Home সোশ্যাল মিডিয়া স্কুল জীবনে আমার প্রিয় শিক্ষক

স্কুল জীবনে আমার প্রিয় শিক্ষক

।। মুহাম্মাদ হাবীব আনওয়ার ।।

আমাদের জীবনে এমন কিছু মানুষের ভালোবাসা, শাসন, সোহাগ কিংবা সমালোচনা এত বেশি পরিমাণ জরুরি যে, এর মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের আসল পথ ও লক্ষ্য খুঁজে পাই। তাঁরা আসেনও, তবে খুব দ্রুতই অনেকে হারিয়ে যান। কিন্তু আমাদের জীবনের মোড়কে বদলিয়ে দেন কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে। আমাদের এই জীবনের শুরুতেই সর্বাধিক সুন্দর, শান্তির ও উপকারী সাক্ষাৎ হয়ে থাকে এমন কিছু মানুষের সাথে, যারা আমাদের পেছনে সময়, শ্রম দিয়ে শিক্ষা দিক্ষা ও ব্যাপক কল্যাণে প্রভাব বিস্তার করে হিতৈষী বন্ধুর মত। হৃদয়ের সবটুকু মায়া-মমতার পরশ বুলিয়ে হৃষ্টচিত্ত নিয়ে হৃদ্যতার আলতো ছোঁয়া একে আমাদের জীবনে এনে দেয় বসন্তের সজীবতা। আর তাঁরা হলেন আমাদের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী।

পৃথিবীর শুরু থেকেই শিক্ষক শব্দটির ব্যবহার হচ্ছে। প্রতিটি জাতি সভ্যতার জন্য রয়েছে শিক্ষক। সভ্যতা যখন পচনধরা ঘায়ে লেপ্টে গিয়ে শিক্ষক সম্প্রদায়ের উপর নানারকম নির্যাতন ও অসম্মান করে তখনো তাঁরা শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা বিনাবাক্যে স্বীকার করে। মোটকথা এখন পর্যন্ত কোন জাতির আবির্ভাব হয়নি যারা শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করেছে। শিক্ষক সমাজের উন্নতি-অগ্রগতি, সম্মান-অপমান সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। একটা সময় ছিল যা আমরা ইতিহাসের গল্পে পড়েছি যে, ছেলের শিক্ষকের সামনে সুবোধ বালকের নেয় হাবাগোবা হয়ে বসে থাকতেন, রাজা বাদশাহগণ। আবার এর বিপরীতে ছাত্রের কিংবা অভিভাবকের হাতে রক্তাক্ত হয়েছেন শিক্ষক এমন শিরোনামও পড়তে হয় আমাদের মত কপাল পোড়াদের! শিক্ষা, শিক্ষক ও ছাত্র! শব্দ তিনটি একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার যেমন মূল্য নেই তেমনি নেই শিক্ষা ছাড়া শিক্ষকের। আবার ছাত্র ছাড়াও শিক্ষা ও শিক্ষকের। এই অবস্থায় এসে একে অপরের প্রতি যদি সহনশীল না হয় তাহলে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ থাকবে না।

ইতিহাসের মহানায়কদের মত আমার জীবনের আছে সম্মানিত শিক্ষক মহাদয়গণের প্রভাব। যাদের কষ্ট ক্লেশ, শাসন-সোহাগ ও দুআর বদৌলতে আজ কিছুটা অর্জন করতে পেরেছি। যদের ঋণ কখনো শোধ করার দুঃসাহস আমার হবে না। কারণ, শিক্ষকের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না!

আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক আমার মা বাবা! এরপরে প্রাথমিক শিক্ষার শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে আজও মূর্তিমান হয়ে আছেন, বদরুজ্জামান স্যার। আমার বয়স তখন ৬ হবে। বাড়ি থেকে মাইল তিনেক দূরে চঁন্ডিদাসগাতী বাজারে মর্ণিং স্টার কিন্ডারগার্টেনে খুব প্রত্যুষে আমাকে নিয়ে রওয়ানা হলেন। সেদিনের স্মৃতি আজও আমার সামনে জ্বলজ্বল করছে। অভাবের সংসারে মাসিক ৬০ টাকা বেতনের স্কুলে আমাকে ভর্তি করিয়ে পড়ালেখা চালাতে পারবেন কিনা এই নিয়ে আগের রাতে বাবা-মার কানাঘুষা মূলক আলোচনা কখনো ভুলতে পারবো না। আজও আমার কানে বাজে বাবার সেই দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাসের আওয়াজ। আব্বা বলেছেন, খেয়ে না খেয়ে থাকবো তবুও ছেলেকে ভালো স্কুলে পড়াবো। আল্লাহ অবশ্যই মুখ তুলে চাইবেন।

সেদিন মোরগ ডাকারও আগে আমাকে ডাকা হলো। আমিও প্রফুল্লচিত্তে তড়িঘড়ি করে উঠলাম।আব্বার সাইকেলের পেছনে বসে রওয়ানা হলাম জীবনের প্রথম পাঠ নিতে। ভোরের আলো তখনো পুরোপুরি ছড়ায়নি! হালকা শীতের সাথে কুয়াশাও ছিল। অনেকের ঘরের প্রদীপ্ত প্রদীপ তখনো জ্বলছিল। চারদিকে নিরব-নিস্তব্ধ। কোথাও কারো সাড়াশব্দ নেই। গ্রামের পেঁচালো রাস্তা বেয়ে ছুটে চলছি আমরা দু’স্বপ্নবাজ বাপ-বেটা। মিনিট বিশেক পরে আমরা একটা স্কুলের সামনে থামলাম। শ ২শ ছাত্র পড়তে পারবে এমন দু’টি ঘরে সবে শুরু হয়েছে পাঠদান। টিনের ঘরে খুব সাদামাটা পরিবেশে আগামীর প্রজন্ম গড়ে তোলার এক মহান কর্তব্য পালনে ব্যস্ত শিক্ষকগণ। আব্বা সাইকেলটা একটা কোণায় রেখে আমাকে নিয়ে দুরুদুরু বুকে গিয়ে দাঁড়ালেন প্রধান শিক্ষকের সামনে। অফিস কক্ষে ঢুকেই যাকে পেলাম তিনিই প্রধান শিক্ষক। সুঠাম দেহ। চওড়া কাঁধ। পুরুষ্টু মুখাবয়ব। মাথায় কুচকুচে কালো চুল। ডান দিকে বিনিকাটা। হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। টগবগে যুবক। পুরাদস্তুর সজ্জন ব্যক্তি। প্রথম সাক্ষাতে তাঁর প্রতি যে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ হৃদয়ে প্রোথিত করেছিলাম ঐ স্কুলে পড়ার ৪ বছরে সেই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় একবিন্দু ছেদও পরেনি। আর আমিও চেয়েছি আমার প্রতি তাকে প্রীত রাখতে। স্যারের কাছে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়েছিলাম। বইটার নাম ঠিক মনে নেই। তবে সপ্তাহে একদিন ক্লাস নিতেন। ক্লাসে এসেই প্রথমে সবার দিকে একপলক তাকিয়ে নিতেন প্রিয়দর্শীর মত। কথা বলতেন খুব আস্তে, ঘুছিয়ে ও স্পষ্ট করে। কথার সাথে বডি ল্যাঙ্গুজের সঠিক ব্যবহারের কারণে, তাঁর কথা বুঝতে কারো অসুবিধে হতো না! তাঁর কাছে কেউ কিছু চেয়ে প্রার্থিত হয়েছে এমনটা আমরা কখনোই দেখিনি। স্যার ক্লাসে এসেই হাবীব বলে মিষ্টি করে যে ডাক দিতেন তা আমি এখনো অনুভব করতে পারি। স্যারের আদর-সোহাগ, ভালোবাসার মগ্নতা স্কুলের সীমানা পেরিয়ে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। স্যার সবসময়ই চেষ্টা করতেন, ক্লাসেই পড়া মুখস্থ করাতে। তাই তাঁর পাঠপদ্ধতিও ছিল সবার চেয়ে ভিন্ন ও আকর্ষিত। স্যার থেকে পড়া বুঝে নেওয়ার জন্য সবসময় ছাত্রছাত্রীরা ভীড় করতো। স্যারও আনন্দচিত্তে সবার প্রতি সদয় আচরণ প্রদর্শন করতেন।

চতুর্থ শ্রেণীর বার্ষিক পরিক্ষার ফি ও মাসিক বেতন নিয়ে পরে গেলাম বিপাকে! বাবার অভাবের সংসারে তখন ২৫০ টাকা দেওয়ার সাধ্য ছিল না। অগত্যা কয়েকদিন স্কুলে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে দৈন্যতায় ভুগছিলাম। স্কুলে না যাওয়ার আনন্দ আমাকে ভালোভাবেই ঝেঁকে ধরেছিল। তবে স্যার আর সহপাঠীদের ভালোবাসা আমাকে বিষণ্ণতায় ফেলতো। হঠাৎ একদিন ভরদুপুরে স্যার আমাদের বাড়ির উঠানে! আমার স্কুলে না যাওয়ার কারণ জানতে চৈত্রের কাঠফাটা রোদে পায়ে হেঁটে মাইল তিনেক রাস্তা মারিয়ে এসেছেন শুনে আমার বাবা-মা খুশিতে কেঁদেছিলেন। সব শুনে পরদিন স্কুলে যেতে বললেন। আমি আবার স্কুলে নিয়মিত হলাম। শিক্ষকদের আদর, শাসন আর সহপাঠীদের ভালোবাসায় আবার একীভূত হয়ে গেলাম স্কুলের সাথে। বার্ষিক পরিক্ষার পরে সিদ্ধান্ত হলো আমাকে হিফজ বিভাগে ভর্তি করাবেন। পরিবারের সিদ্ধান্তের উপর এখন যেমন অনুগত থাকি তখনো ছিলাম। সর্বশেষ স্যারের কাছে বিদায় নিতে উপস্থিত হলাম তাঁর সামনে। ভয় ও লজ্জায় মাথা নিচু করে দাঁড়ালাম। স্যার মাথায় হাত বুলিয়ে দুআ করে দিলেন। অভয় দিয়ে বললেন, তুমি চলে যাচ্ছো এজন্য বিষণ কষ্ট হচ্ছে, তবে তুমি হাফেজ হতে যাচ্ছো শুনে বুকটা গর্বে ভরে যাচ্ছে। তোমার প্রতি আমার দুআ সবসময়ই থাকবে। তুমি হাফেজ হবে। আমাদের জন্য কুরআন পড়ে দুআ করবে এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। সেদিন স্যারের চোখের আনন্দাশ্রু দেখে নিয়ত করেছিলাম, হাফেজ হয়ে স্যারের হাত চুম্বুন করে বলবো, আপনার দুআ কবুল হয়েছে। আমিও আপনার কথা রেখেছি। কিন্তু তা আর হলো না! চলে আসার মাস কয়েক পরে স্যার ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লাহ! আল্লাহ তাআলা স্যারকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করুন! আমিন!

আরও পড়তে পারেন-

গ্রামের প্রাইমারিতে আরো ২ জন স্যারের ভালোবাসায় শিক্ত হয়েছি। আমাদের গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে রাস্তার পরে যে পুকুরটা আছে। সেই পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে সোজা পূর্ব দিকে তাকালে যে গ্রামটি দেখা যায় সেই গ্রামটির নাম বড় হাম কুড়িয়া। পুকুরের পূর্ব পাশে বিস্তৃত আবাদি মাঠ। কৃষকেরা মৌসুমি ধান চাষ করে। দুই জমির মাঝে সুরু পথকে আমাদের এলাকায় আইল বলে। যার মাধ্যমে সীমানা নির্ধারিত করে। প্রায় মৌসুমে কাঁদায় পিচ্ছিল হয়ে থাকে। হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট ভাঁজ করে রোদবৃষ্টিতে এক হাতে ছাতা অপর হাতে জুতো নিয়ে পিচ্ছিল পথ মাড়িয়ে দৈনন্দিন আদর্শ মানুষগড়ার মহান উদ্দেশ্য নিয়ে উপস্থিত হতেন আমাদের আরবি স্যার। হালকা-পাতলা ও কৃশকায় আকৃতির স্যারের নাম সানাউল্লাহ। তবে সবার কাছে সানা মাস্টার নামেই অধিক প্রসিদ্ধ ছিলেন। স্কুল তখনো পুরোপুরি সরকারি হয়নি। আধা সরকারি স্কুলের বেতনও আধা হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। যা দিয়ে সংসার চালানোটা কষ্ট সাধ্য ছিল। এখনো যে শিক্ষকদের জীবন-মান অনেক উন্নত এটা জোড় দিয়ে বলার কোন অবকাশ নেই। উন্নত বিশ্বের কথা জানি না, তবে আমাদের দেশে নিগৃহীত পেশার নাম হচ্ছে শিক্ষকতা পেশা। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড বলে শ্লোগান দেওয়া লোকগুলোও শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে কুণ্ঠাবোধ করে না। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান খ্যাত শিক্ষকমণ্ডলী আজ অবহেলিত। বিশেষ করে শিক্ষার সুচনা করা প্রাইমারি ও হাইস্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা, আবাসন প্রকল্প, যথেষ্ট সম্মান ইত্যাদি বিষয় থেকে তারা সর্বদাই বৈষম্যের শিখার। যার ফলে শিক্ষকতার মত মহান পেশার প্রতি মানুষের আগ্রহ দিনদিন কমে যাচ্ছে। সেই সাথে পড়ানোর প্রতি আগ্রহ ও ছাত্র গড়ার মনোভাবও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবদুল্লাহ আবু সায়িদ স্যারের আত্মজীবনীতে পড়েছিলাম, “তিনি একবার তাঁর ছাত্রদের ফিউচার প্লান জানতে চেয়েছিলেন। কেউ ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, প্রকৌশলী ইত্যাদির আগ্রহ জানিয়েছিল। কিন্তু পুরো হল রুমের একজনও শিক্ষক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি! কারণ, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, প্রকৌশলী হলে বৈধ-অবৈধ পন্থায় দু’হাত ভরে টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু শিক্ষকতার মত মহান পেশায় সেটা সম্ভব নয়। যদিও কখনো সুযোগ এসেও যায় তবুও বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা তৈরি হয়।” কোনএক জায়গায় পড়েছিলাম, যে জাতি তার শিক্ষাগুরুকে মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয় সে জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। যাই হোক জীবিকার তাগিদে শিক্ষকতার পাশাপাশি পশু চিকিৎসার পেশা গ্রহণ করেছিলেন। বগলের নিচে ছোট্ট একটি ব্যাগে অল্প কিছু চিকিৎসা সমগ্র সবসময়ই সাথে রাখতেন। যোহরের আজান হওয়ার সাথে সাথেই স্কুল সংলগ্ন মসজিদে চলে যেতেন। মাঝে মাঝে আজানও দিতেন আগ্রহ চিত্তে। লৌকিকতা, আত্মগৌরব বলতে কিছুই দেখিনি তাঁর মাঝে। খুবই সাদাসিধা জীবন ধারণ করতেন। ছুটিতে যখন বাড়িতে গিয়ে স্যারকে সেই পুরোনো ধাঁচে স্কুলে আসতে দেখি তখন অতীত স্মৃতিগুলো আনের আঙিনায় কিলবিল করে। আল্লাহ তাআলা স্যারের হায়তকে বাড়িয়ে দিন। দীনি জীবন যাপনের তৌফিক দান করুন।

সানাউল্লাহ স্যার চাচাতো ভাইও একি ভঙিমায় স্কুলে আসতেন। নাম ছিল বিল্লাল স্যার। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসা দিতেন। স্কুল শেষে সোজা বাজারের চেম্বারে বসতেন। খুব অল্প টাকার ঔষধ দিতেন। মাদরাসার ছাত্রদের জন্য ঔষধ ছিল ফ্রী। বাজারে এখনো তার চেম্বার আছে। আমাদের ইংরেজি পড়াতেন। সর্বদা মুখ গম্ভীর করে রাখতেন। ছাত্ররা সীমাহীন ভয় পেতে। বেত চালাতেও ছিল সিদ্ধহস্ত। তবে ছাত্রগঠনে তার অদ্ভুত পদ্ধতিগুলো সবার প্রসংশা কুড়িয়েছে। বাড়িতে গেলে স্যারের সাথে দেখা হয়। খোঁজ খবর নেন। দুআ করেন। আল্লাহ তাআলা স্যারকে সকল অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন।

– মুহাম্মদ হাবীব আনওয়ার, তরুণ আলেম ও প্রাবন্ধিক।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।