে এমনিতেই পাওয়া যাওয়া যদি সম্ভব না হয়, তাহলে লক্ষ লক্ষ তারকারাজি ও গ্রহ নক্ষত্র কোনো সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অস্তিত্বে আসার কোনো কল্পনাই করা যায় না। তিনিই হলেন আল্লাহ।

১৮. হাজার ভোল্টের লাইট যদি বিবর্তনের মাধ্যমে অস্তিত্ব লাভ করতে না পারে তাহলে বিবর্তনের মাধ্যমে সূর্যের অস্তিত্বের কল্পনা করা যায় না। নিশ্চয়ই তার কোনো সৃষ্টিকর্তা আছেন। তিনিই হলেন আল্লাহ।

বিবর্তনের ভ্রান্ত দর্শন এবং প্রাসঙ্গিক পর্যালোচনা (২য় পর্ব পড়ুন)

১৯. এক মাহফিলের প্যান্ডেল ও শামিয়ানা যদি বিবর্তনের মাধ্যমে অস্তিত্ব লাভ করার কোনো সম্ভাবনা ও বাস্তবতা না থাকে, তাহলে আসমানও অটোমেটিক হয়ে যায়নি। নিশ্চয়ই কোনো সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিতে অস্তিত্ব লাভ করেছে। তিনিই হলেন আল্লাহ।

২০. বিরিয়ানী, পোলাও, ভাত, ফিরনী, জর্দা, রোস্ট, দই, মিষ্টি, মুরব্বা ইত্যাদি যদি বিবর্তনের মাধ্যমে পাওয়া যায়, তাহলে বলুন কোথায়? আর যদি বলেন, তৈরীকারী ছাড়া এগুলো পাওয়া সম্ভব নয়, তাহলে ধান, গম, মাছ, মাংস, আখ, ডাল, তরিতরকারীও কোনো সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অটোমেটিক অস্তিত্ব লাভ করতে পারেনি। তিনিই হলেন আল্লাহ।

২১. নূহ আ. এর যুগের প্লাবনের ঘটনা এক হেভিওয়েট বাস্তবতা। বৈজ্ঞানিকদের সকল সাবজেক্টের প্রমাণাদীর ওয়েটও তার সমান হবে না। হযরত নূহ তার সম্প্রদায়কে পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, আল্লাহর গজব আসবে। অতঃপর বন্যা আসল। এই বন্যা বিবর্তনে হয়নি, নূহের দোয়ায় হয়েছে। যিনি বন্যা দিয়ে পৃথিবীর সবকিছুকে ফিনিশ করে দিয়েছেন তিনিই আল্লাহ।

২২. যিনি কাওমে লূতকে বস্তিসহ উল্টিয়ে দিয়েছেন (যাকে এখন মৃত সাগর বলে), তিনিই হলেন আল্লাহ।

২৩. এক আরব বেদুইনকে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তখন তিনি এমন উত্তর দিলেন যা বৈজ্ঞানিকদের জ্ঞানের অনেক উর্ধ্বে। তিনি বলেন-

البعرة تدل على البعير، وآثار الأقدام تدل على المسير، فالسماء ذات ابراج والأرض ذات فجاج، فكيف لا تدل على اللطيف الخبير.

অর্থাৎ- উটের বিষ্ঠা দেখলে উটের অস্তিত্ব জানা যায়। পায়ের চিহ্ন দেখলে পশু নির্ণয় করা যায়। তাহলে গ্রহ-নক্ষত্রে সজ্জিত আকাশ ও নদী-নালা, পাহাড়-পর্বতে সজ্জিত পৃথিবী কেন আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ হবে না?

২৪. ইমাম শাফিয়ী র. বলেন, عرفت ربي بفسخ العزائم – প্রোগ্রাম ক্যান্সেল হওয়ার দ্বারা আমি আল্লাহকে জানলাম।

২৫. হাজার চেষ্টায়ও কেউ মৃত্যু থেকে রক্ষা পায় না। এটাই প্রমাণ করে, এ জগতের সৃষ্টিকর্তা ও পরিচালক আছেন। তিনি হলেন আল্লাহ- هو المحيي والمميت

২৬. হাজার চেষ্টায় রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। এটাই প্রমাণ করে বিবর্তনের দ্বারা হয়ে যায়নি। তার সৃষ্টিকর্তা আছেন। তিনি হলেন আল্লাহ।

২৭. একটি গাছকে ইচ্ছা করলে কাটা যায়। মালিক ছাড়া কোনো নৌকা পানির শ্রোতে চলতে পারে, তবে ইচ্ছা করলে তাকে আটকানো যায়। বোঝাই নৌকা খালি করা যায়, খালি নৌকা বোঝাই করা যায়। কোনো শক্তি বাধা সৃষ্টি না করলে পুকুর ভরাট করা যায়। টিলা কেটে পুকুর খনন করা যায়। তাহলে যে জগত পরিচালকহীন অবস্থায় এমনিতেই চলছে, সেখানে মানুষ হাজার চেষ্টার পরও কেন বাঁচতে পারে না? বরং অনিচ্ছায়-অপ্রস্তুত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করতে হয়। এটাই প্রমাণ করে যে আমাদের জন্ম-মৃত্যু অদৃশ্যের কোনো শক্তির নিয়ন্ত্রণে তার হুকুম ব্যতিত কিছুই ঘটতে পারে না। তিনি হলেন আল্লাহ- ذلكم الله ربكم خالق كل شيئ.

২৮. দু’ধরণের ফলের গাছ বা দু’ধরণের পশু দ্বারা নতুন জাতের আবিষ্কারই প্রমাণ যে মূল গাছ ও পশু এমনিতেই হয়নি, কোনো আবিষ্কারকের আবিষ্কারে হয়েছে তিনি হলেন আল্লাহ।

এসব যুক্তি ও রেকর্ড প্রত্যাখ্যান করে এমন কতিপয় পাগল যাদের জীবন সম্পর্কে কেউ জানে না- তারা কী মিথ্যাবাদী না সত্যবাদী, প্রতারক না ভালো মানুষ, তারা লক্ষ লক্ষ বছর পূর্বের বিষয়ে কাল্পনিক কিছু মন্তব্য করছে। এটা মেনে নেয়ার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। উপরন্তু এত দুর্বল ভিত্তির উপর এক মতবাদ দাঁড় করানো হাস্যকর ব্যাপার বটে।

বৈজ্ঞানিকদের বিবর্তনবাদের সকল আলোচনা মানব সৃষ্টির অনেক অনেক পুর্বের। তাদের জবাবদিহীতা না থাকায় যাইচ্ছা তাই বলে। একটা পাথর সম্পর্কে বলে ফেলবে, এ পাথর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ১০ কোটি বছর পূর্বের অপর আরেক পাথর নিয়ে বলবে, ওইটা এক কোটি বছর পূর্বের।

এসব মিথ্যার ধারাহিকতায় একাদশ-দ্বাদশ জীব-বিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র ২৯৮ পৃ. ভূতাত্তিক কালক্রম এর এক ছক দেওয়া হয়েছে যার শতভাগ পরিষ্কার মিথ্যা। এই মিথ্যা মিথ্যুকদের বাজারে চলছে সর্বদা। একজন মানুষও বললো না, কী পড়াচ্ছি আর কী পড়ছি?

সারকথা, বিজ্ঞানীদের বিবর্তনের ওই সব পয়েন্ট যা দ্বারা সৃষ্টিকর্তা অস্বিকার হয় পুরোটাই মিথ্যা, অবাস্তব ও অযৌক্তিক। বাস্তব ও সত্য মতবাদ হলো এই, যা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ জানে যে, আসমান ও পৃথিবী এবং তার মধ্যে যা কিছু বিদ্যমান সব আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন। লক্ষাধিক আম্বিয়াগণ একথা বলে গেছেন, মানব জাতির আদি থেকে বর্তমান পর্যন্ত সকল মানুষের এই বিশ্বাস যে, আল্লাহই পুরো জগতের সৃষ্টিকর্তা-

بَدِیْعُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ١ؕ اَنّٰی یَكُوْنُ لَهٗ وَلَدٌ وَّ لَمْ تَكُنْ لَّهٗ صَاحِبَةٌ١ؕ وَ خَلَقَ كُلَّ شَیْءٍ١ۚ وَ هُوَ بِكُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ۝۱۰۱ ذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمْ١ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ١ۚ خَالِقُ كُلِّ شَیْءٍ فَاعْبُدُوْهُ١ۚ وَ هُوَ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ وَّكِیْلٌ۝۱۰۲ لَا تُدْرِكُهُ الْاَبْصَارُ١٘ وَ هُوَ یُدْرِكُ الْاَبْصَارَ١ۚ وَ هُوَ اللَّطِیْفُ الْخَبِیْرُ۝۱۰۳

অর্থাৎ- তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহর পুত্র হতে পারে, অথচ তাঁর কোন সঙ্গী নেই? তিনি যাবতীয় কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সব বস্তু সম্পর্কে সুবিজ্ঞ। তিনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা। অতএব, তোমরা তাঁরই এবাদত কর। তিনি প্রত্যেক বস্তুর কার্যনির্বাহী। দৃষ্টিসমূহ তাঁকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ। (সূরা আনআম- ১০১-১০৩)।

ذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمْ خَالِقُ كُلِّ شَیْءٍ١ۘ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ١ۚ٘ فَاَنّٰی تُؤْفَكُوْنَ۝۶۲ كَذٰلِكَ یُؤْفَكُ الَّذِیْنَ كَانُوْا بِاٰیٰتِ اللّٰهِ یَجْحَدُوْنَ۝۶۳ اَللّٰهُ الَّذِیْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ قَرَارًا وَّ السَّمَآءَ بِنَآءً وَّ صَوَّرَكُمْ فَاَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَ رَزَقَكُمْ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ١ؕ ذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمْ١ۖۚ فَتَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ۝۶۴

অর্থাৎ- তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা, সব কিছুর স্রষ্টা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ? এমনিভাবে তাদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে। আল্লাহ, পৃথিবীকে করেছেন তোমাদের জন্যে বাসস্থান, আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন এবং তিনি তোমাদেরকে দান করেছেন পরিচ্ছন্ন রিযিক। তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা। বিশ¡জগতের পালনকর্তা, আল্লাহ বরকতময়। [চলবে]

লেখক: প্রখ্যাত প্রবীণ আলেমে-দ্বীন, শায়খুল হাদীস- জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা-ঢাকা এবং সহসভাপতি- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।