Home সোশ্যাল মিডিয়া হিউম্যান মিল্কব্যাংক নতুন ষড়যন্ত্র: রুখে দাঁড়াও

হিউম্যান মিল্কব্যাংক নতুন ষড়যন্ত্র: রুখে দাঁড়াও

মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী।

মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী: সরকার, বিভিন্ন এনজিও এর অনুদান এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় দিয়ে পরিচালিত ঢাকার শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (ICMH) সম্প্রতি ‘হিউম্যান মিল্কব্যাংক’ চালু করেছে। যাদের সন্তান মারা গেছে বা সন্তানকে খাওয়ানোর পরও যেসব মায়েদের বুকের দুধ অতিরিক্ত আছে তারা চাইলে সেই মিল্কব্যাংকে তা দান করতে পারবে। আর যাদের প্রয়োজন তারা সেখান থেকে তা নিতে পারবে।

বাহ্যিকভাবে বিষয়টি মানবিকতার চাদরে আবৃত হলেও সামান্য অনুসন্ধানেই বের হয়ে আসে এর ভয়াবহতা।

কেননা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন- ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, …… এবং যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে এবং তোমাদের দুধ-বোন……।

হাদীস শরীফে এসেছে ‘রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে যেসব স্বজনেরা (বিয়ের জন্য) হারাম, দুধপানের সম্পর্কের ভিত্তিতেও তারা হারাম।’ (বুখারী, মুসলিম)

এবং এর উপর উম্মতের ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত। সেজন্যে কোন মুসলিম দেশেই এই ধরনের উদ্যোগ নেই। বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অমুসলিমরা যেহেতু কোন ধরনের বিধি নিষেধ মানে না, তাদের দেশের কথা ভিন্ন।

বলা হয় যে, কম্পিউটারের মাধ্যমে দুগ্ধদাতা ও গ্রহীতা উভয়ের নাম ঠিকানা সংরক্ষণ করা হবে। এক্ষেত্রে দেখা যাবে দুগ্ধদাতা তার দুধ কাকে প্রদান করা হয়েছে এ খবর কোনদিন নিতে আসবে না। ফলে দুগ্ধপানের মাধ্যমে কার কার সঙ্গে তার ও তার পরিবারের বৈবাহিক সম্পর্ক করা হারাম হয়েছে সে কোনদিনই জানতে পারবে না।

অন্যদিকে নবজাতকের পরিবার দুগ্ধদাতার ঠিকানা সংগ্রহ করলেও নবজাতকের বড় হওয়া পর্যন্ত তা হারিয়ে যাওয়ার শতভাগ আশঙ্কা রয়েছে। এবং উভয়ে অপরিচিত হওয়ায় তার চর্চাও বাকি থাকবেনা।
পক্ষান্তরে আত্মীয়-স্বজনদের কেউ দুগ্ধদান করলে তার চর্চা হয়ে থাকে। ফলে উভয় দিক থেকে সর্তকতা অবলম্বন করা ও হারাম থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়।

আর আমাদের মনে রাখতে হবে ইসলামে কোন বিষয় নিষিদ্ধ হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। সুতরাং অতিমাত্রায় বিজ্ঞানমনস্ক কিংবা যুক্তিপূজারী হয়ে নিষিদ্ধ বিষয়ের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করার কোন সুযোগ নেই।

[২২ ডিসেম্বর ২০১৯-এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে]