Home ইসলাম বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে হাটহাজারী মাদ্রাসা মহাপরিচালকের মূল্যবান নসীহত

বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে হাটহাজারী মাদ্রাসা মহাপরিচালকের মূল্যবান নসীহত

[দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক হযরত আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া (দা.বা.) চলতি শিক্ষাবর্ষ ১৪৪৩-৪৪ হিজরী সনের বার্ষিক সমাপনী পরীক্ষা শেষে আজ (৩ মার্চ) জুমাবার দাওরায়ে হাদীসের বিদায়ী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ নসীহত করেন। বিষয়বস্তুর গুরুত্ব বিবেচনা করে নিম্নে তা উপস্থাপন করা হল। – সম্পাদক]

প্রিয় আজিজ ফারেগীনে জামিয়া! পূর্ণ এক বছর ইলমে হাদীসের দরস লাভ করেছেন আপনারা। আপনাদের খানাপিনা, লেবাস-পোষাক যদিওবা খুবই সাধারণ, কিন্তু আপনাদের বুকে আছে উলূমে নুবুওয়্যাত। ইলমে নুবুওয়্যাত যেখানে নেই, সেখানে শুধুই হাহাকার। আল্লাহ পাক আপনাদেরকে উলূমে নুবুওয়্যাত অর্জন করার সৌভাগ্য দিয়েছেন; আলহামদুলিল্লাহ।

আপনারা কারা? আপনাদের কর্তব্য আর যিম্মাদারি কী? এটা আপনাদেরকে বুঝতে হবে। আপনাদের পরিচয় কী? আপনাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য কী? এটা সর্বপ্রথম আপনাদেরকে উপলব্ধি করতে হবে। আপনাদের সম্পর্ক অনেক উপরে। দারুল উলূম হাটহাজারী, দারুল উলূম দেওবন্দের সম্পর্ক মিশে আছে মসজিদে নববীর দারুসসুফফার সাথে। সুতরাং আপনার মূল শিকড় গেঁথে আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে। আপনাদের পূর্বসূরিতে সাহাবায়ে কেরামের পবিত্র জামাত পাওয়া যায়। তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন, আইয়েম্মায়ে মুজতাহেদীন, ছলফে সালেহীন, মুহাদ্দিসীন এবং আকাবিরে দেওবন্দ ও আকাবিরে হাটহাজারির মকবুল জামাত পাওয়া যায়। এসব সম্পর্ক আপনাদের সাথে থাকায় আপনাদের উপর এক মহান যিম্মাদারি এসে পড়েছে।

পরীক্ষা শেষে এখান থেকে বিদায় নেয়ার পর আপনারা কাজের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। জাতি চাতক পাখির ন্যায় আপনাদের জন্য অপেক্ষমান। পিপাসিত ও তৃষ্ণার্ত এ জাতির নেতৃত্ব আপনাদেরকেই দিতে হবে। দিশেহারা এ জাতির দুনিয়া ও আখেরাত আপনাদেরকেই সুনিপুণ গড়তে হবে। ঐক্যবদ্ধ উম্মাহ ও ইনসাফপূর্ণ দেশ গড়তে আপনাদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমি আপনাদেরকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিচ্ছি; যেগুলো আপনাদের জীবনের পাথেয় এবং মাইলফলক হবে। এগুলো মানতে পারলে আপনাদের কামিয়াবি সুনিশ্চিত হবে বলে আশা করা যায়, ইনশাআল্লাহ!

জীবনের সর্বক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসরণ করবেন। আক্বীদা এবং আমল উভয় ক্ষেত্রে। এই দলই হচ্ছে একমাত্র নাজাতপ্রাপ্ত দল। বাকি অন্যান্য দল হচ্ছে বিপথগামী ও জাহান্নামী। কোনো রকম লোভ-লালসা এবং ভয়ভীতি যেন এই পথ থেকে ফেরাতে না পারে। এজন্য জীবনের সর্বক্ষেত্রে রাসূল্লাহ (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে। তবেই আপনারা কামিয়াব হবেন দুনিয়া এবং আখেরাতে।

এহসান ও তাযকিয়া তথা আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে হবে। এর অপর নাম হচ্ছে তরীকত। বাহ্যিক ইলমের সাথে আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ করতে হবে। উলামায়ে দেওবন্দ এবং উলামায়ে হাটহাজারির একহাতে আছে শরীয়তের পাত্র, অপর হাতে আছে তরীকতের ঝাণ্ডা। তারা উভয় হাতে এসবের ব্যবহার করতে পারে। এক হাতে শরীয়তের পাত্র আঁকড়ে ধরে আছে, অপর হাতে তরীকতের ঝাণ্ডা উড়াচ্ছে। অন্য যারা আছে, দেওয়ানবাগী-কুতুববাগী, আটরশী-ভাণ্ডারী এবং সুরেশ্বরী, তারা তরীকতের ঝাণ্ডার আঘাতে শরীয়তের পাত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। শরীয়ত ছাড়া যেহেতু তরীকত হয় না, তাই তাদের কাছে শরীয়ত তো নেই-ই, তরীকতও নেই। তারা গোমরাহ! তাই আপনাদেরকে খালেস তরীকতের লাইনেও মেহনত করতে হবে। কোনো একজন খাঁটি সুন্নাতি পীরে কামেলের হাতে বায়আত হয়ে অন্তরের বিশুদ্ধতা অর্জনের জন্য পথনির্দেশিকা নিবেন।

জীবনের প্রতিটি কাজ একমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে করতে হবে। দুনিয়াবি যশ-খ্যাতি পায়ের নিচে রাখতে হবে। পদ এবং অর্থের লোভ হৃদয় থেকে বের করতে হবে। যেকোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান দুটো কারণে ধ্বংস হয়, এক হচ্ছে পদের লোভ, আরেকটা হচ্ছে অর্থের লোভ। এজন্য এই দুইপ্রকার লোভ নিজেদের দিল থেকে পরিত্যাগ করতে হবে। ইস্তেকামত ফিদ্দীন, ইনাবত ইলাল্লাহ এবং তাকওয়ার মজবুত প্রাচীর গড়ে তুলতে হবে। এজন্য তাযকিয়ায়ে নফস তথা আত্মশুদ্ধির বিকল্প নেই।

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরতে হবে। নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন এবং আন্তর্জাতিক জীবনে নবীজির সুন্নাতকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিদআত থেকে দূরে থাকতে হবে। আক্বিদাগত বিদআত এবং আমলগত বিদআতসহ সর্বপ্রকার বিদআত বর্জন করতে হবে।

ফিরাকে বাতিলা তথা ভ্রান্ত জনগোষ্ঠীর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বক্তৃতা, লিখনীসহ সমূহ পদ্ধতিতে তাদের মোকাবেলা করতে হবে। কিছু বাতিল আছে ইসলামের নামে, আর কিছু আছে ইসলামের নামও সহ্য করতে পারে না। বর্তমানে সবচে নিকৃষ্ট এবং ঘৃণিত ভ্রান্তদল হচ্ছে নাস্তিক্যবাদী সম্প্রদায়। তাদের প্রতিরোধে দুর্বার সংগ্রাম করতে হবে। তাদের প্রতিরোধ করার জন্য তাদের কিতাবও মুতালাআ করতে হবে। কাদিয়ানী, শীয়া, কবরপূজারী, দরগাহ ব্যবসায়ী, তাদের কিতাব পড়ে তাদের বিরুদ্ধে অজেয় দুর্গ গড়তে হবে। এজন্য যুগের চাহিদা বুঝতে হবে। মানুষের মন বুঝতে হবে, সমাজকে নিজেদের গুণ দিয়ে জয় করতে হবে। তাহলে কাজটা মজবুত এবং প্রভাবশালী হবে।

আরও পড়তে পারেন-

তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, ইসলামকে কখনোই যুগের সাথে মেলানোর অপচেষ্টা করা যাবে না। কেউ কেউ বলে থাকেন, ইসলামকে যুগোপযোগী করতে হবে। এমন উক্তি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও গোমরাহী। বরং যুগকেই ইসলাম উপযোগী করতে হবে। কারণ, ইসলাম হচ্ছে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম, মহান আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত জীবন বিধান। সুতরাং কোনোক্রমেই ইসলামে পরিবর্তন আনা যাবে না। ইসলাম হচ্ছে মুকাম্মাল ধর্ম। ইসলামকে যুগের সাথে মেলানো মানে ইসলাম অসম্পূর্ণ ধর্ম। সুতরাং এটা করা যাবে না। বরং যুগকেই ইসলামের সাথে মেলাতে হবে। এজন্য আপনাদেরকে যুগের চাহিদা বুঝতে হবে। এবং কোনো অবস্থায় বাতিলের সাথে আপোষ করা যাবে না।

আপনারা মাদ্রাসার লাইনে খেদমত করবেন। এটা হলো মূলকাজ। কারণ, বর্তমানে দরস ও তাদরীসের লাইনে যোগ্য আলেমের বড়ই অভাব। আপনাদেরকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের এলাকায় ক্বওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করবেন। ক্বওমী মাদ্রাসার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে একেকটি ক্বওমী মাদ্রাসা ইসলামের একেকটি মজবুত কেল্লা। যে কোনভাবে দ্বীনি খেদমতে লেগে থাকবেন। ছোট্ট একটা নূরানী মক্তব অথবা হেফযখানায় হলেও দ্বীনি খেদমতে লেগে থাকবেন। কোনো মাদ্রাসায় খেদমতে গেলে নিজ থেকে কোনো কিতাব পড়ানোর আগ্রহ দেখাবেন না। কারণ, এতে বরকত থাকে না। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যে কিতাব আপনাদেরকে পড়াতে দিবেন, সেগুলোর দরস বা ক্লাস সর্বোচ্চ চেষ্টা সাধানার মাধ্যমে ভালভাবে আঞ্জাম দিতে সচেষ্ট থাকবেন। এতে বরকত পাবেন, ছাত্ররা আপনাদের সবকও বুঝতে পারবে। খবরদার, কোনো কিতাব সরাসরিভাবে অথবা ইশারা ইঙ্গিতে চেয়ে নিবেন না। এবং প্রতিটি সবক মুতালাআ করে পড়াবেন। মুতালাআ ছাড়া পড়াবেন না। অনেক শরাহ শরুহাত আছে, ওগুলো মুতালা’আ করবেন, তারপর সংক্ষিপ্ত এবং সারাংশ নোট করবেন, তারপর সেগুলো তারতিবের সাথে সবকে বলবেন। তারতিবের খেয়াল অবশ্যই রাখবেন। সাজিয়ে-গুছিয়ে সবক দিবেন।

ইলমে দ্বীনের খেদমতের পাশাপাশি সময়ে সময়ে দাওয়াত ও তাবলীগের ময়দানেও কাজ করবেন। দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে আপনাদেরকে নেতৃত্ব দিতে হবে। বর্তমানে এই মেহনতে উলামায়ে কেরামের কমতি থাকায় সাধারণ মানুষ সহীহ দ্বীনের জ্ঞান কম পাচ্ছে।

লেখালেখি এবং সাহিত্যের জগতে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন। আজ মিডিয়া জগতে নাস্তিক্যবাদী অপশক্তির আগ্রাসন। তাদের এই আস্ফালন রুখতে হবে। এজন্য আপনাদের শক্ত হাতে কলম ধরতে হবে। বর্তমান ইয়াহুদিবাদী মিডিয়ার মোকাবেলায় নিজেদের শক্তিশালী ইসলামি মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজকের যুগে মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম, এটা বুঝতে হবে।

প্রিয় আযীয ফারেগীন, বক্তৃতা এবং বয়ানের লাইনেও খেদমত করবেন, তবে সহীহ বয়ান করবেন। বর্তমানে অশুদ্ধ বয়ানের সয়লাব বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বয়ানে জাল হাদিস এবং বানোয়াট কল্পকাহিনী বলে থাকেন। আপনারা সহীহ বয়ান করবেন এবং বয়ানের আগে মুতালাআ করবেন, তারপর বয়ান করবেন।

ইমামত এবং খেতাবাতের লাইনেও খেদমত করবেন। যে কোনো একটা মসজিদের মুখলেস ইমাম হবেন, প্রয়োজনে যেকোনো মসজিদের মুয়াজ্জিন হয়ে হলেও দ্বীনি খেদমত করবেন। কারণ, ইমাম মুয়াজ্জিনের কথা সাধারণ মানুষ বেশি শুনে থাকে। এক্ষেত্রে আপনারা সহজে একটা সমাজকে আলোকিত করতে এবং দ্বীনি পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন।

কর্মজীবনে হক্কানী আলেমের নেতৃত্বে সঠিক ইসলামি রাজনীতি করবেন। এটাও ইসলামের একটি শাখা। বর্তমানে নোংরা রাজনীতির চর্চা হচ্ছে। বর্তমানের রাজনীতি ইসলাম থেকে অনেক দূরে। তাই এগুলো রাজনীতি নয়, সন্ত্রাসবাদি কর্মকাণ্ডের ইন্ধনদাতা হয়ে গেছে বর্তমানের অপরাজনীতি। আপনারা সঠিক ইসলামী রাজনীতিও করবেন, যেন সমাজ থেকে সন্ত্রাসবাদ দূরীভূত হয়ে যায় এবং সর্বস্তরে সুবিচার ও ইনসাফ কায়েম সহজতর হয়। তবে খবরদার, ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে জড়াবেন না। আপনারা আলেম হয়ে গেছেন ও ছাত্র জীবন শেষ করেছেন, তাই আপনাদেরকে বললাম। সুতরাং যদি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাহলে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর হুকুম প্রতিষ্ঠা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা সাধনা চালাবেন।

ইসলামের জিহাদ হচ্ছে সন্ত্রাস দমনের জন্য। অন্যায়-অবিচার উৎখাতের জন্য। এই জিহাদ হতে হবে আমীরের নেতৃত্বে। বিচ্ছিন্নভাবে যার যার মনমতো খুশীমতো জিহাদের অনুমতি ইসলামে নেই। আজ চারিদিকে যুলুম আর অবিচারের সয়লাব। সন্ত্রাসবাদ এবং ফ্যাসিবাদের রাজত্ব চলছে। অনেকে জিহাদকে সন্ত্রাসের আখ্যা দেয়, আসলে জিহাদ সন্ত্রাস নয়। জিহাদ এবং সন্ত্রাসে আকাশ-জমীন পার্থক্য। মূলতঃ ইসলামের জিহাদ হচ্ছে সন্ত্রাস, জুলুম, অত্যাচার দমনের জন্য। জিহাদের অপব্যাখ্যা বন্ধে আপনাদের ভূমিকা রাখতে হবে। আজ সর্বত্র জিহাদের অপব্যাখ্যা করে মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদি সাজানোর চেষ্টা চলছে। এ পর্যায়ে আপনাদেরকে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।

সর্বশেষ আমার নসীহত হচ্ছে, পিতা-মাতার খেদমত করবেন। আত্মিয়-স্বজনের প্রতি সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক রাখবেন। পাড়াপ্রতিবেশির খবর নিবেন। দ্বীনি খেদমতের পাশাপাশি দেশ, জাতি ও মানবতার সেবায় ব্রত থাকবেন। আদর্শ পরিবার ও সমাজ গড়তে সচেষ্ট থাকবেন। একই সাথে মহান আল্লাহ ও তদীয় রাসূলে কারীম (সা.) এবং আকাবির ও আসলাফের প্রতি মুহাব্বাত রাখবেন। কারণ, হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি যার সাথে মুহাব্বাত রাখবেন, তার সাথে তার হাশর হবে। এজন্য আপনারা আল্লাহ পাক, রাসূলে কারীম (সা.), সাহাবায়ে কেরাম, সালফে সালেহীন, আকাবিরে দেওবন্দ এবং আকাবিরে হাটহাজারী’র প্রতি গভীর মুহাব্বাত রাখবেন। উনাদের জন্য ঈসালে সওয়াব করবেন, উনাদের জন্য দোয়া করবেন। ইনশাল্লাহ কামিয়াব হবেন।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবাইকে কবুল করুন এবং হকের উপর চলার তাওফীক দান করুন। আমীন।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।