আত্মীয়তা বা ইসলামের অংশীদারীত্বের সুবাদে যেমন অনেক হক্ প্রমাণিত হল, তেমনি অনেক হক্ আছে যেগুলো শুধু জাতিগত মতৈক্যের কারণে প্রমাণ হয়। অর্থাৎ শুধু মানুষ হওয়ার কারণে তাদের প্রতি সদাচরণ করা অবশ্য কর্তব্য হয়ে পড়ে। যদিও তারা মুসলমান না হয়।
হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “মনে রেখ, যদি কোনো মুসলমান কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালায়, তার অধিকার খর্ব করে, তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি আল্লাহর আদালতে তার বিরুদ্ধে অমুসলিম নাগরিকের পক্ষে মামলা দায়ের করব”। (আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং- ৩০৫২)।
ইসলামে অমুসলিমদের সাথে একজন মুসলমানের আচরণ কেমন হবে বা অমুসলিমদের অধিকার সম্পর্কে রূপরেখা দিয়েছে। তন্মধ্যে প্রধান প্রধান কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করছি।
(১) অন্যায়ভাবে কাউকে আত্মিক বা অর্থনৈতিকভাবে কষ্ট না দেওয়া।
(২) শরয়ী কারণ ছাড়া কারো সাথে রূঢ় আচরণ না করা।
(৩) কোন বিপদাপদ, খাদ্যসংকট বা অসুস্থতায় পড়তে দেখলে তাকে সাহায্য করা। ক্ষুধার্ত হলে অন্ন দান করা এবং অসুস্থ হলে চিকিৎসা ও সাধ্যমতো সেবা-সুশ্রুষা করা।
(৪) যেসব কারণে শরীয়ত শাস্তির বিধান দিয়েছে, জাতিগত বিদ্বেষ বা ক্ষোভ পোষণ করে যুলুম ও বাড়াবাড়ি না করা।
(৫) অন্যায়ভাবে কোনরূপ ভয়-ভীতি বা লোভ-লালসা না দেখানো।
(৬) সামাজিক সদ্ভাব ও সদাচরণ এবং সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের সাথে কোনরূপ বৈষম্য না করা।
(৭) যে কোন মানবিক প্রয়োজন ও সংকটে সহযোগিতা করা।
(৮) তাদের ধর্মীয় রীতি ও উপাস্যদেরকে গালাগাল বা প্রকাশ্যে কটাক্ষ করে আঘাত না দেওয়া।
(৯) সাম্প্রদায়িক পার্থক্যের কারণে তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন বা কটাক্ষ না করা।
(১০) মানবিক, সামাজিক ও সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে অমুসলিমরা সহযোগিতা চাইলে সাধ্যমতো সহযোগিতাদানের চেষ্টা করা।
উম্মাহ২৪ডটকম:এমএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com