Home ফিকহ ও মাসায়েল কোন সম্পদের যাকাত কীভাবে আদায় করবেন?

কোন সম্পদের যাকাত কীভাবে আদায় করবেন?

।। শায়েখ মুহাম্মদ হারুন আযিযী নদভী ।।

নামাযের পর ইসলামী ইবাদতের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ রুকন হ’ল যাকাত। যা সাধ্য সম্মত সকল মুসলিম নর-নারীকে বিশেষ পরিমাণে বছরে একবার আদায় করতে হয়।

কিন্তু কোন কোন সম্পদের যাকাত দিতে হয়? কি পরিমাণ সমপদ থাকলে যাকাত দিতে হয়? কি পরিমাণ যাকাত দিতে হয়? কখন দিতে হয়? কিভাবে দিতে হয়? এবং তার শর্ত শরায়েত কী? ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ভাল জ্ঞান না থাকার কারণে আমরা অনেকে ঠিকমত যাকাত আদায় করি না। তাই সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে আজকে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

যে সকল সম্পদের উপর যাকাত ফরয

১. সোনা-রূপা। [সুরা তাওবা ৩৪, মুসলিম শরীফ ৩/৩৭৬, হাদীস নং ২১৫৮]
২. ব্যবসার মালামাল। [দারা কুত্নী ২/৯৬, হাদীস নং ১৯৯৯, সহীহ তিরমিযী ১/৩৪৭, হাদীস নং ৬৩১]
৩. জমি থেকে উৎপাদিত ফসল ও ফল। [সুরা বাকারা ২৬৭, আনআম ১৪১, সহীহ আল্ বুখারী ২/৪৮, হাদীস নং ১৩৮৭]
৪. খনিজ সম্পদ ও ভুগর্ভে প্রোথিত সম্পদ। [সহীহ আল্ বুখারী ২/৫৫, হাদীস নং ১৪০২]
৫. গবাদি পশু। [সহীহ আল বুখারী ২/৪৮, হাদীস নং ১৩৮৮]
এ ছাড়া নগদ ও জমা টাকা-পয়সাতেও যাকাত ফরয হয়।

যে সকল সম্পদের যাকাত দিতে হবে না

ক) ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র যথাঃ ঘর-বাড়ী, ঘর তৈরীর জন্য প্লট, কার, মোটর সাইকেল, ফাণিচার, ফ্রিজ, আত্মরক্ষামুলক অস্ত্র স্বস্ত্র এবং ঘোড়া ইত্যাদিতে যাকাত ফরয হবে না। [সহীহ আল্ বুখারী, যাকাত অধ্যায়]

খ) চাষের জন্য ব্যবহৃত পশুতে যাকাত দিতে হবে না। [সহীহ ইবনু খযায়মাঃ ৪র্থ খন্ড, হাদীস নং ২৯২]

গ) শাক শব্জিতে যাকাত ফরয হয় না। [সুনানু দারা কুতনী ২/৯৫]

যাকাতের নেছাব ও পরিমাণ

বিশ দিনার তথা ৮৫ গ্রাম কিংবা সাড়ে সাত তোলা সোনা অথবা দুই শ দেরহাম তথা ৫৯৫ গ্রাম কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা কে নেছাব বলা হয়।

১/ সোনা-রূপা বা নগদ টাকা-পয়সার যাককাতঃ

ক) সোনা ৮৫ গ্রাম কিংবা সাড়ে সাত তোলা হলে, তাতে (২, ৫%) আড়াই শতাংশ হারে অর্থাৎ চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত আদায় করা ফরয হবে। [সহীহ ইবনু মাজাঃ ১ম খন্ড, হাদীস নং ১৪৪৮]

খ) রূপা ৫৯৫ গ্রাম কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা পরিমাণ হলে তাতে (২, ৫%) আড়াই শতাংশ হারে অর্থাৎ চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত আদায় করা ফরয হবে। [সহীহ ইবনু মাজাঃ ১ম খন্ড ১৪৪৭, সহীহ আবুদাউদঃ ১ম খন্ড ১৩৯০]

গ) সোনা-রূপার ব্যবহৃত অলংকার নেছাব পরিমাণ হলে তাতেও যাকাত দিতে হবে। [সহীহ আবুদাউদঃ ১ম খন্ড হাদীস নং ১৩৮২]

ঘ) নগদ ও জমা টাকা-পয়সা সোনা বা রূপার যে কোন এক নেছাব পরিমাণ হলে [যখন বাজারে যে ধর হয়, এক গ্রাম সোনার মূল্যকে ৮৫ এর সাথে গুন করে অথবা এক গ্রাম রূপার মূল্যকে ৫৯৫ এর সাথে গুন করে যা হয়] তাতে (২, ৫%) হারে যাকাত দিতে হবে।

২/ ব্যবসার মালামালের যাকাতঃ

বছরের শেষে লাভ সহ হিসাব করে ব্যবসার সম্পুর্ণ মালের আড়াই শতাংশ যাকাত আদায় করতে হবে। [সুনান দারা কুত্নী ২/৯৬, হা/১৯৯৯]

ব্যবসার মালের নেছাব নির্ণয়ের জন্য সোনা বা রূপার নেছাবের সাথে মিলাবে কিংবা উভয়ের মধ্যে যার মুল্য কম তার সাথে মিলাবে।

ব্যবসার মালামালের মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারে বর্তমান মার্কেটের রেইটকে প্রধান্য দিতে হবে। এখানে পাইকারী বিক্রেতারা পাইকারী হিসেবে আর খুচরা বিক্রেতারা খুচরা হিসেবে আর উভয়ের ব্যবসায়ীরা উভয়ের বর্তমান মার্কেটের মূল্য আমলে আনতে হবে।

৩/ জমি থেকে উৎপাদিত ফসল ও ফলের যাকাতঃ

জমির ফসলের জন্য নেছাব হ’ল পাঁচ ’ওয়াছাক্ব’ তথা ৭২০ কেজি। যে সব জমিতে পরিশ্রম করে পানি দিতে হয় না, বরং স্বাভাবিক বৃষ্টির পানিতে বা বর্ষার পানিতে ফসল উৎপাদিত হয়, সে সব জমি হতে উৎপাদিত ধান, পাট, গম, যব, সরিষা, কলাই ইত্যাদি যাবতীয় ফসলাদি নেছাব পরিমাণ হলে তাতে ‘ওশর’ তথা দশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হবে।

আর যে সব জমিতে পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করতে হয়, সেই সব জমির ফসলাদি নেছাব পরিমাণ হলে নিছফে ওশর তথা বিশ ভাগের এক ভাগ আদায় করতে হবে। [সহীহ সুনানু নাসায়ী ২য় খন্ড ২৩৩০, সহীহ আল বুখারী ২/৪৮, হাদীস নং ১৩৮৭]

৪/ খনিজ মসম্পদ ও ভূগর্ভে প্রোথিত সম্পদের যাকাতঃ

খনিজ সম্পদ ও ভূগর্ভে প্রোথিত সম্পদে ৫ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হবে। [সহীহ আল্ বুখারী ২/৫৫, হাদীস নং ১৪০২]

৫/ গবাদি পশুর যাকাতঃ

যে পশু নিজের কাজে ব্যবহৃত হয় না এবং বছরের অধিকাংশ সময় ফ্রি চরতে পারে। নিজের অর্থ খরচ করে তার খাদ্য দিতে হয় না সে সকল পশুর নিম্ন বর্ণিত নিয়মে যাকাত আদায় করতে হবে।

ক) উটঃ

উটের সর্বনিম্ন পরিমান হ’ল ৫টি।৪টি হলে যাকাত দিতে হবে না। [সহীহ বুখারী, কিতাবুয্যাকাত] ৫ থেকে ২৪ পর্যন্ত প্রতি পাঁচ উটের মধ্যে একটি ছাগল দিতে হবে। ২৫ থেকে ৩৫ এর মধ্যে একটি স্ত্রী উট দিতে হবে। ৩৬ থেকে ৪৫ এর মধ্যে একটি দুবছরের উট দিতে হবে। ৪৬ থেকে ৬০ এর মধ্যে তিন বছরের উট দিতে হবে। ৬১ থেকে ৭৫ এর মধ্যে চার বছরের উট দিতে হবে।৭৬ থেকে ৯০ এর মধ্যে দু’বছরের দুটি স্ত্রী উট দিতে হবে। ৯১ থেকে ১২০ এর মধ্যে তিন বছরের দুটি উট দিতে হবে। ১২০ এর চেয়ে বেশী হলে প্রতি চল্লিশটিতে দু’বছরের একটি উট এবং প্রতি ৫০টিতে তিন বছরের একটি উট দিতে হবে। [সহীহ আল্ বুখারী,কিতাবুয্যাকাত]

খ) ছাগলঃ

চল্লিশটির কম হলে কোন যাকাত নাই।৪০ থেকে ১২০ এর মধ্যে একটি ছাগল দিতে হবে।১২১ থেকে ২০০ এর মধ্যে দু’টি ছাগল দিতে হবে। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে তিনটি ছাগল দিতে হবে।৩০০ এর চেয়ে বেশী হলে প্রতি শতে একটি ছাগল দিতে হবে। [প্রাগোক্তা]

গ) গরুঃ

গরুর সংখ্যা ৩০ এর কম হলে যাকাত ফরয হবে না। ৩০ পূর্ণ হলে, তাতে এক বছরের একটি বাছুর দিতে হবে।৪০টি গরু হলে, তাতে দু’বছরের একটি বছুর দিতে হবে । [সহীহ তিরমিযীঃ ১ম খন্ড হাদীস নং ৫০৮] ৬০টি গরুতে দু’বছরের দুটি বছুর দিতে হবে। ৬০ এর চেয়ে বেশী হলে প্রতি ত্রিশে একটি এক বছরের বাছুর এবং প্রতি চল্লিশে দু’বছরের বাছুর দিতে হবে। [সহীহ তিরমিযী ১ম খন্ড, হাদীস নং ৫০৯]

উল্লেখ্য যে, গবাদী পশু যদি ব্যবসায়ের জন্য প্রতিপালন করা হয়, তাহলে তাতে ব্যবসার মালামালের মত যাকাত ফরয হবে।

যাকাত কার উপর ফরয?

শরীয়তের অন্যান্য বিধি-বিধানের মতে যাকাত ফরয হওয়া এবং তা গৃহীত হওয়ার জন্য অনেক শর্ত রয়েছে। যাকাত ফরয হওয়ার জন্য শর্তগুলি হল-

১. মুসলিম হতে হবে, অতএব কোন কাফের বা মুরতাদের উপর যাকাত ফরয হবে না। কারণ ঈমান ব্যতীত কোন আমল কবুল হয় না।

২. স্বাধীন হতে হবে, অতএব দাস-দসীর উপর যাকাত ফরয হবে না।

৩. নেছাব পরিমাণ নির্দিষ্ট সম্পদের মালিক হতে হবে।

৪. সেই মালের উপর পূর্ণ বৎসর অতিবাহিত হতে হবে।তবে ফসলাদির ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য নয়। [সহীহ তিরমিযী ১/৩৪৭, হাদীস নং ৬৩১]

৫. উক্ত সম্পদ মৌলিক প্রয়োজনাদী ও ঋণ পরিমানের অতিরিক্ত হতে হবে।

মনে রাখবেন, ব্যবসা ভিত্তিক ঋণ যাকাত ফরয হওয়াতে কোন রকম বাধা সৃষ্টি করে না।

যাকাত গ্রহণীয় হওয়ার জন্য শর্তসমূহ

যাকাত ও ছদকা-খয়রাত গ্রহণীয় হওয়ার জন্য শর্তসমূহ হল-

১. যাকাত হালাল সম্পদ থেকে দিতে হবে।কারণ হরাম সম্পদ থেকে দেওয়া কোন ছদকা-যাকাত আল্লাহ তাআ’লা গ্রহণ করেন না ।
২. সুন্নাহ অনুযায়ী যাকাত আদায় করতে হবে।
৩. বিশুদ্ধ খাতে ব্যয় করতে হবে।
৪. ইখলাছের সহিত আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে দিতে হবে।
৫. যাকাত আদায়ের সময় নিয়ত করতে হবে।
৬. যাকাত দিয়ে অনুগ্রহ প্রকাশ করা যাবে না।
৭. যাকাত গ্রহণকারীকে ঘৃণিত মনে করা যাবে না এবং তার সাথে এমন ব্যবহার করা যাবে না, যাতে সে হেয় প্রতিপন্ন হয়। [সুরা বাকারা ২৬৪-২৬৬, সহীহ আল বুখারী ১/১৯, হাদীস নং ১, সহীহ সুনানু নাসায়ী ২/২০২, হা/নং ২৫২৩]

আরও পড়তে পারেন-

যাকাত কাকে দিতে হবে?

যাকাত কাদেরকে দিতে হবে সে ব্যপারে আল্লাহ তাআ’লা বলেন-

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

‘যাকাত হ’ল কেবল ফকীর, মিসকীন, যাকাত উসুলকারী, নও মুসলিম কিংবা ইসলামের দিকে যার মন ঝুঁকেছে, দাস-দাসী এবং কয়দীকে মুক্ত করার জন্য, ঋণগ্রস্তব্যক্তি, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী এবং মুসাফিরের জন্য। এ হ’ল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়’। [সুরা তওবা ৬০]

যিয়াদ ইবনুল হারিছ আস সুদাঈ (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসলাম এবং তাঁর হাতে বাইয়াত করলাম। অতঃপর অনেক দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করলেন। তারপর এক ব্যক্তি এসে বললঃ আমাকে যাকাত থেকে কিছু দেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তাআ’লা যাকাতের ব্যাপারে কোন নবী বা অন্য কারো মীমাংসায় রাজি হননি বরং নিজেই এব্যাপারে আদেশ দিয়েছেন এবং তা আট ভাগে ভাগ করেছেন। যদি তুমি সেই আট ভাগের অন্তর্ভূক্ত হও তাহলে তোমাকে তোমার হক দেব। -(সুনান আবিদাউদ, কিতাবুযযাকাত।)

এখানে আট ধরণের খাত বর্ণনা করা হ’ল, অতএব ফরয যকাত শুধু এদেরকেই দিতে হবে। অন্য কাউকে দিলে যাকাত আদায় হবে না।

১. ফকীরঃ যার কাছে ধন-সম্পদ কিছু নেই তাকে যাকাত দেয়া যাবে।
২. মিসকীনঃ যে ব্যক্তি নেছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয়,তবে কিছু সম্পদ আছে।

মোট কথা,যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেছাব পরিমাণ অর্থ নেই তাকে যাকাত দেয়া যাবে।

৩. যাকাত উসুলকারী, এরা ইসলামী সরকারের পক্ষ থেকে লোকজনের কাছ থেকে যাকাত ও ওশর ইত্যাদি উসুল করে বায়তুলমালে জমা কারার কাজে নিয়োজিত থাকেন। যেহেতু এরা এই কাজে সরয় ব্যয করে থাকে সেহেতু তাদের জীবিকা নির্বাহের দায়িত্ব ইসলামী সরকারের উপর বর্তায়। সুতুরাং যাকাত থেকে তাদের পারিশ্রমিক দেয়া যাবে।

৪. নতুন মুসলমান বা যাদের অন্তর ইসলামের দিকে ঝুঁকেছে, তাদের কে যাকাত দেয়া যাবে। [মসলিম, যাকাত অধ্যায়]

৫. দাস-দাসীকে মুক্তিপণ হিসেবে এবং কয়দীকে মুক্ত করার জন্য যাকাত অর্থ ব্যয় করা যাবে।

৬. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে তার ঋণ পরিশোধের জন্য যাকাত দেয়া বৈধ, বরং উওম। তবে পাপ কাজে ঋণী না হতে হবে।

৭. আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীকে যাকাতের অর্থ দ্বারা সাহায্য করা যাবে। বরং তা করা উওম।

৮. মুসাফির, যে মসাফির অর্থের অভাবে নিজ গৃহে ফিরে যেতে পারছেনা তাকে সেই পরিমাণ যাকাতের অর্থ দেয়া যাবে যাদ্বারা সে নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তন করতে পারে। যদিও সে নিজ ঘরে ধনী হয়।

গরীব আত্নীয়-স্বজনকে যাকাত দেয়া বেশী উত্তম। [ইবনু মাজাঃ ২/হা/ ২৪২০]

স্ত্রী নিজ সম্পদ থেকে তার গরীব স্বামীকে যাকাত দিতে পারে। বরং তা উত্তম। [সহীহ আল্ বুখারী যাকাত অধ্যায়]

ভুলে কোন অনুপযুক্ত ব্যক্তি বা কোন ফাসিক কে যাকাত দিয়ে দিলে তাতেও পূর্ণ ছাওয়াব পাওয়া যাবে। [মুসলিম যাকাত অধ্যায়]

যাদেরকে যাকাত দেয়া বৈধ নয়ঃ

নবী করীম (ছাঃ) এবং তাঁর পরিজন তথা বনু হাশিমের জন্য যাকাত গ্রহন করা বৈধ নয়। [সহীহ বুখারী যাকাত অধ্যায়]

ধনী ও সুস্বাস্থ্য ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ করা বৈধ নয়। [সহীহ তিরমিযী ১ম খন্ড, হাদীস নং ৫২৮]

মাতা-পিতা, স্ত্রী এবং সন্তানকে যাকাত দেয়া যাবে না। [আবুদাউদ ২য়, হাঃ নং ৩০৫১, সহীহ সুনানু নাসায়ী ২য়, হাঃ নং ১৪৮৩]

মনে রাখবেন, অনুমান করে কিছু মাল দান করলে তাতে যাকাত আদায় হবে না। যাকাত একটি ফরয ইবাদত। কাজেই তা কুরআন ও সুন্নাহে বর্ণিত নিযমানুযায়ী আদায় করতে হবে।

লেখক: সিনিয়র মুহাদ্দিস- জামিয়া আজিজুল উলূম বাবুনগর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম এবং সাবেক ইমাম ও খতীব- জামে আবদুল্লাহ এয়াতিম বারবার, বাহরাইন।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।