যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গত ২ ও ৩ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে প্রথম আন্তর্জাতিক হালাল পণ্যের প্রদর্শনী। এটি গভর্মেন্ট থেকে গভর্মেন্ট, ব্যবসায়ী থেকে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা হালাল পণ্যের বাণিজ্যিক প্রদর্শনী। প্রায় ৩০০ প্রদর্শক ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়ন, পঞ্চাশেরও বেশি বক্তা ও আট হাজারেরও বেশি পেশাজীবী (প্রফেশনালস) এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে।
হালাল পণ্যের প্রদর্শনী লন্ডন (halalexpolondon.com) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘হালাল পণ্যের প্রদর্শনী লন্ডন আপনার নির্দিষ্ট বাজারকে বিশ্বের ১.৮ ট্রিলিয়ন পাউন্ড সমমূল্যের আন্তর্জাতিক পরিসরে সম্প্রসারণের সুযোগ করে দিচ্ছে।
যেখানে আছে অপার ব্যাবসায়িক সম্ভাবনা। ’
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
এখানে আরো বলা হয়েছে, ‘এই বাণিজ্যিক প্রদর্শনী বিশ্বের বিভিন্ন খাতের ১.৯ বিলিয়ন ভোক্তা, উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্ভাবনার দরজা উন্মোচন করবে যারা ইসলাম ধর্মে অনুপ্রাণিত নৈতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। ’
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমান বিশ্বে হালাল খাদ্য শিল্পের বাজার প্রায় ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের। ভবিষ্যতে এটি বিশ্ব খাদ্য বাণিজ্যে প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখতে পারে, যা হয়ে উঠতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য একটি উপখাত।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ইসলামী ফাইন্যান্স বা অর্থসংস্থান বিশ্বব্যাপী যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে, যা বর্তমান বিশ্বের দ্রুততম বর্ধিষ্ণু শিল্পের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে এর বৈশ্বিক সম্পদের পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ ৩.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ