Home ইতিহাস ও জীবনী বাংলাদেশে আল্লামা কাসেমীর অবদান হিন্দুস্তানে হযরত মাদানীর অনুরূপ ছিল: মুফতি মানসূরুল হক

বাংলাদেশে আল্লামা কাসেমীর অবদান হিন্দুস্তানে হযরত মাদানীর অনুরূপ ছিল: মুফতি মানসূরুল হক

- শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (রাহ.)। ছবি- উম্মাহ।

বাংলাদেশের হাজারো উলামায়ে কেরামের উস্তায ও মুরুব্বী আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তিকালে শোক জানিয়েছেন জামিয়াতুল আবরারের শায়খুল হাদীস  মুফতি মানসূরুল হক।

গতকাল (১৩ ডিসেম্বর) রবিবার এক শোকবার্তায় মুফতি মানসূরুল হক বলেন, আজ দুপুর একটায় বাংলাদেশের হাজারো উলামায়ে কেরামের উস্তায আমাদের সকলের মুরুব্বী এবং বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে হকের অন্যতম মুখপাত্র হযরত আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।

হযরতের মৃত্যুতে আমরা প্রকৃত অর্থে একজন দরদী অভিভাবককে হারালাম। আমি ব্যক্তিগতভাবেও হযরতের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে মহব্বতের সম্পর্ক রাখতাম। হযরত আমাকে খুব স্নেহ করতেন। যে কোনো সময় হযরতের কাছে কোনো পয়গাম পাঠালে হযরত অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তা গ্রহণ করতেন। বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের জন্যে বর্তমান সংকটময়কালে হযরত ছায়া ও আশ্রয়ের মতো ছিলেন। শুধু আজই নয়, হযরতের গোটা জীবনই ছিল হকের পক্ষে বাতিলের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াকু সৈনিকের ভূমিকায়।

আরও পড়তে পারেন-

মুফতি মানসূরুল হক আরো বলেন, যখন যে কোনোভাবেই বাতিল মাথা উঁচু করতে চেয়েছে, হযরত মজবুতভাবে তার জবাব দেওয়ার জন্যে দাঁড়িয়ে গেছেন। জাতির নেতৃত্বের ক্ষেত্রে হযরতের প্রতিটি পদক্ষেপই ছিল অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সচেতন বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। জীবনের এই দীর্ঘ সময়ে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্যে তাঁর সব কীর্তিকে পরখ করলে বলতে হয়, হিন্দুস্তানে হযরত মাদানী রহ. যেমন আজীবন ইংরেজদের বিরুদ্ধে আপসহীনভাবে লড়ে গেছেন এবং মুসলমানদের জাতীয় অভিভাবকত্বের দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে গেছেন আমাদের বাংলাদেশে হযরতের অবদান ঠিক শাইখুল ইসলাম মাদানী (রাহ.)এর অনুরূপ ছিল।

তিনি বলেন, হযরতের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজেও মানসিকভাবে খুব বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। মনে হচ্ছে, মুরুব্বিরা এভাবে চলে যাচ্ছেন। আমরা যারা বেঁচে আছি, আমাদের কী হবে!? তবুও আমরা হতাশ নই। আমরা আল্লাহর কাছে আশা করি আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর উত্তম প্রতিনিধি দান করবেন। আমরা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত মতোই তাঁর শোক জানাব إنا لله وإنا إليه راجعون، إن لله ما أخذ ولله ما أعطى، وكل شيء عنده بأجل مسمى، فلنصبر ولنحتسب হযরতের ইন্তেকালে তাঁর পরিবার তো বটেই, প্রকৃতপক্ষে আমরা সকলেই সান্ত্বনার মুখাপেক্ষী।

দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা হযরতের পরিবারকে সবরে জামীল এখতিয়ার করার তাওফীক দান করেন। হযরতকে জান্নাতুল ফেরদাউসের আলা মাকাম দান করেন। এবং আমাদের যেসকল মুরুব্বি এখনও জীবিত আছেন, আমাদের ওপর তাঁদের ছায়া আরও বাড়িয়ে দিন। আমীন!

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।