Home মহিলাঙ্গন ইসলামের আলোকে দুনিয়া ও আখেরাতে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা

ইসলামের আলোকে দুনিয়া ও আখেরাতে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা

।। আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন ।।

আল্লাহ তাআলা মহিলাদেরকে যেভাবে দুনিয়াতে মর্যদা ও সম্মানিতা বানিয়েছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষদের সমান মর্যাদা, আর কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষ থেকেও বেশী দিয়েছেন। তদ্রুপ আখেরাতেও সাওয়াবের দিক দিয়ে অধিক মর্যাদাশীল করেছেন। যেমন- আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি নেক আমল করবে, চাই পুরুষ হোক বা নারী হোক, যদি ঈমানদার হয়, তাকে আমি দুনিয়াতে প্রশান্তির যিন্দেগী দান করব এবং পরকালে তাদের আমলের উত্তম প্রতিদানে তাদেরকে পুরুষ্কৃত করব”।

উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই সমান মর্যাদার বলে ঘোষণা করেছেন। যেমন- অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন, “হে মানব মণ্ডলী! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ ও একজন নারী হতে এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও। নিশ্চয় আল্লাহর  কাছে সেই সর্বাধিক সম্ভ্রাš, যে সর্বাধিক পরহেযগার।

উক্ত আয়াতের ভাষ্যে বুঝা যাচ্ছে যে, কোন মহিলা যদি পুরুষ থেকেও অধিক পরহেযগার হয়ে থাকে, তবে তার মর্যাদা পুরুষ থেকেও বেশী হবে।

হযরত আনাস (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “এই পৃথিবীর মধ্যে আমার প্রিয় বানানো হয়েছে- নারী ও সুগন্ধি এবং নামাযের মধ্যে আমার চোখের শীতলতা। উক্ত হাদীস থেকেও জানা যায় যে, মহিলাগণ আল্লাহর  নবীর প্রিয় হওয়ার, অর্থাৎ- পুরুষদের থেকেও অধিক মর্যাদাশীল হওয়ার সম্মান লাভ করেছেন।

উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা.)! দুনিয়ার (দ্বীনদার) নারীগণ কি (জান্নাতের) সুন্দরী হুরেঈনদের থেকেও উত্তম? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার (দ্বীনদার) নারীগণ বেহেস্তের সুন্দরী হুরদের থেকেও উত্তম। যেমন- কাপড়ের উপরের পীঠ কাপড়ের ভিতরের পীঠ হতে উত্তম। (একজন হামেলা গর্ভদ্বারক মহিলার দুই রাকআত নামায অন্য মহিলার আশি রাকআত নামায থেকেও উত্তম)।

নেক্কার মহিলাদের ফযীলত

হযরত ইবনে ওমর (রাযি.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র বাণী বর্ণনা করেন যে, এ বিশ্ব ভূ-মন্ডলে পুরোটাই ভোগ সম্ভার ও আনন্দ উল্লাসের সামগ্রী। তন্মধ্যে সর্বোত্তম সামগ্রী হল নেক ও সৎকর্ম পরায়ণ নারী। একজন নেক ও সৎকর্ম পরায়ণ মহিলা এক হাজার বে-আমল পুরুষ হতে উত্তম। নিশ্চয় পৃথিবীর নেক বখ্ত নারীগণ জান্নাতের মধ্যে সত্তর হাজার আনত নয়না রূপসী হুরদের চেয়েও উত্তম হবে।

হযরত আনাস (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ যাকে নেককার দ্বীনদার স্ত্রী দান করেছেন, তাকে অর্ধেক দ্বীন দ্বারা সাহায্য করেছেন। এখন তার কর্তব্য হলো সে “তাক্বওয়া” (খোদাভীরুতা) দ্বারা বাকী দ্বীন অর্জন করুক।

হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নেককার ও ফরমাবরদার নারী প্রকৃত স্বামীর ধর্ম কর্মে সাহায্য কারীনী।

হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি.) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে তার দ্বীনদারী ও সৌন্দর্যের ভিত্তিতে বিবাহ করে, তাহলে সেই নিজের অধঃপতন (ও অমঙ্গল)এর পথে প্রাচীর নির্মাণ করল।

হযরত আবু উমামা (রাযি.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী বর্ণনা করেন যে, মুমিন বান্দা খোদা ভীরুতা অর্জনের পর নিজের জন্য সব চেয়ে উত্তম বস্তু, যা সে নির্বাচন করে, তাহল নেক বখত স্ত্রী। যার গুণ এমন যে, স্বামী যখন তাকে কোন কাজের আদেশ দেয়, তখন তা পূর্ণ করে। যখন স্বামী তার পানে থাকে, তাকে সন্তুষ্ট করে দেয়। আর যদি তার ব্যাপারে কোন শপথ করে, তা পূর্ণ করতে স্বামীকে সহযোগিতা করে, আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজেকে ও স্বামীর ধন-সম্পদের হিফাজত করে।

পুরুষের পূর্বে মহিলারা জান্নাতে প্রবেশ করবে

হযরত আবু উমামা (রাযি.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হে নারী জাতি! তোমাদের মধ্যে যারা নেক্কার, তারা নেক্কার পুরুষদের আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদেরকে গোসল দিয়ে খুশবু মাখিয়ে নিজ নিজ স্বামীর নিকট অর্পণ করা হবে। তখন তারা লাল ও হুলুদ বর্ণের বাহনের উপর উপবিষ্ট থাকবে। তারা ছড়িয়ে থাকা মুক্তার মত কচিকচি শিশুদের পরিবেষ্টিত থাকবে।

হযরত ইবেন মাসউদ (রাযি.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী বর্ণনা করেছেন, জান্নাতে প্রবেশের সময় সব চেয়ে অগ্রগামী ঐ সমস্ত মহিলাগণ হবেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে অগ্রগামিনী।

নেককার ও বদকার মহিলার উদাহরণ নবীর ভাষায়

হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবযী (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নেক্কার মহিলা নেক্কার পুরুষের বিবাহ বন্ধনে এমন, যেমন বাদশাহ্র মাথায় মল্যবান পাথর খচিত তাজ মুকুট। আর নেক্কার লোকের বিবাহ বন্ধনে বদ্কার মহিলা এমন, যেমন- বৃদ্ধ লোকের মাথায় ভারী বোঝা।

মহিলারা ঘরে বসে শহীদের সাওয়াব লাভ করবে

হযরত ইবনে মাসউদ (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা নারীদের উপর সতীত্ব সংরক্ষণ বোধ ফরয করেছেন। অতঃপর তাদের মধ্যে যে ঈমান ও সাওয়াবের আশায় (সতীত্ব রক্ষা করতঃ) ধৈয্য ধারণ করবে, সে শহীদের সাওয়াব পাবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ সত্যবাদী নারী, ধৈয্যশীল পুরুষ ধৈর্যশীলা নারী, বিনীত পুরুষ বিনীতা নারী, দানশীল পুরুষ দানশীলা নারী, রোযা পালনকারী পুরুষ রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী পুরুষ যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী নারী, আল্লাহর  অধিক যিকিরকারী পুরুষ অধিক যিকিরকারী নারী, তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহা পুরুষ্কার।

নেককার ও মুমিন না হয়ে মানুষ হয়েও লাভ নেই

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত, বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফিল। (সূরা আরাফ-১৭৮ আয়াত)।

নেককার হওয়ার প্রথম শর্ত ঈমান

হযরত জিব্রাঈল (আ.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে জিজ্ঞাসা করেন, হে মুহাম্মদ (সা.)! ঈমান কাকে বলে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বলেন, (১) আল্লাহর  উপর ঈমান আনা ও আল্লাহর  ফেরেস্তাদের উপর ঈমান আনা (৩) আল্লাহর  অবতীর্ণ কিতাব সমহের উপর ঈমান আনা (৪) আল্লাহর  প্রেরিত রাসূলগণের উপর ঈমান আনা (৫) আখেরাতের দিনের উপর ঈমান আনা (৬) ভাল-মন্দ তাক্বদিরের উপর বিশ্বাস করা ও মৃত্যুর পর পূণরায় জীবিত হওয়ার উপর ঈমান আনা। এই উত্তর শুনে জিব্রাঈল (আ.) বলেন যে, আপনি সত্য বলেছেন। শিরকী ও কুফরী আক্বীদা হতে বেঁচে থাকা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বাণীর উপর পূর্ণ বিশ্বাস করা।

আরও পড়তে পারেন-

মহিলারাও কীভাবে জানবাজী রেখে ঈমানের উপর মজবুত ও অটল ছিলেন, তার উদাহরণ স্বরূপ নিম্নে কয়েকটি ঘটনা উপস্থাপন করা হল-

বিবি আসিয়া (রাযি.)

ফেরাউনের মত কাট্টা কাফির, যে দাবী করেছিল, “আনা রাব্বুকুমুল আলা” আমি তোমাদের বড় প্রভু, তার ঘরে তার স্ত্রী বিবি আসিয়া (রাযি.) ছিলেন পাক্কা ঈমানদার মুমিন। একবার ফিরাউন বিবি আসিয়াকে হাত-পা’ গাছের সাথে পেরেক মেরে বলছিল, তুমি আমাকে রব স্বীকার কর, না হয় তোমাকে এখন হত্যা করা হবে। হযরত বিবি আসিয়া তার কথায় কর্ণপাত না করে ঈমানের বলে বলীয়ান হয়ে ঐ রূপ ভয়াবহ অবস্থায়ও আল্লাহর  দরবারে প্রার্থনা করে বলেন- হে আমার প্রভু! আমার জন্য আপনার নিকট জান্নাতে একটা ঘর নির্মাণ করুন। এবং আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং যালিম সম্প্রদায় হতে মুক্তি দিন।

মাশেতায়ে বিনতে ফিরাউনের সুগন্ধী

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজের রাত্রে খুব মনমাতানো সুগন্ধি পাচ্ছিলেন। অতঃপর জিব্রাঈল (আ.) উত্তরে বললেন, এই ঘ্রাণ হল মাশেতায়ে বিনতে ফেরাউন ও তার সন্তানদের। এরপর তার বিস্তারিত ঘটনার বর্ণনা দিলেন। উক্ত মহিলা ফেরাউনের মেয়ের মাথা আচড়াচ্ছিলেন। এ সময় হাত হতে চিরুনী পড়ে যায়। অতঃপর তিনি বিসমিল্লাহ বলে চিরুনী উঠিয়ে নিলেন। ফেরাউনের মেয়ে বিসমিল্লাহ শুনে জিজ্ঞাসা করল, আল্লাহ কে? বিসমি আবি তথা আমার পিতার নাম নিয়ে কেন চিরুনী উঠালে না। তখন  তিনি তাকে উত্তর দেন, আমার রব, তোমার রব এবং তোমার পিতার রবও হলেন- আল্লাহ্। একথা শুনে ফেরাউনের মেয়ে ফেরাউনের নিকট গিয়ে বলল- এই মেয়ে তোমাকে ছাড়া অন্যকে রব স্বীকার করছে। এরপর ফেরাউন তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করল- আল্লাহ কে? তিনি উত্তরে বললেন, আমার, আপনার, সবার রব হলেন- আল্লাহ্। অতঃপর ফেরাউন তাকে এই ঈমান থেকে ফিরে আসার জন্য অনেক ধমকী দিল ও ভীতি প্রদর্শন করল। তাকে ও তার সন্তানদেরকে আগুনে জ্বালানোর ভয় দেখালো এবং আগুন জ্বালিয়ে তার এক কন্যাকে আগুনে নিক্ষেপ করল। অতঃপর দ্বিতীয় শিশু, যে দুধ পান করে এবং এখনো বুলি ফোটেনি, তাকেও আগুনে নিক্ষেপ করল। এই শিশু আগুন থেকে তার মাকে বলতে লাগল- হে আমার আম্মা! তুমি অটল থাক, পিছে হটো না, তুমিই হক্বের উপর আছ। এরপর ঐ মহিলাকেও আগুনে নিক্ষেপ করা হল। এভাবে তিনি সন্তানসহ শাহাদাত বরণ করলেন। তবুও ঈমান ছাড়েননি। এদের সুগন্ধিই রাসূল (সা.) মিরাজের রাত্রে পেয়েছিলেন।

হযরত সুমাইয়্যা (রাযি.)এর ঘটনা

ইসলামের জন্য সর্বপ্রথম শাহাদাত বরণকারীনী মহিলা হলেন, হযরত সুমাইয়্যা (রাযি.)। একদিন তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন। এমতাবস্থায় দুষ্ট আবু জেহেল কোথা হতে এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করল। এবং অতি মাত্রায় রাগান্বিত হয়ে হযরত ছুমাইয়া (রাযি.)এর লজ্জাস্থানে বর্শা নিক্ষেপ করল। এই অমানুষিক আঘাতে তিনি শাহাদাত বরণ করলেন।

হযরত খাদিজা (রাযি.)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রথম সান্ত্বনা দানকারীনী ছিলেন হযরত খাদিজা (রাযি.)। যখন নবুওয়াত প্রাপ্ত হন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়াতের গুরু দায়িত্বের কারণে অনেকটা ভয় পেয়েছিলেন। এসময় হযরত খাদিজা (রাযি.)রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাš¡না দান করেন। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য প্রথম সম্পদ ব্যয়কারীণী এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীনী মহিলাও তিনি ছিলেন।

লেখকঃ উস্তাদুল হাদীস ওয়াল ফিক্বহ এবং সহকারী পরিচালক- আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।