Home লাইফ স্টাইল বোতলজাত পানির পরিবেশগত প্রভাব ‘কলের পানির চেয়ে ৩৫০০ গুণ বেশি’

বোতলজাত পানির পরিবেশগত প্রভাব ‘কলের পানির চেয়ে ৩৫০০ গুণ বেশি’

গবেষকেরা আরও দেখেন, বাস্তুতন্ত্রে বোতলজাত পানির প্রভাব কলের পানির চেয়ে ১৪০০ গুণ বেশি। বিজ্ঞানীদের খুঁজে পাওয়া তথ্য অনুসারে, প্রাকৃতিক সম্পদে বোতলজাত পানির প্রভাব কলের পানির তুলনায় ৩৫০০ গুণ বেশি। 

বোতলজাত পানির প্রভাবের এই পরীক্ষা স্পেনের বার্সেলোনাতে করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে কলের পানির গুণমানের উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও বোতলজাত পানি ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ধরনের গবেষণা  এটিই প্রথম।

বার্সেলোনা ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের (আইএসগ্লোবাল) নেতৃত্বে করা গবেষণায় দেখা গেছে, যদি শহরটির সকল মানুষ বোলতজাত পানি পান করে, তাহলে সম্পদ আহরণের খরচ কলের পানি পান করলে যে খরচ হতো, তারচেয়ে ৩৫০০ গুণ বেশি হবে। বছরে এই খরচের পরিমাণ ৮৩.৯ মিলিয়ন ডলার বা ৬০.৩ মিলিয়ন পাউন্ড।

আরও পড়তে পারেন-

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বোতলজাত পানির চাহিদা পূরণের জন্য প্লাস্টিক তৈরিতে বছরে ১৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের প্রয়োজন হয়। এছাড়া, যুক্তরাজ্যে বোতলজাত পানি কলের পানির চেয়ে কমপক্ষে ৫০০ গুণ বেশি ব্যয়বহুল।

পানির কলের সঙ্গে যুক্ত মূত্রাশয় ক্যান্সারের ক্ষুদ্র ঝুঁকির চেয়ে পরিবেশগত প্রভাব কমানো বেশি জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। পানীয় জল পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া নিম্ন স্তরের ট্রাইহলোমিথেনস (টিএইচএম) তৈরি করে, যা মূত্রাশয় ক্যান্সারের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। বলে রাখা ভালো, ইউরোপিয়ন ইউনিয়নে পানীয় জলের টিএমএইচ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

গবেষণার প্রধান লেখক এবং আইএস গ্লোবাল গবেষক ক্রিস্তিনা  ভিয়ানুয়েভা বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিষয়ক কারণগুলো বোতলজাত পানির ব্যাপক ব্যবহারকে সমর্থন করে না। তবে হ্যাঁ, কঠোরভাবে বলতে গেলে কলের পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। কিন্তু যখন আপনি দুটো তুলনা করবেন, বোতলজাত পানি পান করে আপনার লাভ খুবই কম। এটা বেশ স্পষ্ট যে, বোতলজাত পানির পরিবেশগত প্রভাব কলের পানির তুলনায় বেশি।’

ভিয়ানুয়েভা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এ গবেষণা বোতলজাত পানির ব্যবহার কমাতে সাহায্য করতে পারে; তবে এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আমাদের আরও সক্রিয় নীতি দরকার। উদাহরণস্বরূপ, বার্সেলোনায় আমরা জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য আরও শিক্ষামূলক প্রচারণা চালাতে পারি। সাধারণের জন্যে উন্মুক্ত আমাদের পানি, ফোয়ারা ও বিল্ডিংগুলোতে অবস্থার উন্নতি করতে হবে, যেখানে যে কেউ নিজের বোতল আনতে পারবে।’

‘লোকেরা বোতলজাত পানির ওপর আস্থা রাখে, কারণ বিজ্ঞাপনদাতারা এই পানিকে একটি ভালো বিকল্প হিসাবে তুলে ধরতে সফল হয়েছেন। তাই আমাদের অন্যদিকে প্রচেষ্টার দরকার,’ বলে উল্লেখ করেন ভিয়ানুয়েভা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।