Home ইসলাম যেভাবে বুঝবেন পাপ বেড়ে যাচ্ছে

যেভাবে বুঝবেন পাপ বেড়ে যাচ্ছে

।। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওজি (রহ.) ।।

যখন জীবনে এ বিষয়গুলো বেশি ঘটবে, তখন বুঝে নিতে হবে জীবনে পাপের পরিমাণ বেড়ে গেছে। তা হলো ভালো কাজের সুযোগ না পাওয়া, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল হওয়া, সত্য বুঝতে না পারা, অন্তর বিষাদে ভরে থাকা, আল্লাহর জিকির করে স্বাদ না পাওয়া, সময় অপচয় হতে থাকা, অন্যের ঘৃণার পাত্র হওয়া, আল্লাহর সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যাওয়া, দোয়া কবুল না হওয়া এবং অন্তর শক্ত হয়ে যাওয়া, জীবন-জীবিকায় বরকত না পাওয়া, ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) থেকে বঞ্চিত হওয়া, তুচ্ছ কারণে অপমানিত হওয়া এবং অন্তর সংকীর্ণ হয়ে আসা। তবে পাপের প্রথম নিদর্শন হলো দুশ্চিন্তা ও হতাশা এবং জীবনে সংকীর্ণতা।

পাপের মূল কারণ প্রবৃত্তির তাড়না।

অথচ প্রবৃত্তি হলো কল্পনা খেলার মতো। অজ্ঞদের দৃষ্টি বাহ্যিক অবস্থার ওপর আবদ্ধ। কিন্তু যারা জ্ঞানী তারা পর্দার অন্তরালের বিষয়গুলো দেখতে পান। সেই ব্যক্তি কিভাবে বুদ্ধিমান হতে পারে যে কয়েক মুহূর্তের জীবনের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাত বিকিয়ে দেয়।
বহু মানুষ আমল করে, কিন্তু আনুষঙ্গিক কারণে তাদের আমল নিষ্ফল হয়ে যায়। আমল নষ্ট হয় এমন কয়েকটি গুরুতর বিষয় হলো—

আরও পড়তে পারেন-

১. রিয়া বা প্রদর্শন : মানুষকে দেখানোর ইচ্ছা যত ছোট হোক তা আমল নষ্ট করে। রিয়া বা প্রদর্শন আরো বহু পাপের দরজা খুলে দেয়।

২. সুন্নত অনুযায়ী না করা : কোনো আমল আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সুন্নত অনুসারে করা না হলে তা অগ্রহণযোগ্য।

৩. আত্মমুগ্ধতা : কোনো আমল করার পর যদি আত্মমুগ্ধতা তৈরি হয় এবং এমন ভাব চলে আসে যেন আমলটি করে আল্লাহর প্রতি দয়া করা হলো (নাউজুবিল্লাহ) তাহলে বুঝতে হবে, এই আমল কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।

৪. খোঁটা দেওয়া : মানুষের উপকার করে, তাদের কোনো কিছু দান করে খোঁটা দেওয়া বান্দার আমল নষ্ট করে দেয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! খোঁটা ও কষ্ট দিয়ে তোমরা তোমাদের দানকে নষ্ট কোরো না। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬৪)

৫. পাপ : যেকোনো পাপ ভালো কাজের স্পৃহা নষ্ট করে এবং নেক আমলের রাস্তা সংকীর্ণ করে দেয়। বহু পাপ এমন আছে, যা সরাসরি নেক আমল নষ্ট করে দেয়।

‘মাওয়ায়িজু আল-ইমাম ইবনিল কায়্যিম আল-জাওজিয়্যা’ থেকে মো. আবদুল মজিদ মোল্লার ভাষান্তর

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।