Home ইসলাম দুনিয়াতে রোগ-ব্যাধি মুমিনদের গুনাহ মাফের বড় মাধ্যম

দুনিয়াতে রোগ-ব্যাধি মুমিনদের গুনাহ মাফের বড় মাধ্যম

।। মুফতি মুহাম্মদ আব্দুচ্ছালাম চাটগামী ।।

দুনিয়াতে সকল রোগ-ব্যাধি মুমিনদের জন্য গুনাহ মাফের বড় মাধ্যম। এ প্রসঙ্গে আবু দাউদ শরীফে একটি অধ্যায়ের শিরোনাম রাখা হয়েছে এভাবে- باب الامراض مكفرات للذنوب
রোগ-ব্যাধি গুনাহের কাফফারা বা ক্ষতিপূরণ। অর্থাৎ সমস্ত রোগ-ব্যাধি রোগীদের গুনাহ মাফের মাধ্যম।

ইমাম আবু দাউদ রহ. এ শিরোনামের অধীনে দলিল হিসেবে এ হাদীস উল্লেখ করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

إِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا أَصَابَهُ السَّقَمُ ثُمَّ أَعْفَاهُ اللَّهُ مِنْهُ كَانَ كَفَّارَةً لِمَا مَضَى مِنْ ذُنُوبِهِ وَمَوْعِظَةً لَهُ فِيمَا يَسْتَقْبِلُ وَإِنَّ الْمُنَافِقَ إِذَا مَرِضَ ثُمَّ أُعْفِىَ كَانَ كَالْبَعِيرِ عَقَلَهُ أَهْلُهُ ثُمَّ أَرْسَلُوهُ فَلَمْ يَدْرِ لِمَ عَقَلُوهُ وَلَمْ يَدْرِ لِمَ أَرْسَلُوهُ.

মুমিন বান্দার উপর যখন কোনো রোগ-ব্যাধি আসে, এরপর যদি আল্লাহ তাকে সুস্থ করে তুলেন, তাহলে এ রোগ তার পেছনের সমস্ত গুনাহের জন্য ক্ষমার কারণ হবে এবং ভবিষ্যতে তার জন্য উপদেশ হবে। কিন্তু কাফের ও মুনাফিকদের যখন কোনো রোগ-ব্যাধি হয়, এরপর সুস্থ হয়, তখন তারা সেই চতুষ্পদ জন্তুর মতো হয়ে যায়, যাকে তার মালিক একবার বেঁধে রাখে, আবার ছেড়ে দেয়। কিন্তু সে জানে না, কেন তাকে বেঁধে রেখেছিল, আর কেনই-বা ছেড়ে দিল।

হাদীসের ব্যাখ্যা
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন বান্দার উপর যখন কোনো রোগ-ব্যাধি আসে, আর বান্দা সেটাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে মনে করে সবর করে, অতঃপর আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দেন, তাহলে এ রোগ তার পেছনের সমস্ত গুনাহের জন্য ক্ষমার কারণ হবে এবং ভবিষ্যতে তার জন্য গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার উপদেশ হবে।
কিন্তু কাফের ও মুনাফিকদের যখন কোনো রোগ-ব্যাধি হয়, তখন তারা সবরের পরিবর্তে হা-হুতাশ করে, চিৎকার-চেঁচামেচি করে এবং দিশেহারা হয়ে পড়ে। রোগ যে আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে তা বিশ্বাস করে না। এরপর চিকিৎসা ইত্যাদির মাধ্যমে যখন সুস্থ হয়ে ওঠে, তখন মনে করে, রোগ হয়েছিল, তাই ঔষধ খেয়েছি। ফলে রোগ সেরে গেছে। ব্যস, এতটুকুই। সুস্থতা যে আল্লাহ দান করেছেন, তা বিশ্বাস করে না। ফলে আগে যে গুনাহ করত, তা-ই করতে থাকে।’

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, এই কাফেররা মূলত একটা জানোয়ারের মতো। জানোয়ারকে যখন মালিক রশি থেকে ছেড়ে দেয়, তখন সে অন্যের ফসলের মাঠে চলে যায়। মালিক যখন দেখে, এই জানোয়ার তো এক জায়গায় থাকে না, নির্দিষ্ট খাবার ও চারণভূমিতে সন্তুষ্ট থাকে না, তখন সে জানোয়ারটাকে বেঁধে ফেলে। এক-দুদিন পর যখন আবার ছেড়ে দেয় এবং নির্দিষ্ট খাবার সামনে দেয়, তখন জানোয়ার আবারও এদিক-সেদিক ছুটোছুটি শুরু করে, অন্যের ফসলের মাঠ নষ্ট করতে শুরু করে। জানোয়ার বোঝে না যে, প্রথমবার অন্যের মাঠে যাওয়ার কারণেই মালিক তাকে বেঁধে রেখেছিল। আবারও যদি অন্যের মাঠে যাই, তাহলে মালিক আমাকে আবারও বেঁধে রাখবে। এটা না বোঝার কারণে যখন মালিক রশি ছেড়ে দেয়, তখনই জানোয়ার অন্যের মাঠে চলে যায়।

কাফের ও মুনাফিকের অবস্থা ঠিক এমনই। তারাও বোঝে না যে, কেন তারা রোগে আক্রান্ত হল, কেনই-বা আল্লাহ আবার সুস্থ করলেন। এসব তারা জানে না, চিন্তাও করে না। ফলে ওই জানোয়ারের মতো এ কাফের ও মুনাফিকও গুনাহ থেকে, কুফুর ও শিরক থেকে তাওবা করে না। তাদের সম্পর্কেই আল্লাহ ইরশাদ করেছেন- اُولٰٓئِكَ کَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّ ؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْغٰفِلُوْنَ এরা হল চতুষ্পদ জন্তুর মতো, বরং এরা তার চেয়েও নিকৃষ্ট, এসব লোকই গাফেল ও উদাসীন।

হাদীস শরীফে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কাফেররা রোগাক্রান্ত হয়ে বোঝে না যে, এই রোগ আল্লাহ তাআলা তাদের অবাধ্যতার কারণে দিয়েছিলেন। যার ফলে সুস্থ হয়ে যখন আবার নতুন জীবন শুরু করে, তখন ওই জানোয়ারের মতো আগের অভ্যাস অনুযায়ী অন্যদের মাঠে চলে যায়। অন্যের উপর জুলুম ও বাড়াবাড়ি করে। মানুষের হক নষ্ট করে। ফলে কিছুদিন পর আল্লাহ আবার রোগে আক্রান্ত করেন। কিন্তু তখনও সে আগের মতো হা-হুতাশ করতে থাকে। আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে না। আল্লাহর কালামের বিধানাবলি মানে না। ফলে আল্লাহ তাদেরকে কঠোরভাবে আটক করেন এবং কঠিন শাস্তি দেন।

বিপদের ফযীলত
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদি. থেকে বর্ণিত আরেক হাদীসে আছে, তিনি বলেন, আমি নবীজির মুখে শুনেছি, মুমিন বান্দার যখন কোনো বিপদ আসে, বড় হোক বা ছোট, তার বিনিময়ে গুনাহ মাফ করা হয়, মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। এমনকি যদি তার দেহে একটি কাঁটাও ফোটে, তার বদলায়ও গুনাহ মাফ করা হয় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। অর্থাৎ বিপদ মুমিনের জন্য কোনো বিপদ নয়; বরং আল্লাহর রহমতে পরিণত হয়ে যায়।

রোগ ও দুর্যোগ মোকাবিলা করতে চাওয়া নির্বুদ্ধিতা

কাফের ও মুনাফিকরা অনেক সময় অজ্ঞতার দরুন রোগ-ব্যাধি ও বিপদের মোকাবিলা করতে চায়। মূলত এটা তাদের চরম নির্বুদ্ধিতা ও দুর্ভাগ্যেরই পরিচায়ক। কারণ, আল্লাহ যখন বান্দাকে কোনো রোগ বা বিপদ দেন, মূলত তার উদ্দেশ্য থাকে বান্দা যেন আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে, তাওবা করে। কিন্তু যদি তাওবা না করে, ফিরে না আসে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা না চায়, বরং আরও অবাধ্য হয়ে নির্বুদ্ধিতা ও অজ্ঞতাবশত আল্লাহর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হয়, তাহলে এটা তাদের ধ্বংসই তরান্বিত করবে।

আরও পড়তে পারেন-

ইতিহাস সাক্ষী, নমরুদ এবং আরও অনেক রাজা-বাদশাহ আল্লাহর সাথে মোকাবিলা করতে চেয়েছিল; কিন্তু পরিণামে তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে গেছে। কার সাধ্য আছে বান্দা হয়ে আল্লাহর মোকাবিলা করবে? অসম্ভব। কওমে লুত, কওমে নুহ এবং কওমে হুদ এরা প্রত্যেকেই ছিল অনেক শক্তিশালী জাতি। মানবজাতির মধ্যে দৈহিক আকৃতিতে এরাই ছিল সবচেয়ে বড়। কিন্তু কেউ কি পেরেছে আল্লাহর সাথে মোকাবিলা করতে? কখনোই পারেনি। আল্লাহর সাথে মোকাবিলা করতে চাওয়াই হচ্ছে চরম পর্যায়ের বোকামি ও নির্বুদ্ধিতা। আল্লাহর আযাব একবার এসে পড়লে তা প্রতিরোধের সাধ্য কারও নেই। যদি কেউ করতে চায়, পরিণামে সে নিজেই ধ্বংস হয়ে যাবে। একজনের কারণে গোটা অবাধ্য জাতির উপর ধ্বংস নেমে আসবে।

আল্লাহর জন্য কাউকে ধ্বংস করা মোটেই কঠিন কাজ নয়। বরং এক মুহূর্তের মধ্যে তিনি ধ্বংস করে দিতে পারেন। তিনি তো সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান এবং মহাপরাক্রমশালী। তবে তিনি বড়ই সহনশীল। তাই বান্দাকে ছাড় দিতে থাকেন, যাতে বান্দা ফিরতে চাইলে ফেরার সুযোগ পায়। কিন্তু যদি ফিরে না আসে, তাহলে দুনিয়াতে হয়তো কোনো কারণে তাকে ধরবেন না। কিন্তু মৃত্যুর পর রয়েছে ভয়ানক শাস্তি।

মুমিন আল্লাহর বিশেষ বান্দা, ক্ষমা পেয়েই যায়

পক্ষান্তরে মুমিনদের সাথে আল্লাহর আচরণ অন্যরকম। কারণ মুমিনরা আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর ঈমান আনে এবং কুরআন ও হাদীসের বিধি-নিষেধ মেনে চলে। অন্তর থেকে তারা কুরআন ও হাদীসকে বিশ্বাস করে। তবে কখনো শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আল্লাহ ও রাসূলের অবাধ্য হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশ সময় সে নিজেই আবার ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। আর আল্লাহ তো পরম দয়াশীল। বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়, ঘরে হোক বা মসজিদে, দিনে হোক বা রাতে, অথবা গভীর রাতের আঁধারে, কেঁদে কেঁদে যখন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। একবারে যদি নাও করেন, বান্দা যখন দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার ক্ষমা চায়, মসজিদে যায়, নামায পড়ে, আগে যে গুনাহ করত তা ছেড়ে দেয়, পরিপূর্ণরূপে দীনের উপর চলতে শুরু করে, গুরুত্ব সহকারে শরীয়তের বিধি-বিধানের উপর আমল করতে শুরু করে, তখন আল্লাহ তো গফুরুর রহিম, একসময় না একসময় তার দয়া হয়েই যায়। মুমিন বান্দাকে তিনি ক্ষমা করে দেন।

অথবা বান্দাকে তিনি কোনো রোগে আক্রান্ত করেন, যাতে সে গুনাহ থেকে পবিত্র হয়ে যায়। অথবা বান্দাকে অন্য কোনো বিপদে ফেলেন। আল্লাহ তো প্রত্যেক বান্দার অবস্থা ভালোভাবে জানেন। তিনি তো সর্বজ্ঞ ও সর্বদ্রষ্টা। যে বান্দার জন্য যেটা কল্যাণকর হয়, তার জন্য তিনি সেটাই ফায়সালা করে দেন। একেকজনকে একেকভাবে ক্ষমা করেন।
মোটকথা, আল্লাহর কাছে ক্ষমার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়, তাওবা করে অথবা ইবাদত বাড়িয়ে দেয়, অথবা গুরুত্ব সহকারে নামায আদায় করতে শুরু করে, তখন যেকোনো এক ওসিলায় তিনি বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।

এর দ্বারা বোঝা গেল, মুমিনগণ আল্লাহর বিশেষ বান্দা। আসমান ও যমীনের মধ্যে যতটা ভিন্নতা ও পার্থক্য রয়েছে, ঠিক ততটাই ভিন্নতা ও পার্থক্য রয়েছে কাফেরদের বিপরীতে মুমিনদের সাথে আল্লাহর আচরণে। উদাহরণত দেখুন, আল্লাহ যখন মুমিনদের রোগ দেন, তখন তার উদ্দেশ্য বান্দাকে আযাব দেওয়া নয়; বরং গুনাহ মাফ করা। অথবা উদ্দেশ্য থাকে জান্নাতে বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি করা। অথবা বান্দাকে শহীদের মর্যাদা দান করা।

পক্ষান্তরে কাফের ও মুশরিকদের যখন রোগ দেওয়া হয়, তখন তার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে পরীক্ষা করা যে, তারা তাদের অবাধ্যতা থেকে ফিরে আসে কি না। যদি তারা তাওবা করে নেয় এবং আল্লাহর পবিত্র সত্তার উপর পূর্ণ ঈমান আনয়ন করে, আল্লাহ ও তার প্রিয় রাসূলের আদেশের উপর ঈমান আনয়ন করে, দীন ও শরীয়ত মেনে নেয়, তখন এই ফিরে আসা ও তাওবার বদৌলতে তাদেরকেও ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

আর যদি কাফেররা আল্লাহর কাছে ফিরে না আসে, কুফুরী ও পাপাচার থেকে তাওবা না করে, তাহলে দুনিয়াতেও তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়, মৃত্যুর পরেও চিরদিনের জন্য জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হয়। মোটকথা, রোগ-ব্যাধি, বালা-মুসিবত মুমিনদের জন্য রহমতস্বরূপ।

তাওবা খাঁটি হওয়া আবশ্যক

তবে এখানে স্মরণ রাখতে হবে যে, অনেকে সত্যিকারার্থে তাওবা করে না। শুধু মুখে বলে আল্লাহ তাওবা, আল্লাহ তাওবা। কিন্তু গুনাহ থেকে ফিরে আসে না। আগে মিথ্যা বলত, তাওবার পরেও তা বর্জন করে না। আগে গিবত করত, তাওবার পরেও করতে থাকে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েও গিবতের গুনাহ বর্জন করে না। আগে সুদি কারবার করত, তাওবা করেও সুদ বর্জন করে না। আগে ঘুস নিত, এখনো নেয়। আগে মানুষের উপর অন্যায় জুলুম ও অবিচার করত, এখনো করে। ব্যভিচারের অভ্যাস ছিল, তা-ও বর্জন করে না।

সুতরাং বোঝা গেল, তার তাওবা সত্যিকার তাওবা ছিল না। এটাকে বলা হয় মৌখিক তাওবা। এর দ্বারা গুনাহ মাফ হয় না, যেমন ছিল তেমনি থেকে যায়। এভাবে গুনাহের উপর অটল থেকে, রোগে আক্রান্ত হয়ে মুখে যদি বলে তাওবা তাওবা, আল্লাহ আমার গুনাহ মাফ করে দিন, অথচ অন্তরে গুনাহ বর্জনের দৃঢ় ইচ্ছা নেই, বরং সুস্থ হলে আগের মতোই গুনাহ করার ইচ্ছা আছে, তাহলে এটা মূলত কোনো তাওবাই নয়। বরং—আল্লাহ পানাহ—আল্লাহর সাথে একধরনের ঠাট্টার সমতুল্য। এ-জাতীয় তাওবার দ্বারা আল্লাহ কখনোই গুনাহ ক্ষমা করবেন না।

– আল্লামা মুফতি আব্দুচ্ছালাম চাটগামী, মুফতিয়ে আযম বাংলাদেশ এবং পরিচালনা পরিষদের প্রধান, জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম-হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।