Home ধর্মীয় প্রশ্ন-উত্তর নিখোঁজ স্বামীর স্ত্রীর অন্যত্র বিবাহ প্রসঙ্গে শরয়ী বিধান

নিখোঁজ স্বামীর স্ত্রীর অন্যত্র বিবাহ প্রসঙ্গে শরয়ী বিধান

- প্রতিকী ছবি।

প্রশ্ন: তাসলীম বাদ, মুহ্তারাম মুফতী সাহেব হুজুর, এক মহিলার স্বামী কয়েক বছর থেকে নিখোঁজ। অনেক চেষ্টা করেও জানা সম্ভব হয়নি যে, লোকটি মারা গেছে না বেঁচে আছে। এ মহিলার স্বামীহীন জীবনযাপন বড়ই কঠিন। এখন অন্যত্রে সে বিবাহ বসতে শরীয়তের দৃষ্টিতে কী করণীয়? জানালে আল্লাহর এক বান্দির বড় উপকার হবে ।

– মুহাম্মহদ এনামুল হক

উত্তরঃ (ক) যদি উক্ত মহিলার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর চার বৎসর বা তার চেয়ে বেশিকাল সময় অতিক্রম হয়ে যায়, আর তার ভরণপোষণের ব্যবস্থাপনাও কঠিন পর্যায়ে পৌঁছে যায়। অথবা ভরণপোষণের ব্যবস্থা তো হয়ে যায়, তবে স্বামীহারা জীবন-যাপনে চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষা করা খুবই কঠিন পর্যায়ে পড়ে। এমতাবস্থায় এ মহিলা আদালতের শ্মরণাপন্ন হয়ে প্রথমে মুসলমান হাকিম /বিচারকের নিকট নিখোঁজ ব্যক্তির সঙ্গে তার যে বিবাহ হয়েছে- এ বিষয়টি দু’জন নির্ভরযোগ্য সাক্ষীর মাধ্যমে প্রমাণ করবে। তারপর স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিও দু’জন সাক্ষীর মাধ্যমে প্রমাণ করে স্বীয় অবস্থার বিবরণ  দিয়ে বিচারক বা হাকিমের  নিকট এ বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করার আবেদন পেশ করে বিচারক /হাকিমের মাধ্যমে এ বিবাহ বিচ্ছেদ করে নিবে। অত:পর চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। (প্রমাণে- ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম, খণ্ড- ১০,পৃষ্ঠা- ২৬৩, আহসানুল ফাতাওয়া, খণ্ড- ৫, পৃষ্ঠা- ৪২১-৪২২)।

(খ ) উক্ত মহিলার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর যদি চার বৎসরের চেয়ে কম সময় অতিবাহিত হয়ে থাকে, কিন্তু চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার্থে অন্য স্বামী গ্রহণ করার প্রচন্ড প্রয়োজন দেখা দেয়, তখনো উক্ত স্ত্রী আদালতের শ্মরণাপন্ন হয়ে কমপক্ষে দু’জন দু’জন নির্ভরযোগ্য সাক্ষীর মাধ্যমে নিখোঁজ ব্যক্তির সঙ্গে তার বিবাহ হওয়ার বিষয়টি এবং পরে স্বামী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি বিচারক/বিজ্ঞ হাকিমের নিকট প্রমাণ করবে। এবং এ বিবাহ বাতিল ঘোষণার আবেদন করবে।

অত:পর বিজ্ঞ হাকিম /বিচারক যদি এ বিবাহ বাতিল ঘোষণা করে, অথবা হাকিম /বিচারক নিখোঁজ স্বামীর পক্ষ থেকে এ স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়, অথবা উক্ত নারীকে বলে, তুমি তোমার স্বীয় নফসের উপর তালাক অর্পণ করে নাও, আর মহিলা স্বীয় নফসের উপর তালাক গ্রহণ করে নেয় । তখন তিন হায়েয (তিন মাসিক) অতিবাহিত করার পর এই নারী অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। (প্রমাণে- আহসানুল ফাতাওয়া, খণ্ড- ৫, পৃষ্ঠা- ৪২২)।

ফতোয়া দিয়েছেন- মুফতী মুহিউদ্দীন মাছূম

প্রধান মুফতী- জামিয়া সুবহানিয়া মাহমূদনগর, তুরাগ, ঢাকা ও জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা, ঢাকা।

উম্মাহ২৪ডটকম:এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

আরও পড়তে পারেন-