বিশ্ব ঐতিহ্যের অনন্য স্থাপনা আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদে ভ্রমণে এসে অভিভূত হয়েছেন এক আমেরিকান পর্যটক। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত এ মসজিদে প্রবেশ করতেই নিজের মধ্যে ইসলামের প্রতি বিশেষ অনুরাগ অনুভব করেন তিনি।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড থেকে জানা যায়, আয়া সোফিয়া মসজিদে বার্তিন প্রদেশের কয়লার খনিতে নিহতদের জন্য পবিত্র কোরআন পাঠ ও দোয়া করা হচ্ছিল। এমন সময় আন্তোনিও নামের এক আমেরিকান পর্যটক মসজিদে এসে জানালেন যে তিনি ইসলাম গ্রহণ করতে চান।
এরপর তাঁকে কালেমা শাহাদাত পাঠ করানো হয়।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
এ সময় অন্যরা তাঁকে অভিবাদন জানিয়ে তাকবির ধ্বনি দিতে থাকেন। তাঁর নাম পরিবর্তন করে মুহাম্মদ ফাতিহ রাখা হয়। সুলতান মুহাম্মদ আল-ফাতিহ ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল বিজয় করেছিলেন।
১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল বিজয়ের আগ পর্যন্ত ৯১৬ বছর আয়া সোফিয়া খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর তা মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পর থেকে ৮৬ বছর ঐতিহাসিক এ স্থাপনাকে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ১৯৮৫ সালে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয় এই স্থাপনা।
২০২০ সালে তা আবার মসজিদের রূপে ফিরে যায়। মসজিদ হলেও তা সব ধর্মের পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। দীর্ঘ ৮৬ বছর পর ২০২০ সালের ২৪ জুলাই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের উপস্থিতিতে তাতে প্রথম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কের সবচেয়ে বেশি দর্শনীয় স্থাপনাগুলোর মধ্যে ১৫০০ বছরের পুরনো এ স্থাপনাটি অন্যতম।
সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড ও আলজাজিরা মুবাশির।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com
