।। আল্লামা হাফেজ নাজমুল হাসান কাসেমী ।।
আমাদের সকলেরই দ্বীনের জন্যও কিছু কাজ করা উচিত। দুনিয়ার জন্যই সব কাজ না করা চাই। হযরত ফকীহুল উম্মত মাহমূদ হাসান গাঙ্গুহী (রাহ.)এর পিতা ছিলেন মাওলানা হামিদ সাহেব (রাহ.)। তিনি শাইখুল হিন্দ (রাহ.)এর ছাত্র ছিলেন। হযরত শাইখুল হিন্দ (রাহ.) তাকে একটি মাদরাসায় খিদমত করার জন্য নাহডোরে (বিজনূর জেলার একটি গ্রাম) পাঠিয়েছিলেন। তিনি পুরো জীবন সেখানেই কাটিয়ে দিলেন। সেখান থেকে কোথাও যাননি। নামমাত্র বেতনে ঐ মাদরাসায় দরসের খিদমত আঞ্জাম দিতেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
তিনি যে মসজিদে নামায পড়তেন হঠাৎ করে সেখানকার ইমাম সাহেব ইন্তেকাল করলেন। মসজিদ কমিটি ইমাম পদে নিয়োগের জন্য মাওলানা হামিদ সাহেবকেই (রাহ.) পছন্দ করল। সুতরাং সবাই মিলে তাকে ইমাম পদে নিয়োগ দিয়ে বেতন নির্ধারণ করে দিল। তিনি তা জানতে পেরে অন্য এক মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে লাগলেন। সেখানকার লোকজন তাকে অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি বেতন নেয়াটা কোনভাবেই গ্রহণ করলেন না।
মুসল্লিগণ অনোন্যপায় হয়ে মুফতী সাহেবের (তাঁর ছেলের) স্বরনাপন্ন হলেন। মুফতী সাহেব (মাহমূদ হাসান গাঙ্গুহী) পিতার নিকট আবেদন করলেন যে, নামায তো আপনি পড়ানই, ইমাম পদে নিযুক্তি দিলে তাতে এমন কী ক্ষতি? তখন তিনি এক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে অত্যন্ত দরদমাখা কণ্ঠে বললেন, “সারা জীবন তো ইলম বিক্রি করেই পেট পুষলাম। একমাত্র নামাযটা ছিল আল্লাহর জন্য। এখন কি তাও টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাবে? হায় আফসোস!”
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ