।। মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী ।।
শিশুরা ফুলের মতো। ফুল যেমন বাগানের সৌন্দর্য শিশুরাও পৃথিবীর বিপুল ঐশ্বর্যের অখন্ড এক অংশ। আজকের শিশু আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক। রাগান্বিত অবস্থায় কখনো শিশুকে প্রহার করা যাবে না। শুধু রাগ আর প্রহার দিয়ে কখনো আদর্শবান শিক্ষক হওয়া যায় না। আদর-সমাদর বা কোনকিছুর প্রলোভন দেখিয়ে যেভাবে শিশুদের থেকে কাজ আদায় করা যায় বেত্রাঘাতের দ্বারা সেভাবে কাজ আদায় করা যায় না। একজন আদর্শবান শিক্ষক মায়ের স্নেহ ও বাবার ঔদার্যের বাহক হতে হয়। ক্ষেত্র কিংবা সময়ের বিবেচনায় শিশুদের জন্য চিপস বা লজেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়তে পারেন-
- উলামায়ে কেরামের প্রতি মুফতি শফী (রাহ.)এর দরদমাখা নসিহত
- কম্পিউটার চিপ শিল্প: জলবায়ুর উপর ফেলছে ভয়ঙ্কর প্রভাব
- ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করে ইসরায়েল
- ব্যতিক্রমী এক ইসলামী আইন গবেষক
- ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য জঘন্য গুনাহ
আঠারো বছর পূর্ণ হওয়ার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের বেত্রাঘাত করা যাবে না। যেকোনো উপায়ে তাদেরকে ভয়ের মধ্যে রেখে সবক আদায় করে নিতে হবে। লাল চক্ষু কিংবা লাল টেপ দ্বারা পেঁচিয়ে বেত দেখাতে অসুবিধে নেই। আবার শাস্তিরও বিভিন্ন স্তর রয়েছে- এক পা উঠিয়ে রাখা অথবা বই-কিতাব হাতে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা ইত্যাদি শাস্তির উপকরণ হতে পারে। কোন অবস্থায় প্রহার, বেত্রাঘাত করা যাবে না। বেত্রাঘাতের কারণে অনেক সময় ক্লাস বর্জন এবং প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। সর্বোপরি অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় বেত্রাঘাতের কারণে অসুস্থ হয়ে যাওয়া সহ স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
এটি ঐশী বাণী নয়; প্রবাদ বাক্য। এ প্রবাদ বাক্য সবক আদায় করার জন্য প্রযোজ্য নয় বরং আদব-কায়দা এবং শিষ্টাচার শিখানোর জন্য বা দুষ্টুমি থেকে বিরত রাখার জন্য। সুতরাং সর্বাবস্থায় ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। বর্তমান যুগে এই প্রবাদ চলে না। আপনি কি জানেন না?! নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মহান আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন-
অর্থ- “হে নবী! তোমাকে তাদের উপর জবরদস্তি করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি”।
বেত দ্বারা মারলেও চামড়ায় দাগ হতে পারবে না। কখনো ভেবেছেন ?! এ শিশু কারো কলিজার টুকরা সন্তান।
– মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মুহাদ্দিস- দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ