Home জাতীয় রাসূল (সা.)এর ২৩ বছরের যিন্দেগীই হচ্ছে কুরআনের বাস্তব নমুনা: আল্লামা কাসেমী

রাসূল (সা.)এর ২৩ বছরের যিন্দেগীই হচ্ছে কুরআনের বাস্তব নমুনা: আল্লামা কাসেমী

কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আঞ্চলিক শিক্ষাবোর্ড `ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়্যাহ্ গাছা’-এর উদ্যোগে গত (৮ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা হতে গাজীপুর বোর্ড বাজারস্থ বোম্বাই মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যার মধ্যে এক নাম্বার ব্যাখ্যা হলো আহাদিসে মোবারাকা। আহাদিসে মোবারাকার দ্বারা কুরআনে কারীমের বাস্তব তাফসীর করা হয়।

তিনি বলেন, হযরত জিব্রাইল (আ.) নবী (আ.)কে ৫ ওয়াক্ত নামাজ দেখিয়ে দিয়েছেন। নবী কারীম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে দেখিয়ে দিয়ে বলেছেন, তোমরা নামাজ পড়ো আমাকে যেভাবে নামাজ আদায় করতে দেখেছো। এটা বলেন নাই যে, আমি যেই নামাজ পড়েছি তোমরা ঐ নামাজ পড়ো। কেন এভাবে বললেন না? কারণ, নবীর ইখলাস, লিল্যাহিয়্যাত, খুশু-খুজু অন্য মানুষের পক্ষে সেভাবে পুরণ করা কখনো সম্ভব না। এটা নামাজের বাস্তব ব্যাখ্যা।

তিনি বলেন, শুধু নামাজের ক্ষেত্রেই নয়, হজ্ব ও ওমরার ব্যাপারেও বিদায় হজ্বের ভাষণে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) একই রকম বলেছেন। কারণ, হজ্ব এবং ওমরার বাস্তব ব্যাখ্যা কুরআনে পাওয়া যাবে না। নবী (আ.) বলেছেন, তোমরা সেভাবে হজ্ব ও ওমরা আদায় করো যেভাবে আমাকে দেখেছো।

আরও পড়তে পারেন-

জমিয়ত মহাসচিব বলেন, কুরআনের বাস্তব ব্যাখ্যা হলো নবী (আ.)এর ২৩ বছর যিন্দেগীর কথা, কাজ এবং সম্মতির মাধ্যমে যা প্রকাশ পেয়েছে, এটাই কুরআনের বাস্তব ব্যাখ্যা। নবী কারীম (সা.) নবুওয়াতের সূর্য ছিলেন, আর সাহাবায়ে কেরাম সেই সুর্য থেকে আলো গ্রহণ করেছেন। নবুওয়াতের সুর্যের আলো সরাসরি সাহাবায়ে কেরামের অন্তরে পড়েছে। সারা দুনিয়ার গাউস কুতুবকে যদি এক সাথে করা হয়, তাহলে আদনা দরজার একজন সাহাবির কাছেও পৌঁছাতে পারবেন না। একেকজন সাহাবা ছিলেন রুহানিয়্যাতের সাগর সদৃশ্য।

আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী একটি উদাহারণ দিয়ে বলেন, নদী কি সাগরের কাছে পৌঁছাতে পারে? নদী তো নদীই, সাগর সাগরই। সাহাবায়ে কেরাম রুহানিয়্যাতের সাগর। এই সাগর বনেছে আল্লাহর হাবীব (সা.)এর আফতাবে নবুওয়াতের আলো দ্বারা। নবী কারীম (সা.) যে কাজ যেভাবে করছেন, সাহাবায়ে কেরামও ঠিক সেভাবে করছেন। সাহাবায়ে কেরাম থেকে কুরআনের ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছেন তাবেয়ী, তাবেয়ী থেকে তাবে তাবেয়ী। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী এই তিন জামাত সম্পর্কে আল্লাহর হাবীব (সা.) বুখারী শরীফের রেওয়ায়েতে বলেছেন, খাইরুল কুরুনী ক্বরনী সুম্মাল্লাযীনা ইয়ালুনাহুম সুম্মাল্লাযীনা ইয়ালুনাহুম।

তিনি বলেন, নবী (আ.)এর যুগ হলো আহদে সাহাবা। এর পরের যুগ হলো আহদে তাবেয়ী, আর এর পরের যুগ হলো আহদে তাবে তাবেয়ী। এই তিন জামাতের মুশতারেকা নাম হলো ছলফে ছলিহীন। এই তিন জামাত নিঃস্বন্দেহে একশ ভাগের একশ ভাগ হক্বের উপরে ছিলেন। এই তিন জামাতের পর যারা এসেছেন, তারা খলফের জামাত। আর খলফের দায়িত্ব হলো এই তিন জামাতের অনুসরণ করা। আকায়েদের ক্ষেত্রে হোক, আমলের ক্ষেত্রে হোক, আখলাকের ক্ষেত্রে হোক, সর্বক্ষেত্রে যে ছলফের অনুসরণ অনুকরণ করবে, নিঃস্বন্দেহে সে হক্ব পেয়ে যাবে।

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।