।। তালহা হাসান ।।
তেরো শ বছর আগে নির্মিত সৌদি আরবের প্রাচীনতম আল-সাফা মসজিদ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান গৃহীত ঐতিহাসিক মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে আল-বাহা অঞ্চলের মসজিদটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সংস্কারের মাধ্যমে মসজিদের স্থাপত্যশৈলী ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিশ্চিত করা হবে।
আল-সাফা মসজিদটি বালজুরাশি অঞ্চলে অবস্থিত। সাড়ে তেরো শ বছর আগে উঁচু পাহাড়ে অবস্থিত মসজিদটির আশপাশে রয়েছে পাথরের তৈরি বিভিন্ন ভবন। মনে করা হয়, আল-সাফা মসজিদটি প্রথম নির্মাণ করেন সুফিয়ান বিন আউফ আল-গামদি।
তখনকার সামাজিক প্রেক্ষাপটে মসজিদটির গুরুত্ব অনেক বেশি ছিল। গ্রামবাসী এখানে একত্র হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করত। মাগরিব ও এশার নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিরোধ মীমাংসা করা হতো।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
ঐতিহাসিক মসজিদ সংস্কার প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে সৌদি আরবের ১৩টি অঞ্চলের ৩০টি মসজিদ আছে। এর মধ্যে রিয়াদে ছয়টি, মক্কায় পাঁচটি, মদিনায় চারটি, আসিরে তিনটি, আল-জউফ ও জাজানের দুটি, তাবুক, আল-বাহা, নাজরান, হায়েল ও আল-কাসিমসহ বিভিন্ন মসজিদ আছে।
এর আগে সংস্কার প্রকল্পের প্রথম ধাপে ১০টি অঞ্চলের ৩০টি ঐতিহাসিক মসজিদ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। মসজিদগুলোর সুরক্ষা, সংস্কার, স্থায়িত্ব ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে স্থাপত্য সৌন্দর্য বজায় রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। সৌদি আরবের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রেখে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করাই এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র : সৌদি গেজেট
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ