Home রাজনীতি যারা সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ঘটায় তারা কখনো আমাদের মিত্র শক্তি হতে পারে না:...

যারা সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ঘটায় তারা কখনো আমাদের মিত্র শক্তি হতে পারে না: মাওলানা আফেন্দী

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। - ফাইল ছবি।

পুলিশী হেফাজতে মানুষ হত্যা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ক্রমবর্ধমান হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং জিনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণ প্রতিরোধে ৬ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমমনা ইসলামী দলসমূহ গতকাল রাজধানী ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে এতে সমমনা দলসমূহের শীর্ষ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

সমাবেশে সমমনা দলসমূহের শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি বলেন, সিলেটে পুলিশের হেফাজতে রায়হান হত্যাকাণ্ড এতদিন হয়ে গেল।অথচ মূল আসামী খুনি আকবরকে এখনো গ্রেফতার হয়নি। আমরা এর কারণ জানতে চাই!

তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে জানতে চাই, রায়হান পুলিশের পিটুনির আঘাতে মারা গেল, অথচ ময়নাতদন্তে দেখা গেল তার শরীরে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেল না। কিন্তু দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে তার শরীরে ৮০টির উপরর আঘাতের আলামত খুঁজে পাওয়া গেল। প্রথমবারের ময়না তদন্তের রিপোর্ট কারা তৈরি করলো সেটি খুঁজে খুনের আলামত নিয়ে মিথ্যাচার করায় তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

আরও পড়তে পারেন-

তিনি বলেন, কোন ধরণের টালবাহানা না করে দ্রুত আকবরকো খুঁজে বের করতে হবে।অন্যথায় সমস্ত অন্যায়কারীরা জনতার রোষানলে পড়ে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হবে।

সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে বারবার লাশ পড়ছে। যারা সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ঘটায়, তারা কখনো আমাদের মিত্র শক্তি হতে পারে না।তাদেরকে তোষামোদ করার পলিসি এদেশের জনগণ মেনে নিতে পারে না। যারা আমার দেশের ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যা করে সীমান্তের কাঁটাতারে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। যারা আমাদের দেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত হত্যা করে। যারা আমাদেরকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করে। যারা আমাদেরকে পানিতে ডুবিয়ে মারতে চায়। নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে নদী আগ্রাসন চালায়। আমার দেশের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায়, তারা কখন আমাদের বন্ধু হতে পারে না।

তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ কি পরিমান অবর্ণনীয় কষ্টে আছে, সেটা সিংহাসনে বসে টের পাওয়া যাবে না। নিম্ন আয়ের মানুষ আলু দিয়ে ভর্তা খাবে, সেই সুযোগটা রাখা হয়নি। অথচ বাণিজ্যমন্ত্রী মহোদয় বলছেন, ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আলুর দাম বাড়াতে হবে। তাহলে আমরা বলি, লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গরীব মেহনতি মানুষ যদি রাস্তায় নেমে স্লোগান দেয়, মাননীয় মন্ত্রী! আপনি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে যদি আলুর দাম বাড়াবেন, তাহলে আমাদের স্বার্থে দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যান।

তিনি আরোও বলেন, ইসলাম নারীকে যে সম্মান দিয়েছে, তা অন্য কোন ধর্ম, রাষ্ট্র বা কোন নেতা সেই সম্মান দেয়নি। সুতরাং ধর্ষণমুক্ত যদি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তাহলে ইসলামী নীতিমালা আলোকে প্রকাশ্যে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।