নবী-রাসুলদের জীবনী নিয়ে সিনেমা ও প্রামাণ্যচিত্র তৈরির ইতিহাস নতুন নয়। প্রায় গত শতকের আশির দশক থেকে পূর্ববর্তী নবীদের জীবনীভিত্তিক সিনেমা তৈরির প্রবণতা শুরু হয়। এ পর্যন্ত নবী-রাসুলদের নিয়ে তৈরি মুভিগুলোর মধ্যে মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনীভিত্তিক ‘আর-রিসালাহ’ বা ‘দ্য ম্যাসেজ’ (১৯৭৬), মুসা (আ.)-এর জীবনীভিত্তিক ‘এক্সডাস : গডস অ্যান্ড কিংস’ (২০১৪), মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনীনির্ভর ‘মুহাম্মদ : দ্য লাস্ট প্রফেট’ (২০০২), ইউসুফ (আ.)-এর জীবনীনির্ভর টিভি সিরিজ ‘প্রফেট জোসেফ’ (২০০৯) এবং নুহ (আ.)-এর জীবনীনির্ভর ‘নুহ’ (২০১৪) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়তে পারেন-
- উলামায়ে কেরামের প্রতি মুফতি শফী (রাহ.)এর দরদমাখা নসিহত
- কম্পিউটার চিপ শিল্প: জলবায়ুর উপর ফেলছে ভয়ঙ্কর প্রভাব
- ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করে ইসরায়েল
- ব্যতিক্রমী এক ইসলামী আইন গবেষক
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
নবী-রাসুলদের জীবনীনির্ভর এসব মুভি তৈরির বিষয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছেন মুসলিম বিশ্বের খ্যাতিমান আলেমরা। কেননা, তাঁরা মনে করেন এর ফলে তাঁদের সম্মানহানি ঘটছে, তাঁদের জীবন ও কর্মকে সীমাবদ্ধ ও সংকীর্ণ করে ফেলা হচ্ছে। সর্বোপরি এসব সিনেমায় অগ্রহণযোগ্য সূত্রগুলোকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং গল্পের স্বার্থে তাতে এমন সব মনগড়া গল্প-কথা যুক্ত করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই একজন নবীর ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য নয়।
সম্প্রতি ভারতের বিখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ তাদের ওয়েবসাইটে একটি ফতোয়া প্রকাশ করেছে। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ৬০৬৫০৭ নম্বর প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তৈরি নবীদের জীবনের ওপর তৈরি সিনেমা দেখা কি জায়েয? যদি জায়েয না হয় তাহলে কেন নয়? দারুল উলুম দেওবন্দ বলেছে, এ ধরনের তৈরি মুভিগুলোতে নিষিদ্ধ ও নাজায়েয ছবি, সংগীত, কাল্পনিক পরিস্থিতি আর অতিরঞ্জিত গল্প আছে, যেগুলো নবীদের ব্যাপারে আলোচনা করা ও দেখানো জায়েয হবে না।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ