Home ইসলাম ৪৫ বছরের বেশি সময় মসজিদুল হারামে আজান দেন যিনি

৪৫ বছরের বেশি সময় মসজিদুল হারামে আজান দেন যিনি

প্রায় পাঁচ দশক ধরে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে আজানের দায়িত্ব পালন করছেন শায়খ আলি আহমদ মোল্লা। মসজিদুল হারামের সবচেয়ের প্রসিদ্ধ ও প্রবীণ মুয়াজ্জিনদের অন্যতম তিনি। বিগত ৫০ বছরের হাজিদের কাছে তাঁর আজানের সুমধুর সুর খুবই পরিচিত। 

চাচাতো ভাই শায়খ আবদুল মালিক মোল্লার মৃত্যুর পর তিনি মসজিদুল হারামের প্রধান মুয়াজ্জিন নিযুক্ত হন। কাবা প্রাঙ্গণে সুললিত কণ্ঠে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ায় অনেকে তাঁকে ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন বিলাল (রা.)-এর নামে ‌‘বিলাল আল হারাম’ হারাম শরিফের বিলাল উপাধী প্রদান করেন।

শায়খ আলি আহমদ মোল্লা ১৯৪৫ সালে মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মসজিদুল হারামে আজান দেওয়া এ পরিবারের অন্যতম ঐতিহ্য। তাঁর দাদা আলি আবদুর রহমান মোল্লা, বাবা, চাচা আবদুর রহমান মোল্লা, চাচাতো ভাই আবদুল লতিফ, আবদুল্লাহ ও শায়খ আবদুল মালিক, নানা আবদুল্লাহ খাওজ, তাঁর মামা আবদুল হাফিজ খাওজ, মামাতো ভাই তাওফিক বাই মসজিদুল হারামে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়তে পারেন-

kalerkantho
শায়খ আলি আহমদ মোল্লার পূর্বপুরুষরা বংশপরম্পরায় মসজিদুল হারামে আজান দিয়েছেন।

শায়খ আলি মোল্লা শৈশবে মসজিদুল হারামের ভেতর শায়খ আশুরের কাছে প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৭১ সালে রিয়াদের ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল এডুকেশন থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। 

গ্র্যাজুয়েশনের আগে আবদুল্লাহ ইবনে আল জুবায়ের ইন্টারমিডিয়েট স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৪ সালে শায়খ আলি মোল্লা আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদুল হারামের মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ পান। মসজিদে আজান দেওয়ার পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবসাও দেখাশোনা করেন। 

শায়খ আলি মোল্লা মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে মসজিদুল হারামের বাব আল জিয়াদায় আজানের অনুশীলন শুরু করেন। এরপর তিনি ‌‌‌বাব আল মাহাকামার মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হোন। পরবর্তীতে তিনি পুরো মসজিদুল হারামে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

মূলত তিনি মসজিদুল হারামে লাউডস্পিকার ব্যবহার শুরুর আগ থেকে আজান দেওয়া শুরু করেন। তখন মসজিদুল হারামের সাতটি মিনার থেকে মুয়াজ্জিনরা আজান দেওয়া শুরু হতো। জমজম কূপের পাশ্ববর্তী ‘আল মাকাম আল শাফেয়ি’ থেকে প্রধান মুয়াজ্জিন আজান শুরু করেন। অন্যরা তা পুনরাবৃত্তি করতেন। উসামানি শাসনামলে আজানের এ ঐতিহ্য শুরু হয়। বর্তমান তুরস্কে এখনও এ নিয়ম প্রচলিত আছে। 

১৯৭৯ সালে মসজিদুল হারাম অবরোধকালে তিনি ২৩ দিন যাবত আজান বন্ধ থাকতে দেখেন। অবরোধ তুলে নেওয়ার পর তিনিই প্রথম মাগরিবের আজান দেন। ওই সময় বাদশাহ খালেদ মসজিদুল হারামের নামাজে উপস্থিত হয়েছিলেন। 

শায়খ আলি মোল্লার ইনস্টাগ্রামে ১৯৯৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি (১৪১৭ হিজরির ২৯ রমজান) জুমার দিনের আজানের অডিও ও ভিডিও পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো। 

সূত্র: আরব নিউজ

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।