Home ওপিনিয়ন পুতিনের এই যুদ্ধ কতদূর গড়াবে?

পুতিনের এই যুদ্ধ কতদূর গড়াবে?

।। মাসুম খলিলী ।।

কয়েকদিন আগে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের দায়িত্বে থাকা সামরিক কমান্ডারকে জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকে দিয়ে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুরোভিকিন এমন এক রুশ কামান্ডার যিনি সিরিয়ায় অতি নির্মমভাবে বাশার বিরোধি বিদ্রোহ দমন করেছিলেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে সোভিয়েত নেতা গরভাচেভ এর বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে যুক্ত থাকার জন্য জেলে গিয়েছিলেন। ইউক্রেনে তিনি এর আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু এবার তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে। আর দায়িত্ব লাভের পর পরই তিনি নির্বিচারে ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি বর্ষণ করে তার পুরণো নির্মমতার নতুন করে স্বাক্ষর রেখেছেন।

প্রশ্ন হলো ভ্লাদিমির পুতিন কি ইউক্রেণ যুদ্ধের গতিধারা পাল্টে দিতে চাইছেন? এর মাধ্যমে তিনি কী অর্জন করতে চাইছেন? সেটি কতটা তিনি অর্জন করতে পারবেন।

পুতিনের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধে পরাজয় যে তার অস্থিত্ব বিনাশকারী হতে পারে সে বিষয়টি নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অনেকে এর আগে বলেছেন। ফলে একথাও বার বার এসেছে যে পুতিন কোনভাবেই পরাজয় মেনে নেবেন না ইউক্রেন ফ্রন্টে। এই বিবেচনা থেকে হেনরি কিসিঞ্জারের মতো ব্যক্তিও বলেছিলেন ইউক্রেনের কিছু ভুমির বিনিময়ে রাশিয়ার সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা উচিৎ। রাশিয়া-চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্নাযুযুদ্ধে কিসিঞ্জার অজ্ঞাত কারণে প্রতিপক্ষের সাথে সমঝোতা করে চলার পরামর্শ দিয়ে এসেছেন ওয়াশিংটনকে। তিনি একাধিক বার চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্থিতির প্রশ্ংসাও করেছেন। কিন্তু এই সময়ে মর্কিন নীতি প্রণেতারা কিসিঞ্জারের মতো ব্যক্তির পরামর্শ ও বিশ্লেষণকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চান না। তবে এটি অতি বাস্তব একটি বিষয় যে যারা পুতিনকে অধ্যয়ন করেছেন তারা জানেন যে এই রুশ নেতার স্বপ্ন হলো তিনি এই যুগের ‘পিটার্স দ্য গ্রেট’ হবেন।এটি হতে হলে রাশিয়াকে সম্প্রসারণ করে যথাসম্ভব সোভিয়েত ইউনয়নের মানচিত্র রূপ দিতে হবে।

এই ধরনের উচ্চাভিলাসি বা স্বপ্নচারি লোকদের পরাজয় মানে হয় আত্মহননের সমতুল্য। সংকটের বাঁকে বাঁকে পুতিনের বক্তব্য এই ধারণাই প্রতিষ্ঠা করে।এখন পুতিন নতুন করে যে পারমাণবিক আক্রমণের হুমকি দিচ্ছেন। এই একই ধরনের হুমকি তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতেও একবার দিয়েছিলেন। তার আগে তিনি বলেছিলেন, যে বিশ্বে রাশিয়ার সম্মানজনক অস্থিত্ব থাকবে না সে বিশ্বের থাকার দরকার কি। নির্দয় রুশ জেনারেল সুরোভিকিনকে ইউক্রেণ ফ্রন্টে ঘোষণা দিয়ে কমান্ডারের দায়িত্ব প্রদান এবং এর পরই ক্রাইমিয়া ব্রিজে হামলার অজুহাত তুলে ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি নিক্ষেপ এর সাথে পুতিনের বক্তব্য মেলানো হলে সামনে পুতিন আরো কি করতে পারেন তার একটি ধারণা মিলে। খ্যাতনামা বিশ্লেষক জর্জ ফ্রিডম্যান পুতিনের নতুন পদক্ষেপকে যুদ্ধের সংস্কৃতি পরিবর্তনের প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।পুতিন আমলের দুই যুদ্ধ চেচনিয়া আর সিরিয়া ফ্রন্টের নির্মমতার সাথে ইউক্রেন ফ্রন্টের অবস্থা এখনো মিলে না। নতুন কমান্ডার হয়তো সেই পর্বটাকে এখানে নিয়ে আসতে চাইবেন।

আরও পড়তে পারেন-

ফ্রিডম্যান বিষয়টিকে খোলাশা করে না বললেও ওিপলিটিক্যাল ফিউচার এ তার সর্বশেষ লেখায় উল্লেখ করেছেন, যুদ্ধ হল প্রতিহত করার শত্রুর ইচ্ছা ভঙ্গ করা; একটি নির্মম আক্রমণ যেখানে সবকিছুকে সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসাবে দেখা হয় প্রথম পদক্ষেপে। দ্বিতীয় ধাপটি হল রাশিয়ান সৈন্যদের স্পষ্ট করে দেওয়া যে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হলে তাদের নিজেদের পক্ষ থেকে চরম বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। মনোবল এবং অনুপ্রেরণা গুরুত্বপূর্ণ, তবে সেনাবাহিনী যদি অপ্রস্তুত হয় বা তার সৈন্যরা অপ্রশিক্ষিত হয় তবে সেগুলি কাজ করে না। তারপরে, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা ভবিষ্যতের জন্য কী সংকেত দেয় সেটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে যদি সৈন্যরা তাদের কমান্ডারদের ভয় না পায় সেই ভবিষ্যতটি তখনই আসবে না । এটি সমস্ত স্তরে ভাল প্রশিক্ষণ উপযুক্ত অস্ত্র এবং আধুনিক যুদ্ধের অন্যান্য সরঞ্জামের সাথে আসে। এসবের জন্য আদর্শভাবে সময় লাগে। একটি উপযুক্ত সময় আসার জন্য মিসাইল বৃষ্টি এক্ষেত্রে সময় পেতে কিছুটা সাহায্য করতে পারে পুতিনকে।

ফ্রিডম্যানের মতে, আরও সময় পেতে রাশিয়াকে অন্য পরিসর থেকে একটি আক্রমণ আরও বেশি সাহায্য করতে পারে। বেলারুশে রাশিয়ান বাহিনীর সমাবেশের রিপোর্ট রয়েছে, এবং গুজব রয়েছে যে বেলারুশিয়ান সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। যদি এটি সত্য হয়, বেলারুশ থেকে দক্ষিণমুখী আক্রমণ রাশিয়ার জন্য ভাল সময় এনে দিতে পারে। এটি ইউক্রেনকে অন্য ফ্রন্টে আত্মরক্ষা করতে বাধ্য করবে এবং এটি পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেনীয় সরবরাহ লাইনকে হুমকিতে ফেলবে। এটা অবশ্যই বাস্তবে করা থেকে বলা সহজ। বেলারুশ উচ্চ তীব্রতার কোন যুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম কিনা তা অস্পষ্ট, এবং সেখানে রাশিয়ান সৈন্য আনার কাজটিও অনেক কঠিন।

এখনকার বাস্তবতা হলো, রাশিয়ার জন্য চেচনিয়া আর সিরিয়ার লড়াই এবং ইউক্রেন ফ্রন্ট এক নয়। আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধকে রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াই হিসাবে যতই বলি না কেন এ যুদ্ধ কিন্তু চূড়ান্তভাবে ন্যাটোর সাথে রাশিয়ার লড়াই। শুরু থেকেই পুতিন একথাটি বার বার বরে এলেও বৈশ্বিক প্রচারণায় এটি খুব একটা গভীরতা পায়নি। সর্বশেষ ইউক্রেন ফ্রন্টে একের পর এক বিপর্যয়ের পর অত্যন্ত কঠোরভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি যখন পুতিন উচ্চারণ করছিলেন তখনও তিনি জোর দিয়ে বলছিলেন ন্যাটো ইউক্রেণের পক্ষ হয়ে সবকিছু করছে। অন্যদিকে চীনা বিশ্লেষকরাও বলছিলেন, পুতিনের পরমানু যুদ্ধের হুমকি আসলে পরমানু অস্ত্র বাস্তবে ব্যবহারের জন্য নয় বরং তিনি এর মাধ্যমে ইউক্রেনের সর্বাত্মক সহায়তা থেকে ন্যাটো ও ইউরোপকে নিবৃত করতে চাইছেন বলে মনে হয়।

পুতিন যখন ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি ঝরিয়ে সর্বাত্মক ধ্বংসকরী যুদ্ধ শুরু করতে চাইছেন তখন কি বাস্তবে ন্যাটো নিবৃত হবে? এর জবাব আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল স্টলবার্গের বক্তব্য থেকে পাওয়া যায়। বাইডেন পুতিনের পরমাণু যুদ্ধ মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নেবার কথা বলছেন। আর এই সময়টাতে ন্যাটো তার পরমাণু যুদ্ধের সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে। ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল এবারই প্রথম কোন রাখঢাক না করেই স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে ইউক্রেন যুদ্ধে হেরে যাওয়া মানে ন্যাটো ও ইউরোপ হেরে যাওয়া। সেটি কখনো হতে দেবার মতো নয়।ন্যাটো প্রধানের এই বক্তব্য যে শুধু কথার কথা নয় তা বোঝা যায় যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির যুগপৎভাবে ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের ঘোষণা দেবার মধ্য দিয়ে। এর অর্থ হলো ন্যাটো ও ইউরোপ আরো কঠিনভাবে ইউক্রেনের পক্ষে দাঁড়াবে।

পুতিনের দুই দশকের কর্মকান্ড অবলোকনে মনে হয় এই লোকটি যতটা নির্মম ততটাই কৌশলে খেলে থাকেন। তিনি নির্মমতা চালিয়েছেন চেচনিয়ায়, সেখানকার রাজধানিসহ অনেক শহরের অবকাঠামোকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছেন। এর পর এই বিদ্রোহেরই অন্যতম নেতা সিনিয়র কাদিরভের সাথে সমঝোতায় এসেছেন। তার ছেলে রমজান কাদিরভ এখন পুতিনের সামরিক অভিযানের এক নাম্বার সহযোগি যিনি তার তিন নাবালক পূত্রকে ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সিরিয়ার বড় একটি অঞ্চলকে পুতিন মাটির সাথে মিশিয়ে দেবার মতো নির্মম অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু সেখানে তিনি ট্রাম্পের সাথে ভাব করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সংঘাত এড়িয়েছেন। আর মধ্যপন্থী বিদ্রোহি ফ্রি সিরিয়ান আর্মির প্রধান পৃষ্ঠপোষক তুরস্কের সাথে এক ধরনের বোঝাপড়া তৈরি করেছেন।

ইউক্রেনে পুতিন নির্বিচারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাথে সাথেই শান্তি আলোচনার প্রস্তাবও করেছেন। তিনি বরাবরই আপারহ্যান্ডে থেকে যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ যুক্তরাস্ট্র বা ন্যাটো তাকে দেয়নি। প্রশ্ন হলো এবার কি পুতিন সেই সুযোগ পাবেন? এর উত্তর যদি হাঁ হয় তবে দুনিয়া তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের যে ঝুঁকির সামনে দাঁড়িয়ে আছে তার কিছুটা হলেও অবসান ঘটতে পারতো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রণকৌশল সম্ভবত সে রকমটি নয়। যুদ্ধের যে কাদায় পুতিন ও রাশিয়া আটকে পড়েছে তাকে আরো সংকটময় করে রাশিয়াকে আরো দুর্বল করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ইউরোপ বা ন্যাটোর অপরিমেয় ক্ষতি হচ্ছে। ঝুঁকি বাড়ছে বিশ্ব ব্যবস্থায়। কিন্তু রাশিয়াকে জয়ের আবহে রেখে আমেরিকা এই যুদ্ধের অবসান ঘটানোর মতো কোন কিছু হতে দিবে বলে মনে হয় না।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী যুদ্ধ-কঠিন হওয়ার আগে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে ব্যাপকভাবে অস্ত্র সরবরাহ শুরু করার আগে একটি পেরিফেরাল আক্রমণ করতে চাইতে পারে রাশিয়া। একইভাবে, একটি শান্তি চুক্তিও চাইতে পারে – যদি অন্য পক্ষ এটিতে আন্তরিকভাবে আগ্রহী হয়। কিন্তু এর কিছুই সম্ভব নয় যখন রাশিয়া তার নিজস্ব মানদণ্ডে দুর্বল থাকবে। এ কারণে একটি ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি ঘটিয়ে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীকে পুনর্গঠিত করার প্রচেষ্টা সম্ভবত রাশিয়া করছে লিভারেজ তৈরি করার জন্য। মস্কো আশা করছে নতুন কমান্ডারের হিংস্রতা, তাত্ত্বিকভাবে একটি মীমাংসার জন্য ভিত্তি তৈরি করতে পারে।

শেষ পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ইউক্রেনের যুদ্ধের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করবে। আর, এ কারণে ইউক্রেন আমেরিকান স্বার্থের কাছে অনেকখানি জিম্মি। আমেরিকান লক্ষ্য হল রুশ বাহিনীকে যতটা সম্ভব পূর্বে, ন্যাটো থেকে দূরে রাখা। রাশিয়ার লক্ষ্য হল সমস্ত ইউক্রেন পুনরুদ্ধার করা। সুতরাং এই সংঘাতে এক বা অন্যভাবে অগ্রগতি কিছুটা নির্ভর করে নতুন রাশিয়ান সামরিক নেতারা কতটা বিশ্বাসযোগ্য এবং বসন্তে নতুন বাহিনী গড়ে তোলার সময় পাবে এবং তারা কীভাবে বিদ্যমান সৈন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারবে তার উপর। ততক্ষণ পর্যন্ত, তাদের অবশ্যই দেখাতে হবে যে সেখানে তাদের সৈন্যদের গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। আর পরিস্থিতি এর চেয়ে আরও খারাপ হতে পারে। রাশিয়াকে অবশ্যই ইউক্রেনীয় এবং আমেরিকানদের ভয় দেখাতে হবে। অভ্যন্তরীণ ফ্রন্টে পরের বার, কাদিরভের মতো কেউ যেন সমালোচনা করতে পারে না সেটিও দেখতে হবে।

পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন আর রুশ বাহিনী পরাজিত হতে থাকবে সেটি দৃশ্যপট সহজ নয়।তিনি রাশিয়াকে উচ্চকিত রাখতে বিশ্বকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে কসুর নাও করতে পারেন। এ কারণে পশ্চিমাদের এমন প্রচেষ্টাও থাকতে পারে যে রাশিয়াকে পুতিনের নেতৃত্ব থেকে মুক্ত করা। আর সেটি সফল হলে এই যুদ্ধের নিস্পত্তি আলোচনার মাধ্যমে হওয়া সহজ হতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এমন ইংগিত একবার দিয়েছেন।

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।