Home প্রবন্ধ-নিবন্ধ ইসরাইলের রমজানোফোবিয়া ও আল আকসা

ইসরাইলের রমজানোফোবিয়া ও আল আকসা

।। মো: বজলুর রশীদ ।।

পবিত্র রমজান মাসে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা প্রশান্তির সাথে শান্তির সাথে ইবাদত-বন্দেগি করা এবং দান-খয়রাত-সদকা এসবের সাথে যুক্ত হয়। সমাজের বিত্তবান ও দরিদ্রশ্রেণীর সবাই যাতে শান্তির সাথে পবিত্র রমজান মাস অতিবাহিত করতে পারে। অনেক মুসলিম দেশে, সরকারি ও বেসরকারি খাতের নিয়োগকর্তারা কর্মচারীদের আরো স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ইবাদত করার সুযোগ করে দিতে কাজের সময় কমিয়ে দেন। বন্ধু, প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা প্রায়ই প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় ইফতারের খাবারের আয়োজন করে, সেখানে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের কাছে টেনে আনে আপন জনের মতো।

জেরুসালেমের ওল্ড সিটির দামেস্ক গেটের বাইরে অ্যাম্ফিথিয়েটার-স্টাইল প্লাজাটি ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিনের ইফতারের পরে দেখা করার একটি প্রিয় জায়গা। বিক্রেতারা স্ন্যাক্স ও জুস বিক্রি করে। যুবকরা মাঝে মধ্যে জনতার আনন্দের জন্য অ্যাক্রোব্যাটিক্স করে। তবে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভ‚খণ্ডের পরিস্থিতি ভিন্নতর, বিশেষ করে জেরুসালেমে। ইসরাইলিদের রমজান সম্পর্কে একটি ভীতি রয়েছে, যাকে রমজানফোবিয়া আখ্যা দেয়া হয়েছে। অগণিত চেক পয়েন্টে হাজার হাজার ইসরাইলি দখলদার সশস্ত্র পুলিশ আল আকসা মসজিদে নামাজে যাওয়া মুসল্লিদের পরিচয় যাচাই করেন। পরিচয় যাচাই এমনভাবে করা হয় যেন এসব মুসল্লি ভিন গ্রহের মানুষ। যাচাই করতেই মাগরিবের সময় পেরিয়ে যায়।

জেরুসালেমের পুরনো শহরের বিক্রেতারা রমজান মাসে ভালো অর্থনৈতিক মৌসুমের জন্য উন্মুখ হয়ে বসে থাকে। কিন্তু এবার রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তাদের প্রত্যাশাকে আহত করেছে। পশ্চিম তীর এবং ইসরাইলের আরব শহর ও শহরগুলো থেকে হাজার হাজার রোজাদার রমজানের সময় পূর্ব জেরুসালেমে ভিড় করে। আল আকসা মসজিদের দিকে যাওয়ার পথে তারা পুরনো শহরের বাজারগুলোর মধ্য দিয়ে যায়। তারা শহরের বাজার থেকে ইফতার সামগ্রী ও অন্যান্য জিনিস কেনে এবং তারাবিহর নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। বিক্রেতারা বলছেন, জেরুসালেমে রমজান মাসে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জেরুসালেমের দিকে সবার দৃষ্টি পড়েছে। গত বছরও এমনটি ঘটেছিল। এবার হাজার হাজার চরমপন্থী ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী আল আকসা মসজিদে হামলা চালিয়েছে।

আলজাজিরা জানায়, রমজানের শুরুর দিকে ইসরাইলি সেনারা এক বিধবা ও ছয় সন্তানের মাকে সন্দেহজনক আচরণের জন্য গুলি করে হত্যা করে। হেবরন শহরের দক্ষিণে এক ফিলিস্তিনি নারী এক ইসরাইলি বর্ডার পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে আহত করায় তাকে গুলি করে হত্যা করে। পশ্চিম তীরে সেনাদের অভিযানের পঞ্চম দিনে নাবলুস সিটিতে তরুণ মুহাম্মদ হাসান মুহম্মদ আসাফকে বুকে গুলি করে হত্যা করে।

রেড ক্রিসেন্ট জানায়, ১৫ এপ্রিল আল আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর সেনারা হামলা চালায়। পুলিশ ও সেনারা বুট জুতা পায়ে আল আকসায় প্রবেশ করে, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালায়, তছনছ হয় নামাজের স্থান। স্পি­ন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় অভ্যন্তরভাগ। ইসরাইলি হামলায় ২২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজারের উপর। আহত ফিলিস্তিনিদের উদ্ধার ও তাদের চিকিৎসা করার জন্য রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা গেলে তাদের বাধা দেয় ইসরাইলি সেনারা। নাবলুসের কাছে বেইতা শহরে রেড ক্রিসেন্টের একটি অ্যাম্বুলেন্স গুলি চালিয়ে অকেজো করে দেয়া হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনসহ ইসলামী বিশ্ব এ হামলার নিন্দা জানায়।

মুসলমানদের কাছে মসজিদুল আকসা ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। মসজিদুল হারামের পর মসজিদুল আকসা নির্মিত ও বিশ্বের দ্বিতীয় মসজিদ। আল আকসা মসজিদে প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে এখান থেকেই মহানবী সা:-এর মেরাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসব নানা কারণে আল আকসা মুসলমানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং এই দাবি মুসলমানরা কখনো ছেড়ে দেবে না।

এ বছর পবিত্র রমজান মাসের মধ্যে সাত দিন ইহুদিদের পাসওভারের সাথে মিলে গেছে। চরমপন্থী ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা এটিকে আল আকসা মসজিদে প্রবেশের একটি কারণ হিসেবে গ্রহণ করেছে। তারা এবার পাসওভারের উৎসবের সময় মসজিদের অভ্যন্তরে ছাগল বলিদানের প্রস্তুতি নিয়েছে।

বসতি স্থাপনকারীরা জানে যে, বেনেটের সরকার দুর্বল এবং পবিত্র মসজিদগুলোকে ইহুদি ও মুসলমানদের মধ্যে সাময়িক ও স্থানিকভাবে বিভক্ত করার তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি সুবর্ণ সুযোগ। তারা জানে যে বেনেট তাদের চ্যালেঞ্জ করতে অক্ষম কারণ তিনি ডানপন্থী ভোট এবং জোটের সমর্থন হারানোর ভয় পান। একজন রাব্বি বলেন, পাসওভারের বলিদানের জন্য সব কিছু প্রস্তুত।

চরমপন্থীদের ‘টেম্পল মাউন্টে ফিরে আসা’ আন্দোলনের নেতা রাফায়েল মরিস ইসরাইলি দখলদার পুলিশের কাছে একটি অনুরোধ দায়ের করেছেন, যাতে তিনি ও তার অনুসারীদের ১৫ এপ্রিল, শুক্রবার সন্ধ্যায় আল আকসায় পাসওভারের সময় ছাগল বলিদানের অনুমতি দেন। এখন অবস্থা এমন যে, মন্দিরের পরিবর্তে সব ইহুদি আল আকসার অভ্যন্তরে মহাসমারোহে বলিদান করছেন। ১৫ তারিখ শুক্রবার মুসলমানরা জোর করে সালাত আদায় করতে গেলে পুলিশ ও সেনারা মসজিদের অভ্যন্তরে গুলাগুলি ও মারধর করেছে। এ ঘটনার অনেক ভিডিওফুটেজ বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়েছে।

ডানপন্থী নেসেটের সদস্য বেন-গভির, রমজানের ঠিক আগে আল আকসার প্রবেশ করেছিলেন। তিনি অভিমত দেন, ‘যে কেউ আল আকসা নিয়ন্ত্রণ করে, সে ইসরাইলের সব ভ‚মি নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের শত্রুরা তা বুঝতে পারে।’

চরমপন্থীদের এসব পদক্ষেপ রমজানে মুসলমানদের মধ্যে ক্রোধের সৃষ্টি করেছে। তাই সঙ্ঘাত শুরু হয়েছে। তবে বেনেট কোন দিকে যাবেন তা যেন স্থির করতে পারছেন না। তিনি ভয় করেন যে তার দুর্বল জোট সরকারের পতন হতে পারে বা পতনের প্রক্রিয়া দ্রæত হতে পারে। তাই তিনি বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে আইনি, নিরাপত্তা, সামরিক ও রাজনৈতিক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইসরাইলি সুপ্রিম কোর্ট শেখ জাররাহ এলাকায় তাদের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ স্থগিত করেছে এবং শেখ জাররায় মালিকানার বিষয়টি বিবেচনা স্থগিত করেছে, যা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে আবারো যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।

উপরন্তু ইসরাইলি নেতারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেছেন, ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজোগ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সাথে রমজান মাসের শুরুতে সাক্ষাৎ করেছেন। ইসরাইল ও মুসলমানদের মধ্যে জেরুসালেম বিরোধে জর্দানের বাদশাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। কেননা চুক্তি অনুসারে তাকে জেরুসালেমের অভিভাবক মনে করা হয়। বাস্তবে ইহুদিদের সাথে বাদশা পেরে ওঠেন না। বেনেট নিজেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শারম এল-শেখে মিসরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সাথেও দেখা করেছিলেন।

আল আকসা মসজিদের অভ্যন্তরে ইহুদিদের প্রার্থনা করার স্বাধীনতা সম্পর্কে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের অনেক বিবৃতি রয়েছে, ফলে এবারের রমজানে আরো একবার জেরুসালেমবাসী ও শেখ জাররাহ প্রতিবেশীরা সরকারের বিরুদ্ধে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, এই রমজানে দখলদার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বৃদ্ধি করেছে। বেনেটে ওল্ড সিটির দামেস্ক গেটের ওপরও বক্তব্য দিয়ে শান্তির আলয়ে বারুদ লাগিয়ে দিয়েছেন। গেল বছর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী আল আকসা মসজিদের লাউডস্পিকারের তারগুলো কেটে দেয়, যাতে মুসলমানরা নামাজের আজান দিতে না পারে।

ফিলিস্তিনি জেরুসালেমবাসী ইসরাইলি পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দামেস্ক গেটে প্রচণ্ড প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এটি আল আকসা মসজিদের পথে ফিলিস্তিনিদের নিয়মিত সমাবেশ স্থল, বিশেষ করে রমজানের সন্ধ্যায়। যদিও গাজায় ইসরাইলি আক্রমণ আল আকসায় বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ বন্ধ করে দেয়, তথাপি উত্তেজনা ও মিছিল বিক্ষোভ চলতে থাকে। ২০১৯ থেকে চারটি ইসরাইলি নির্বাচন স্থিতিশীল সরকার তৈরি করতে ব্যর্থ হয়।

কয়েক বছর ধরে ধর্মীয় উগ্রবাদ চিহ্নিত বেশ কয়েকটি আইন ও সংশোধনী প্রণয়ন করা হয়েছে, যা জেরুসালেমের ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের, তাদের বাড়িঘর ও পবিত্র স্থানগুলোর মর্যাদাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আঠারোটি এমকে, নেসেট সদস্য এখন আল আকসা মসজিদে হামলার পক্ষে সমর্থনকারী দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে, তারা ২০১৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সংঘটিত আক্রমণগুলোর ওপর ভিত্তি করে ফর্মুলা তৈরি করতে প্রস্তুত। ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া হয় ২০১৫ সালের নাইফ ইন্তিফাদা, ২০১৭ সালের বাব আল আসবাত বিদ্রোহ, ২০১৯ সালে বাব আল রাহমা অস্থিরতা এবং কয়েক মাস আগে দামেস্ক গেটের ঘটনা। দামেস্ক গেটে যা ঘটেছে তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।

বিগত রমজানে এবং এবার বসতি স্থাপনকারীদের গোষ্ঠীগুলো ‘ইহুদির সম্মান’ স্লোগান দিয়ে দামেস্ক গেটে বড় সমাবেশ করেছে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী সুরক্ষিত ছিল, বসতি স্থাপনকারীরা প্রতিবাদরত ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ চালায়। জেরুসালেম থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করতে- জাতিগত নির্মূলকরণ এমনকি তাদের হত্যার উন্মুক্ত আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়তে পারেন-

আল আকসা মসজিদের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ঘটলো ইসরাইলি সরকার ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীগুলোর গৃহীত বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের পর। যেমন- মসজিদের নিচে বিভিন্ন সুড়ঙ্গ আবিষ্কার, যা দিয়ে এখানে প্রাচীন ইহুদি উপস্থিতি ‘প্রমাণ’ করা হচ্ছে। এটিই এখন মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা করার আইনি আবরণ।

এ দিকে বসতি স্থাপনকারীদের হস্তক্ষেপ আরো বড় আকারের হয়ে উঠছে এবং তা ঘটছে আরো ঘন ঘন।

ইসরাইলের ডানপন্থী চরমপন্থীরা পুলিশের সাথে একমত হয়েছে, যাতে তারা আগের চেয়ে বেশি সংখ্যায় আল আকসায় প্রবেশ করতে পারে। একই সময়ে ইসরাইলি পুলিশ ইসরাইলে ইসলামিক মুভমেন্টের সদস্যদের সরিয়ে দিয়েছে, যারা সেখানে মুসলমানদের উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য আল আকসা মসজিদে তাদের সব সময়, শক্তি ও বিত্ত ব্যয় করেছে। ২০১৫ সালে ইসরাইল এই আন্দোলন নিষিদ্ধ করে।

ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুসালেম চায়, যার মধ্যে প্রাচীরযুক্ত পুরনো শহর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে ইসরাইল তাকে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে গ্রহণ করেছিল। ইসরাইল জেরুসালেমের পুরোটাই নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বানাতে চায়। মুসলমানদের ঘন বসতি হচ্ছে পূর্ব জেরুসালেম। তারাও এটিকে রাজধানী বানাতে চায়। ইহুদিরা সেখান থেকে মুসলমানদের উৎখাত করার নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ভ‚মি, জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। নানা কারণ দেখিয়ে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে বহিরাগত ইহুদিদের মধ্যে বণ্টন করা হচ্ছে। কোথাও নিজ বাড়িতেই ভাড়া দিয়ে থাকছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। এখন সব ফিলিস্তিনি চায় আল আকসার পবিত্রতা যেন বিনষ্ট না হয়।

পূর্ব জেরুসালেম কি আরো একটি বড় অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি করবে? যেসব বিষয় নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হচ্ছে সেগুলো আলাপের মাধ্যমে এবং জর্দান-মিসরের মধ্যস্থতায় নিরসন করা সম্ভব। কিন্তু তা না করে ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরো জটিল করে তুলছে। ফলে গত বছর যা ঘটেছিল, তার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে ফি বছর, মরছে ফিলিস্তিনিরা। আরব বিশ্ব বরাবর দেখেই যাচ্ছে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার।

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।