Home অন্যান্য খবর ‘জামিয়াতুন নূর আল-কাসেমিয়া’র বার্ষিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

‘জামিয়াতুন নূর আল-কাসেমিয়া’র বার্ষিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

নমুনায়ে কাসেমী মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী (হাফি.) প্রতিষ্ঠিত জামিয়াতুন নূর আল কাসেমিয়ার বার্ষিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আন-নূর অডিটোরিয়ামে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিয়াতুন নূর আল কাসেমিয়ার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীস মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিয়ার শিক্ষাপরিচালক মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী প্রথমেই মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে মনোমুগ্ধকর এই অনুষ্ঠানের জন্য জামিয়ার আসাতিজায়ে কেরাম ও শিক্ষার্থীদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, আমি আশা করি তোমরা আজকে যে সাবলীল ভাষায় বক্তব্য দিয়েছ, এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে তোমরাই আগামী দিনে দেশ ও জাতির ঈমান, ইসলাম সংরক্ষণে যুগশ্রেষ্ঠ বক্তা হয়ে জাতির সামনে নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারবে। তোমাদের কণ্ঠগুলোই আগামীদিনে বাতিলের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হবে এবং দেশ ও উম্মাহর মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করে যাবে।

তিনি আরো বলেন, বিজয় ও স্বাধীনতা দিবস এদেশের কওমি উলামায়ে কেরাম স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করে থাকে। এ-র দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়, কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ সত্যিকারের দেশপ্রেমিক।

মাওলানা নাজমুল হাসান খুবই দুঃখ ও আফসোসের সাথে বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৫২ বছর হলো। অথচ এদেশের মানুষ এখনো স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল ভোগ করতে পারেনি। সমাজের সর্বত্রই দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি আর ক্ষমতার অপব্যবহার চলছে। এই গুণে ধরা সমাজ সংশোধনের জন্য আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। কওমী মাদরাসার প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আগামীদিনে দেশ ও সমাজ পরিচালনার জন্য যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। এজন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও রোড ম্যাপ এখন থেকেই তৈরী করতে হবে।

আরও পড়তে পারেন-

তিনি বলেন, আমাদেরকে শুধুমাত্র লেখাপড়া আর বক্তৃতা ইত্যাদিতে যোগ্য হলে চলবে না; বরং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করার মতোও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যাতে করে আমরা সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারি। আর সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের জন্য তাযকিয়া তথা আত্মশুদ্ধির বিকল্প নেই।

আন-নূর সাহিত্য কাফেলার উদ্যোগে আয়োজিত বাংলা বক্তৃতা প্রশিক্ষণ মজলিসের জিম্মাদার মাওলানা আশেক মাহমুদ হানাফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ছয়টি অধিবেশনে আরবি, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের উপর শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।

প্রথম অধিবেশন আরবিঃ এ পর্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন- মুফতি শাব্বির আহমাদ কাসেমী, মাওলানা সা’দ কাসেমী ও মাওলানা ইমরান হোসাইন। এ পর্বে উত্তীর্ণরা যথাক্রমে- গ্রুপ-(ক) রাফি আহমাদ, আব্দুর রহমান আল হাদী, মুশতাক। গ্রুপ-(খ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, শামীম রেজা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

দ্বিতীয় অধিবেশন বাংলাঃ এ পর্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন- মাওলানা ইদরিস আহমাদ কাসেমী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম আইনি ও মাওলানা ইয়াসিন শেখ। এ পর্বে উত্তীর্ণরা যথাক্রমে- আব্দুল আজিজ, ফয়জুর রহমান ও আতিকুর রহমান।

তৃতীয় অধিবেশন কবিতা আবৃত্তিঃ এ পর্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন- মাওলানা নুরুল্লাহ, মাওলানা ইয়াসিন শেখ ও মাওলানা এমদাদুল হক। এ পর্বে উত্তীর্ণরা যথাক্রমে- ফয়জুর রহমান, মাহমুদ হাসান, ওয়ালিদ জামিদ।

চতুর্থ অধিবেশন ইংরেজি বক্তৃতাঃ এ পর্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন- মাওলানা হাসান আরিফ, মাস্টার নুরুল ইসলাম ও মাওলানা এমদাদুল হক। এ পর্বে উত্তীর্ণরা যথাক্রমে- আতিকুর রহমান, মুজাহিদ ও মাহমুদুল হাসান সিয়াম।

পঞ্চম অধিবেশন কেরাত প্রতিযোগিতাঃ এ পর্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন- মাওলানা তাকি আহমদ কাসেমী, মাওলানা ইমরান হুসাইন, হাফেজ এমদাদুল হক ও হাফেজ ওবায়দুল্লাহ। এ পর্বে উত্তীর্ণরা যথাক্রমে- আব্দুল আজিজ, মাহমুদুল হাসান সিয়াম, সাবিত ও হুসাইন।

ষষ্ঠ অধিবেশন উপস্থিত সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতাঃ এ পর্বে উত্তীর্ণরা যথাক্রমে- রাহেবুল ইসলাম, সালমান খান, হাসিবুর রহমান।

হামদ-নাত ও হিফজুল হাদীস প্রতিযোগিতায় একজন করে দুইজন প্রতিযোগীকে উত্তীর্ণ করা হয়। তারা হলেন- মিসবাহুল হক ও সারোয়ার হোসাইন।

এছাড়াও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণরা যথাক্রমে- (বাংলা) মাহমুদুল হাসান সিয়াম, মুজাহিদুল ইসলাম, মোল্লা ওমর। (আরবি) তানভীর আহমেদ, আতিক, আব্দুল্লাহ মাসুম।

সর্বশেষ জামিয়ার শিক্ষা সচিব মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমীর দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

উম্মাহ২৪ডটকম:এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।