Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এক বছরের জন্য মঙ্গলের আবহে বসবাসের সুযোগ

এক বছরের জন্য মঙ্গলের আবহে বসবাসের সুযোগ

এক বছরের জন্য মঙ্গলে বসবাসের এক চমৎকার সুযোগ মিলেছে চারজনের ভাগ্যে। এই চারজনকে মঙ্গলে মিশনের জন্য বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা। এ জন্য আবেদন নিতেও শুরু করেছে নাসা। তবে তাই বলে এই চারজন সত্যি সত্যি এক বছর মঙ্গলে কাটাচ্ছেন না। তাঁরা এক বছর থাকবেন এই পৃথিবীতে, তবে ঠিক মঙ্গল গ্রহের আবহে।

মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণের জন্য টাকার বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিচ্ছে নাসা। তার আগে নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবীরা এক বছর টেক্সাসের জনসন স্পেস সেন্টারে মার্স দুনে আলফায় (থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে তৈরি কৃত্রিম মঙ্গল গ্রহ) অবস্থান করবেন। পাশাপাশি তাঁরা মহাকাশে নাসার মঙ্গল মিশনে কাজেরও সুযোগ পাবেন। মঙ্গলের আলফায় কঠিন পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে তাঁদের পুরো এক বছর। আর নাসার চ্যালেঞ্জ এটাই।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা মঙ্গল গ্রহে নভোচারী পাঠানোর আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে স্বেচ্ছাসেবীদের আবেদন করার এই সুযোগ দিচ্ছে। মার্স ডুনে আলফায় এক বছরের এই মিশনে চারজন থাকতে পারবেন, গত শুক্রবার থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে।

গতকাল স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নাসার প্রধান বিজ্ঞানী গ্রেস ডগলাস বলেন, ‘আমরা মঙ্গল গ্রহের বাস্তব চিত্র বুঝতে চাই, মানুষ সেখানে গিয়ে কীভাবে কাজ করবে, সেটা আমাদের বোঝা প্রয়োজন। এ জন্য আবেদনকারীকে বিজ্ঞান, প্রকৌশল কিংবা গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে, থাকতে হবে বিমান চালানোর অভিজ্ঞতাও।

আরও পড়তে পারেন-

শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অথবা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসরত অধিবাসীরাই স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ থেকে ৫৫ বছর। আবেদনকারীকে অবশ্যই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। খাদ্যাভ্যাসে কোনো বাছবিচার থাকা চলবে না এবং মোশন সিকনেস থাকা যাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিস্টনে জনসন মহাকাশ সেন্টার ভবনের ভেতর ১ হাজার ৭০০ বর্গফুট মঙ্গলের আদলে তৈরি স্থাপনাটি থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে নির্মাণ করা করা হয়েছে। সেখানে কোনো জানালা থাকবে না, এ ছাড়া আবেদনকারীকে মহাকাশে উপযোগী খাবারে অভ্যস্ত হতে হবে। মঙ্গল মিশনের অংশ হিসেবে মহাশূন্যে হাঁটা, পরিবারের সঙ্গে সীমিত যোগাযোগ, নিয়ন্ত্রিত খাবার ও সুযোগ-সুবিধা এবং যন্ত্রপাতি কম ব্যবহার করতে হবে। এই ধরনের তিনটি মিশনের পরিকল্পনা করছে নাসা, যার প্রথমটি ২০২২ সালে শুরু হওয়ার কথা।

কানাডার নভোচারী ক্রিস হাডফিল্ড বলেন, নভোচারী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে এমন কাউকেই নাসা খুঁজছে। এটা বেশ ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে, যদি তারা মঙ্গলে যাওয়া নভোচারীদের মতো হয়। তিনি আরও বলেন, এর আগে মার্স-৫০০ নামে রাশিয়ার মিশন ভালোভাবে শেষ হয়নি। এর অন্যতম কারণ ছিল ওই মিশনে সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছিল।

তবে নাসার এই মিশনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে কী পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

উম্মাহ২৪ডটকম:এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।