গণঅধিকার পরিষদ ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, হামলা ও তাদের নেতা-কর্মীদের আটকের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুলহক নুরের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা প্রেসক্লাবে সমাবেশ করার পরামর্শ দিলে আমরা শাহবাগ মোড় ঘুরে মিছিলটি নিয়ে প্রেসক্লাবের উদ্দেশে রওনা দেই। কিন্তু ঢাকা ক্লাবের সামনে আসতেই রমনা জোনের উপ পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদের নেতৃত্ব একদল পুলিশ ও সাদা পোশাকের লোক আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় ১১২ জন আহত হয়। কোনো ধরণের উস্কানি, সংঘর্ষ ছাড়াই পুলিশ ও সাদা পোশাকের লোকজন আমাদের ওপর বর্বর হামলা করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
এতে আরও বলা হয়, গত বছর ২৭ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের ৪ নেতা রবিউল, সোহাগ, সজল ও আলামিনকে আটক করেও শাহবাগ থানায় মুখে গামছা ও চোখে কাঁচা মরিচ লাগিয়ে হারুন অর রশিদ মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন করে। গতকালের ঘটনায়ও স্পষ্ট হয়েছে যে হারুন অর রশিদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই সাদা পোশাকের লোকজনসহ আমাদের ওপর বর্বর আক্রমণ করেন। আমরা অনতিবিলম্বে হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো দাবি জানাই। ২-১ জন হারুনের জন্য পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা যায় না। তাই অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার জোরালো দাবি জানাচ্ছি। সরকারের বেআইনি আদেশ পালন না করার পাশাপাশি সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিংয়ের মতো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ও সাংবিধানিক অধিকারের প্রশ্নে পুলিশসহ প্রশাসনকেও সহনশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ