মারজিয়া আক্তার
পৃথিবীতে যত পাপ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা। পৃথিবীতে শিরকের চেয়ে জঘন্য আর গুনাহ নেই। যে আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ ছাড়া আমাদের একটি মুহূর্তও কাটে না, কাউকে তাঁর সমকক্ষ, সমতুল্য বা সমমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার চেয়ে বড় অপরাধ আর কী হতে পারে? তাই আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরিক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্য পাপ, যার জন্য তিনি চান।
আর যে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে। ’ (সুরা : আন-নিসা, আয়াত : ৪৮)
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি? তিনি বলেন, তুমি কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করবে; অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬০০১; মুসলিম, হাদিস : ৮৬)
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
আল্লাহর সঙ্গে শিরক করার অর্থ আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি অন্য কারো ইবাদত করা। তাঁর দাসত্বের স্বীকৃতির পাশাপাশি অন্য কারো দাসত্বও মেনে নেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ইবাদত করো আল্লাহর, তাঁর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক কোরো না। ’ (সুরা : আন-নিসা, আয়াত : ৩৬)
আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘বলুন, আমাকে শুধু আদেশ দেওয়া হয়েছে, যেন আমি আল্লাহর ইবাদত করি এবং তাঁর সঙ্গে শরিক না করি। ’ (সুরা : আর-রাদ, আয়াত : ৩৬)
আরেক আয়াতে তিনি বলেন, ‘সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদতে কাউকে শরিক না করে। ’ (সুরা : আল-কাহাফ, আয়াত : ১১০)
শিরক যে সবচেয়ে বড় জুলুম ও নিকৃষ্টতম পাপ তা কতভাবেই না আল্লাহ আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর স্মরণ করো, যখন লুকমান তার পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিল, প্রিয় বৎস, আল্লাহর সঙ্গে শিরক কোরো না; নিশ্চয়ই শিরক হলো বড় জুলুম। ’ (সুরা : লুকমান, আয়াত : ১৩)
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ