Home প্রবন্ধ-নিবন্ধ জলবায়ু পরিবর্তন : ক্ষতির মুখে আমরা

জলবায়ু পরিবর্তন : ক্ষতির মুখে আমরা

-প্রতীকি ছবি।

।। মোমিন মেহেদী ।।

কোরবানির পশু বর্জ্য এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সারা দেশে। পাড়ায়-মহল্লায় রক্ত আর বর্জ্যরে গন্ধে নাভিশ্বাস যাওয়ার উপক্রম। তখন মনে পড়ল জলবায়ু পরিবর্তনের কথা। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিতেই বেরিয়ে এলো নানা ধরনের গুঞ্জন এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য। যদিও সঠিক কথা রয়টার্স ডিজিটাল-এর এনার্জি এবং ইএসজি সম্পাদক শ্যারন কিমাথির এক লেখা থেকে জানতে পেরেছি, ছাত্র-যুব-জনতার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রত্যয়ের পথ খোলা আছে। চাইলেই আমরা রাজনীতির নামে অপরাজনীতিকদের যেভাবে রুখতে পারি, ঠিক একইভাবে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের যে সঙ্কট নির্মিত হচ্ছে, তাও রুখতে পারি। আর তার জন্য জানা প্রয়োজন যে, জলবায়ু পরিবর্তন কী?

কোনো একটি জায়গায় বছরের পর বছর ধরে আবহাওয়ার যে গড়পড়তা ধরন, তাকেই বলা হয় জলবায়ু। আর জলবায়ু পরিবর্তন বলতে ৩০ বছর বা তার বেশি সময়ে কোনো জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদি ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন বুঝায়। একটি নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা বা বৃষ্টিপাতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকে বোঝায়। জলবায়ু পরিবর্তন কেন হয়? মূলত মানবকুলই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ তবে প্রাকৃতিক কারণেও স্বাভাবিকভাবে জলবায়ুতে কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়। যেমন- পৃথিবীর বিভিন্ন গতিশীল প্রক্রিয়া, সৌর বিকিরণের মাত্রা, পৃথিবীর অক্ষরেখার দিক পরিবর্তন কিংবা সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর অবস্থান। শ্যারনের প্রতিবেদন বলছে- চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে তাপমাত্রা জুনের রেকর্ড ভেঙেছে এবং চরম তাপপ্রবাহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত করেছে। উত্তর আমেরিকার কিছু অংশ এই মাসে ঋতুগত গড় থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল এবং বনের দাবানলের ধোঁয়া কানাডা এবং মার্কিন পূর্ব উপকূলকে বিপজ্জনক কুয়াশায় আচ্ছন্ন করেছে, যেখানে কার্বন নিঃসরণ রেকর্ড ১৬০ মিলিয়ন মেট্রিক টন অনুমান করা হয়েছে। জলবায়ু গুঞ্জন নিয়ে যে কথাগুলো সবচেয়ে বেশি হয় চলুন জেনে আসি তার কিছু কারণ বা উপসর্গ-

১. জলবায়ু ভূমি, সমুদ্রের তাপমাত্রা রেকর্ড ভঙ্গ করার কারণে নো রিটার্ন পয়েন্টের কাছাকাছি- বিশেষজ্ঞরা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক উষ্ণতা ধরে রাখার লক্ষ্য নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থল ও সমুদ্রে কয়েক মাস রেকর্ড-ব্রেকিং তাপ সত্ত্বে ও দেশগুলো আরো উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ১৪ জুন, ২০২৩ মন্টেরে, মেক্সিকোতে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের সময় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে লোকেরা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।

২. মেক্সিকোতে তাপপ্রবাহে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, কর্তৃপক্ষ বলছে- দেশের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি (১২২ ফারেনহাইট) এর কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার কারণে মেক্সিকোতে গত দুই সপ্তাহে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাপ-সম্পর্কিত কারণে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

৩. জলবায়ু উদ্বেগ নিয়ে EU শক্তি চার্টার চুক্তি থেকে প্রস্থানের প্রস্তাব করবে কিছু সরকার ইতোমধ্যে জলবায়ু উদ্বেগগুলো ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে ইউরোপীয় কমিশন ইইউ দেশগুলোর জন্য যৌথভাবে একটি আন্তর্জাতিক শক্তি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।

৪. EU-Mercosur বাণিজ্য চুক্তি আদিবাসীদের জমি হুমকির সম্মুখীন, অ্যাক্টিভিস্টরা বলেছেন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং দক্ষিণ আমেরিকান ব্লক মেরকোসুরের মধ্যে একটি পরিকল্পিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আদিবাসীদের জমি এবং অধিকারের ব্যয়ে ব্রাজিল থেকে কৃষিজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে।

৫. কানাডিয়ান দাবানলের ধোঁয়া ছড়িয়েছে, ১০০ মিলিয়ন আমেরিকান বায়ু-মানের সতর্কতার অধীনে কানাডিয়ান দাবানলের ধোঁয়া মধ্য-পশ্চিম এবং পূর্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় অস্বাস্থ্যকর এবং কিছু জায়গায় বিপজ্জনক অবস্থার কারণ হয়ে দাবানলের ধোঁয়া লাখ লাখ আমেরিকানদের ওপর ঘোলাটে, নিস্তেজ আকাশ ছড়িয়ে পড়েছে।

এই যদি হয় চীন-কানাডাসহ উন্নত দেশের অবস্থা! তাহলে আমাদের মত দেশের কী অবস্থা! একদমই শোচনীয়। তার ওপর আবার উন্নয়ন অবকাঠামোর নামে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া আমলা আর লুটেরাদের ‘ভৌতিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা’র হাত ধরে কংক্রিটের আবর্জনার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। সেখানে উপরে মেট্রোরেল থাকলেও নিচে চরম অব্যবস্থাপনা আর দুঃসহ ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে প্রতিদিন। হয়তো এ কারণেই গবেষণায় উঠে এসেছে যে, আধুনিক যুগে প্রবেশের পর মানব সৃষ্ট কলকারখানা, যানবাহন, শীতে ঘর গরম রাখতে তেল, গ্যাস এবং কয়লা পোড়ানো ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের ফলে পূর্বের তুলনায় পৃথিবীর তাপমাত্রা এখন ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে।

বর্তমান সময়ে মনুষ্যজনিত গ্রিনহাউজ গ্যাসের ফলে পৃথিবীর উষ্ণায়নকে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অন্যতম কারণ ধরা হয়। যেটি কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধিতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সর্বোপরি জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন বাড়ছে। গাছপালা কার্বন ধরে রাখে। ফলে, সেই গাছ যখন কাটা হয় বা পোড়ানো হয়, সঞ্চিত সেই কার্বন বায়ুমণ্ডলে নিঃসরিত হয়। গ্রিনহাউজ গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ঊনবিংশ শতকের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। গত দুই দশকে বেড়েছে ১২ শতাংশ।

আরও পড়তে পারেন-

এমতাবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তন কখন, কিভাবে ও কতটা ক্ষতি করবে পৃথিবীর তা সুনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্টভাবে বলা না গেলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফল এখনই পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ুর এই পরিবর্তনে বদলে যাবে আমাদের জীবনযাপন। পানির সঙ্কট সৃষ্টি হবে। খাদ্য উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়বে। কোনো কোনো অঞ্চল বিপজ্জনক মাত্রায় গরম হয়ে পড়বে এবং সেই সাথে সমুদ্রের পানি বেড়ে বহু এলাকা প্লাবিত হবে। ফলে সেসব জায়গা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তার সাথে সাথে একটা বিষয় শেয়ার করে রাখি অনলাইন সচেতন নাগরিকদের সাথে, তা হলো- ক্ষমতাসীন অথবা সাবেক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক প্লাটফর্মের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদকরা বরাবরই পরিবেশ নিয়ে উদাসীন। নামের সাথে তারা পরিবেশবিদ লিখলেও পরিবেশ ধ্বংসকারী পিভিসিতে তাদের বড় বড় বিলবোর্ড রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চোখে পড়বে যে কারো। পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক যখন পরিবেশ নিয়ে উদাসীন, তখন তাদের সব নেতাই পরিবেশ ধ্বংসের রাস্তায় হাঁটবেন, এটা স্বাভাবিক বিষয়।

তাদের মতো রাজনীতিক-আমলা আর অসচেতন নাগরিকদের কারণে নির্মমতায় আমরা অতিষ্ঠ, চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া-অতিরিক্ত গরমের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ের প্রকোপ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকবে। ফলে জীবন এবং জীবিকা হুমকিতে পড়বে। গরিব দেশগুলোতে এসব বিপদ মোকাবেলার সক্ষমতা কম বলে তাদের ওপর এই চরম আবহাওয়ার ধাক্কা পড়বে সবচেয়ে বেশি। তাপমাত্রা বাড়ায় উত্তর মেরুর জমাট বাঁধা বরফ এবং হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাচ্ছে। ফলে সাগরের উচ্চতা বেড়ে উপকূলের নিচু এলাকাগুলো ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। এ ছাড়া সাইবেরিয়ার মতো অঞ্চলে মাটিতে জমে থাকা বরফ গলতে থাকায় বরফের নিচে আটকে থাকা মিথেন গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে, মিথেনের মতো আরেকটি গ্রিনহাউজ গ্যাস জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।

পৃথিবীর উষ্ণতা তাতে আরো বাড়বে এবং বন-জঙ্গলে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়বে। প্রকৃতি তাদের চিরচেনা বসতির আবহাওয়া বদলের জেরে অনেক প্রাণী নতুন জায়গায় চলে যাবে বা যাওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু জলবায়ুর এই পরিবর্তন এত দ্রুত হারে এখন ঘটছে যে অনেক প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। যেমন, বরফ গলতে থাকায় পোলার বিয়ার বা উত্তর মেরুর শ্বেত ভালুকের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে। গত ২০ বছরে বাংলাদেশে ১৮৫টি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বড় দুর্যোগ আঘাত হেনেছে যার মধ্যে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, পাহাড়ধসের মতো দুর্যোগ রয়েছে। এতে ১১ হাজার ৪৫০ জন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৩৭২ কোটি ডলার। বাংলাদেশে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা ও পানি বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততাকে প্রধান প্রাকৃতিক বিপদ হিসেবে চিহ্নিত। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় খুবই সাধারণ ঘটনা।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের বসবাসের এই এলাকাগুলো ওই সব প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা ও ভোলায় জলবায়ু পরিবর্তন ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে। ঘন ঘন দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে এই জেলাগুলো।

বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি সঙ্কটকে আরো ঘনীভূত করছে। পানির লবণাক্ততাও একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপকূলের অনেক এলাকা এখন এই সমস্যায় আক্রান্ত। তাছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও বিরূপ ভূমিকা রাখে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে মানুষের জীবিকা সঙ্কটের মুখে পড়ে। প্রতি পাঁচ বছরে একবার খরার কারণে বিপদে পড়ে বাংলাদেশের মানুষ, আর এক্ষেত্রে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউনিসেফের শিশুদের জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) ২০২১ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশের (আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান) শিশুরা জলবায়ু সঙ্কটজনিত প্রভাবের শিকার হওয়ার অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

বনভূমি বা বৃক্ষ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের ২০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ খ্যাত আমাজনের চিরহরিৎ বন থেকে। তার থেকেও বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয় এই বনভূমি। প্রায় ২০০ কোটি মেট্রিক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে ৭০ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বিশাল এই বনাঞ্চল। তাই যত বেশি সম্ভব সবাইকে গাছ রোপণ করতে হবে। একই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। গাড়ির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সাইকেল বা জনপরিবহনের ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে। তাছাড়া বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ভূমিকা রাখতে পারে। এমন পরিকল্পিত পদক্ষেপগুলো লোভ মোহহীন নিরন্তর রাজপথে থাকা মানুষগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। যার দায়িত্ব সব স্তরের সব মানুষের। আসুন একে অপরকে দোষারোপ না করে দেশ তথা বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা চালাই ভালোর জন্য, আলোর জন্য…।

email : mominmahadi@gmail.com

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।