Home ইসলাম আলেম ও দায়ীদের সব বিষয়ে প্রকাশ্যে মতামত দেওয়া ঠিক নয়: আল্লামা মুফতি...

আলেম ও দায়ীদের সব বিষয়ে প্রকাশ্যে মতামত দেওয়া ঠিক নয়: আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর সহযোগী পরিচালক আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বলেছেন, উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনের দায়ীদেরকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণ মানুষের মতো সববিষয়ে প্রকাশ্যে মতামত দেওয়া ঠিক নয়। কারণ, তাঁদের যে কোন ভুল পদক্ষেপে কারণে মুসলিম উম্মাহর সমূহ ক্ষতির আশংকা তৈরি হয়।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদের খতিব ও মারকাজুশ শাইখ আরশাদ আল মাদানী মাদ্রাসা ঢাকার মুহতামিম আলহাজ্ব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মারকাজুশ শাইখ আরশাদ আল-মাদানী ঢাকার সভাপতি ও উম্মাহ টুয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রকাশক আলহাজ্ব সৈয়দ জহির উদ্দীন এবং পাক্ষিক সবার খবর সম্পাদক ও জাতীয় লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল গাফফারের সাথে এক মতবিনিময়ে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর মুখপত্র মাসিক মুঈনুল ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক মাওলানা মুনির আহমদ।

আরও পড়তে পারেন-

আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন আরো বলেন, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়াগুলো পরিকল্পিতভাবে খবর ছড়ায় যে, আগামী বিশ বছর পরে আমেরিকায় মুসলমানদের সংখ্যা এ পরিমাণ বেড়ে যাবে, ৫০ বছর পরে মুসলমানরা ইউরোপে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠে পরিণত হবে এবং ইহুদীরা পিছিয়ে পড়বে। কখনো প্রচার করে আগামী এতো বছর পর ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ৫০ ভাগ হয়ে যাবে। এসব নিউজ সরল চোখে দেখলে হবে না। এগুলো ইসলামবিদ্বেষীদের চাতুর্য প্রচারণা।

তিনি বলেন, এটা ঠিক বিশ্বব্যাপী মুক্তি ও ইনসাফকামী মানুষ দিন দিন ইসলামের প্রতি ঝুঁকছে। আর এতে ইসলামবিদ্বেষীরা আতঙ্কিত হয়ে ফুলিয়ে ফাঁফিয়ে এই নিউজগুলো প্রচার করে মূলত: ওইসব দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রীস্টান, হিন্দু এবং ইহুদী জনগোষ্ঠির মাঝে আতঙ্ক তৈরি করে মুসলিমবিদ্বেষ ছড়াতে চায়।

আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন আরো বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দরিদ্র মুসলিম দেশে খ্রীস্টান মিশনারীরা নানা মিথ্যা ও ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে সরলমনা দরিদ্র মুসলমানদেরকে খ্রিস্টান বানাতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলসহ উত্তরাঞ্চলে তাদের অনেক তৎপরতা। কিন্তু আমাদের শত অভিযোগ সত্ত্বেও তারা তো এসব স্বীকার করে না। কিংবা পশ্চিমা কোন মিডিয়া তো মিশনারীদের খ্রীস্টান বানানোর তৎপরতা নিয়ে সংবাদ প্রচার করে না। কারণ, তারা জানে এসব নিউজ প্রচার করলে মুসলিম সমাজে খ্রীস্টান মিশনারীদের তৎপরতার বিরুদ্ধে জনক্ষোভ তৈরি হবে। সুতরাং এখান থেকেই বুঝতে হবে, এই যে সময়ে সময়ে ইউরোপে, ভারতে মুসলিমবৃদ্ধির যেসব নিউজ ফুলিয়ে ফাঁফিয়ে প্রচার করা হয়, মূলত: এর উদ্দেশ্য সেসব অঞ্চলের অমুসলিমজনগোষ্ঠির মাঝে মুসলিমদের প্রতি ভীতি তৈরি করে ক্ষোভ ছড়িয়ে দেওয়া।

তিনি বলেন, উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনের দায়ীদেরকে প্রচারের চেয়ে কাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে বেশি। কারণ, অধিক প্রচারণায় অনেক সময় কাজের পথে অনাহুত বাধা তৈরি করে। এতে প্রতিপক্ষ সতর্ক হয় এবং নানা ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাততে উৎসাহিত হয়।

তিনি বলেন, আলোচনার টেবিলের কথা কখনো সমাবেশে বলা যাবে না। নিজেদের মধ্যে কৌশলের কথা কখনো প্রকাশ্যে বলা ঠিক নয়। দাওয়াত ও তাবলীগের বিভিন্ন পথ ও পদ্ধতি রয়েছে। এক একজন এক একভাবে কাজ করে যাবে। সবাইকে এক পদ্ধতিতে আনতে যাওয়া কখনো ঠিক নয়।

ঢাকার আলেম প্রতিনিধিরা জামিয়ার শিক্ষাসচিব হযরত আল্লামা কবির আহমদের সাথেও কুশল বিনিময় করেন এবং মাকবারাহ যিয়ারত করেন। সবশেষে জামিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর মুখপত্র মাসিক মুঈনুল ইসলাম কার্যালয়ে গমন করে পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাওলানা মুনির আহমদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।