মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে আইএমইআই (IMEI) নম্বরের মাধ্যমে মোবাইল সেটটির বৈধতা যাচাই করার পাশাপাশি বিক্রেতার কাছ থেকে কেনার রশিদ সংগ্রহ ও তা সংরক্ষণ করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
শনিবার (২৬ জুন) বিটিআরসি বিটিআরসি তরঙ্গ বিভাগের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করতে ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD <space> ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: KYD 12345789012345
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
বিটিআরসি’র তরঙ্গ বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম ঢাকা জানান, আগামী ১ জুলাই এনইআইআর পদ্ধতি উদ্বোধন করবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ওইদিন থেকেই দেশে আর অবৈধভাবে আসা ও নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা মোবাইল ফোন কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা উপহার পাওয়া মোবাইল সেট নিবন্ধন করে চালু করা যাবে।
তিনি বলেন, ১ জুলাইয়ের পর অবৈধভাবে আসা ফোনগুলো চিহ্নিত করা হবে। আমরা পরীক্ষামূলক আগামী তিন মাস পদ্ধতিটি নিয়ে কাজ করব। এ সময়ে মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলো নিবন্ধনের সময় থাকবে। এসব মোবাইল হ্যান্ডসেট চালু করতে হলে প্রত্যেককে আমাদের পোর্টালে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। পরবর্তীতে এসব মোবাইল বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এটি পরীক্ষামূলক তিন মাস চলবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, মোবাইলের বক্সে বা প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার থেকে অথবা *#06# ডায়াল করার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট হ্যান্ডসেটের IMEI নম্বর জানা যাবে। নকল বা ক্লোন IMEI সম্বলিত মোবাইল হ্যান্ডসেট মোবাইল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হলে ন্যাশনাল ইকুপমেন্ট আইডেন্টি রেজিস্টারের (এনইআইআর) মাধ্যমে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করা হবে।
আগামী ১ জুলাই থেকে দেশে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম ব্যবহার করে সব অবৈধ ও নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা মোবাইল ফোন শনাক্তের পাশাপাশি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার কাজ শুরু হবে। বিটিআরসি এনইআইআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা ও অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্ত করবে। আর চালু থাকা ও বৈধভাবে কেনা সব মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীকে একটি নির্দিষ্ট কোড দেয়া শুরু হবে। মূলত ওই কোডটাই মোবাইল ফোনটির মূল চাবিকাঠি। নির্দিষ্ট ওই কোড ছাড়া মোবাইল সেটটি চালু হবে না। এ পদ্ধতিটি কার্যকর হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে অন্য কেউ ওই মোবাইল সেটটি ব্যবহার করতে পারবে না।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ