সৌদি আরবে আরো দুই বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারী। গতকাল শুক্রবার (১ জুলাই) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্প ডেস্কের হজের প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১ জুলাই) মক্কায় মারা যান ঢাকার লালবাগের তপন খন্দকার (৬১)। তার পাসপোর্ট নম্বর-ইই০৫৪০২৪৬। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) মক্কায় মারা যান জামালপুরের কামারখন্দের (৪৭) মো. রফিকুল ইসলাম।
পবিত্র হজ পালন করতে এখন পর্যন্ত ২৭ দিনে বাংলাদেশ থেকে ৪৬ হাজার ১২০ জন সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
হজ বুলেটিন সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরব যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার তিন হাজার ৩৮৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৫০ হাজার ২১৮ জন রয়েছেন। মোট ১৩৯ ফ্লাইটে সৌদি যান এসব হজযাত্রী। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৭৭টি, সৌদি এয়ারলাইনস পরিচালিত ৫৩টি এবং ফ্লাইনাসের ৯টি ফ্লাইট রয়েছে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারীসহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন ঢাকার বিউটি বেগম, রংপুরের পীরগাছার আবদুল জলির খান, কুমিল্লা আদর্শ সদরের ধনপুরের মোছা. রামুজা বেগম, জয়পুরহাট সদরের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, নোয়াখালী জেলার নুরুল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর কবির, টাঙ্গাইলের মো. আব্দুল গফুর মিয়া, তপন খন্দকার এবং সর্বশেষ মো. রফিকুল ইসলাম। এর মধ্যে মক্কায় ৮ জন ও মদিনায় দুজন হজ যাত্রী মারা গেছেন।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা চার হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার কোটা ৫৩ হাজার ৫৮৫। পরবর্তীতে কোটা বাড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত দুই হাজার ৪২৫ হজযাত্রীকে সুযোগ দেওয়া হয়। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৫ জুন শুরু হয়েছে। সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ৩ জুলাই। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৪ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ৪ আগস্ট।
উম্মাহ২৪ডটকম:এমএ