Home ইতিহাস ও জীবনী হুই মুসলিমদের ঐতিহ্য ও সঙ্কট

হুই মুসলিমদের ঐতিহ্য ও সঙ্কট

।। মুসা আল হাফিজ ।।

বহু জাতি ও গোষ্ঠীর দেশ চীন। সরকারিভাবে স্বীকৃত ৫৬টি জাতি ও উপজাতির বসবাস চীনে। এর মধ্যে মুসলিমপ্রধান গোষ্ঠী ১০টি, অন্যান্য অনেক গোষ্ঠীতে রয়েছে মুসলিম জনসংখ্যা। চীনে বেশ কিছু ধর্মের প্রচলন আছে। প্রধান ধর্ম বৌদ্ধ ও তাও। এরপর খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলাম। হুই, উইঘুর, কাজাখ, কিরগিজ, তাজিক, তাতার, উজবেক, তুংশিয়াং, সালার এবং পাওআন গোত্র ঐতিহ্যগতভাবে ইসলামী পরিচয়ে বিকশিত। তারা প্রধানত বসবাস করেন উত্তর-পশ্চিম চীনে। সেখানকার স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ শিনচিয়াং ও নিংশিয়া এবং ছিংহাই, কানসু ইত্যাদি প্রদেশে তাদের বসবাস তুলনামূলকভাবে অধিক।

থাং রাজবংশ (৬১৮-৯০৭ সাল) এবং সুং রাজবংশের (৯৬০-১২৭৯ সাল) আমল থেকে বিভিন্ন গোত্রের মানুষ ইসলামে দীক্ষিত হতে থাকে ধীর গতিতে। আরব, পারস্য ও মধ্য এশিয়া থেকে আগত মুসলিমরাও এখানে স্থায়ী হন, বিয়ে করেন। ফুচৌ, ছুয়ানচৌ এবং হাংচৌতে এখনো প্রাচীন পাথরে অঙ্কিত আরবি রচনা চোখে পড়ে, যা হাজার বছরের আগের স্মৃতি রক্ষা করছে।

উত্তর-পশ্চিম চীনের ১০টি সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী নিজেদের জীবনের যাপন ও ঐতিহ্যে ইসলাম ও চীনা মননের সমন্বিত অনুশীলন করে চলেছে। নিজেদের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রীতিনীতি এবং মানসিকতায় তারা ইসলামের নির্দেশনা অনুসন্ধান করছেন। ধর্মের আদেশ-নিষেধ তাদের জাতিগত প্রথা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি গঠনের মর্মমূলে কাজ করেছে। বৃহত্তর চীনা জনগোষ্ঠীর জীবনপ্রণালী, পোশাক, খাবার-দাবার ইত্যাদির মধ্যে তারা আপন বিশিষ্টতা ও ইসলামী স্বাতন্ত্র্য ধরে রাখার কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ চেষ্টা জারি রেখেছেন বহু ত্যাগের বিনিময়ে। শূকরের মাংস, ইঁদুর-ছুচো, সাপ, বিছে, পোকা, হিংস্র প্রাণী, স্বাভাবিকভাবে মৃত বা রোগে মারা যাওয়া প্রাণী, প্রাণীর রক্ত ইত্যাদি না খাওয়া যেমন তাদেরকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে, তেমনি গৃহনির্মাণ ও পর্দাব্যবস্থাপনা, বিয়ে, শিক্ষা-দীক্ষা, টুপি-পোশাক ও হিজাব, পারস্পরিক সম্বোধন, ধর্মীয় আচার ও উৎসব, ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত, মৃতদেহ দাফন, ঈদ উদযাপন ইত্যাদি চীনা সভ্যতার চিরচেনা অংশে পরিণত হয়েছে। কারণ ১৩০০ বছরের অধিক সময় ধরে চীনের সমাজে ও জীবনে এর অনুশীলন এবং প্রাণরস চীনা নিজস্বতার একটি আমেজে প্রবাহিত।

চীনের প্রধান জনগোষ্ঠী হান। তারা সংখ্যায় যেমন বিপুল, ঐতিহ্যেও তেমনি সমৃদ্ধ। তাদের মোট জনসংখ্যা ১০০ কোটির অধিক। সাড়ে চার হাজার বছরের অধিক সময় ধরে চীনে তাদের বসবাস। তাদের পূর্বপুরুষ ছিল চীনের আদিবাসী হুয়াসিয়াগণ। তাদের সভ্যতার ইতিহাস পাঁচ হাজার বছরের পুরনো। এখানে তারা সৃষ্টি করেছে নিজস্ব ভাষা। তিন হাজার বছরের পথপরিক্রমায় এ ভাষা বিবর্তিত হয়েছে। ভাষাটির নাম হানইয়ু। এটি কেবল চীনের প্রধান ভাষা নয়, জাতিসঙ্ঘেরও অন্যতম ভাষা। ইতিহাসের নানা ধাপে তারা নানা রকম ধর্মজীবন যাপন করেছে। তবে ভাগ্য ও পূর্বপুরুষের পূজা ছিল তাদের ঐতিহ্যগত প্রধান প্রবণতা। হাজার বছর ধরে তাদের মানস গঠন করেছে কনফুসিয়াসের চিন্তা। অবশেষে তারা আলীঙ্গন করেছে বৌদ্ধ ও তাও ধর্মকে। আবার তাদের এক অংশ হয়েছে খ্রিষ্টান, অন্য অংশ দীক্ষিত হয়েছে ইসলামে। হানদের যে বংশগুলো মুসলিম হয়েছেন, তাদের বলা হয় হুই। এদের মধ্যে কিছু গোষ্ঠী ভিন্ন বিশ্বাসে দীক্ষিত থাকলেও ৯০ শতাংশ হুই মুসলমান। নিংজিয়া, গানসু, কিংহাই ও অন্যান্য প্রদেশে রয়েছে উল্লেখযোগ্য হুই জনসংখ্যা। এর বাইরেও হুই বসতিগুলো ছড়িয়ে আছে চীনজুড়ে। বেইজিং, সাংহাইসহ বড় বড় শহরে তারা বসবাস করেন ব্যাপকভাবে। হুই মুসলিমদের সংখ্যা এক কোটির অধিক। তাদের নিজস্ব জীবন অনুশীলনের সমৃদ্ধ, বিকশিত রূপ ও মাত্রা রয়েছে।

অন্যান্য জাতিগত গোষ্ঠীকে যেখানে নৃতাত্ত্বিক ও ভাষাগত পটভূমিতে সংজ্ঞায়িত করা হয়, হুইদের সেখানে পরিচয় দেয়া হয় ইসলামের ধর্মীয় অনুষঙ্গ দ্বারা। তাদের গায়ে মিশেছে ঐতিহ্যবাহী হান আর আরব, পারস্য এবং মধ্য এশীয় রক্তধারা। এসব অঞ্চল থেকে আগত বণিক, ভ্রমণকারী এবং পণ্ডিতদের বংশধর হিসেবে তাদের গণ্য করা হয়, যারা সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকে তাং রাজবংশের (৬১৮-৯০৭ সালে) সময় চীনে বসতি স্থাপন করেন।

হুইদের পূর্বপুরুষদেরকে ঐতিহাসিক নথিতে ‘হুইহুই’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তারা প্রাচীন সিল্ক রোড ধরে চীনে এসেছিলেন, যা চীনকে ইসলামী বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করেছিল। সময়ের সাথে সাথে, তারা তাদের ইসলামী বিশ্বাস রক্ষা করে চীনা সমাজে একীভূত হন। এই একীকরণের প্রক্রিয়াটি অগ্রসর হয় হান চীনাদের সাথে আন্তঃবিবাহ এবং চীনা ভাষা ও রীতিনীতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে।

মিং (১৩৬৮-১৬৪৪) এবং কিং (১৬৪৪-১৯১২) রাজবংশগুলো হুই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য সময়কাল। মিং রাজবংশের সময় হুই মুসলমানদের হান চীনা সমাজে আরো বেশি অংশগ্রহণ ও পারস্পরিকতা ঘটে। যা পরস্পরের মধ্যে আত্তীকরণের অনুভূতির বিস্তার ঘটায়। মাঞ্চুস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কিং রাজবংশ হুই মুসলমানদের একটি পৃথক জাতিগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তখন হুইরা আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি গ্রহণ করে। তারা এই রাজবংশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, শিল্প, বিজ্ঞান এবং প্রশাসনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুখ্য অবদান রেখেছিল।

হুই মুসলিমরা তাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও অনন্য পরিচয়ের প্রতিফলন ঘটিয়েছে চীনের সংস্কৃতিতে নিজেদের অবদানের দ্বারা। তার মধ্যে কয়েকটি দিক লক্ষ করা যেতে পারে।

১. রন্ধনপ্রণালী : হুই সংস্কৃতির অন্যতম বিখ্যাত দিক হলো তাদের রন্ধনপ্রণালী। হুই রন্ধনপ্রণালী, ঐঁরুঁ পধর-নামে পরিচিত। ঐতিহ্যবাহী চীনা রন্ধনপ্রণালীর সাথে ইসলামিক খাদ্যতালিকার সমঝোতা ঘটায়। ‘নিউ রু মিয়ান’ (গরুর গোশতের নুডলস) এবং ‘ইয়াং রু চুয়ান’ (মেষের স্ক্যুয়ার) এর মতো বিখ্যাত খাবারগুলো চীনজুড়ে মানুষের কাছে প্রিয়। প্রায় প্রতিটি বড় চীনা শহরে হুই রেস্তোরাঁ পাওয়া যায়, যা তাদের রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্যের ব্যাপক প্রভাবকে সম্প্রসারিত করে চলছে।

২. স্থাপত্য : চীনের স্থাপত্যের ভূ-প্রকৃতিতেও হুই মুসলিমদের ছাপ গভীর। হুইশৈলীর স্থাপত্য গৃহনির্মাণে, বাড়ির বৈশিষ্ট্য, বারান্দা, উঠান ও দেয়াল বিন্যাসে বিশেষ চরিত্রসম্পন্ন। এতে ইসলামিক ও চীনা স্থাপত্য উপাদানগুলোর সংমিশ্রণ দেখা যায়। তাং রাজবংশের সময় নির্মিত শিয়ানের গ্রেট মসজিদ এই স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণের প্রধান উদাহরণ, যেখানে ঐতিহ্যবাহী চীনা ছাদ এবং আরবি ক্যালিগ্রাফির মোহন সমন্বয় ঘটেছে।
৩. ভাষা ও সাহিত্য : হুই মুসলিমরা চীনের ম্যান্ডারিন ভাষায় সাবলীল। তবুও নিজস্ব ভাষার সংরক্ষণ করেছেন, যা ‘হুইহুই হুয়া’ বা ‘কিংজেন হুয়া’ নামে পরিচিত। এতে আছে বিপুল আরবি ও ফার্সি ঋণ। হুই সাহিত্যে ধর্মীয় গ্রন্থ, কবিতা ও ঐতিহাসিক নথির সমৃদ্ধ ভাণ্ডার রয়েছে, যা তাদের অনন্য ভাষাগত ঐতিহ্যকে ব্যাখ্যা করে।

৪. ধর্মীয় অনুশীলন : ইসলাম আছে হুই মুসলিম পরিচয়ের মূলে। ধর্মীয় অনুশীলন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যার সাথে যুক্ত আছে অনেকগুলো দিক। যেমন-

ক. মসজিদ : হুই সম্প্রদায়ে মসজিদগুলো কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। মসজিদ শুধু আধ্যাত্মিক কেন্দ্র নয়; বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। হুই মসজিদগুলো তাদের স্থাপত্যশৈলীর জন্য স্বতন্ত্র ও ব্যাপকভাবে চীনা নকশার উপাদানগুলোকে কাজে লাগায়। প্যাগোডার স্থাপত্যরীতি মসজিদ নির্মাণে স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়।

খ. হালাল অনুশীলন : হালাল খাদ্য আইন মেনে চলা হুই মুসলিমদের জীবনের একটি মৌলিক দিক। তারা উপার্জনে, খাদ্য তৈরিতে ইসলামের নিষিদ্ধ উপাদান এড়াতে যত্নবান। এ জন্য কঠোর নির্দেশিকা অনুসরণ করেন। হালাল রেস্তোরাঁ ও খাবারের বাজারগুলো আপনাকে জানিয়ে দেবে এটি হুই-সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা।

গ. ধর্মীয় উৎসব : হুই মুসলমানরা ইসলামী উৎসব উদযাপন করেন, যার মধ্যে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। জুমা, রমজান ও অন্যান্য পবিত্র উপলক্ষকে তারা গুরুত্ব দেন। হুইরা প্রধানত ইবাদত, সামাজিক মিলন, ভোজ ও দাতব্য কাজের মধ্য দিয়ে ইসলামী উপলক্ষগুলোকে উদযাপন করেন।

আরও পড়তে পারেন-

ঘ. সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ : চীনা সমাজে নিজেদের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং অবদান থাকা সত্ত্বেও, হুই মুসলিমরা সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু হুমকি ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যেমন-

১. ধর্মীয় বিধিনিষেধ : সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীন ধর্মীয় অনুশীলনের উপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে, যা অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর সাথে হুই মুসলমানদেরও পিষ্ট করছে। কর্তৃপক্ষ ইসলামী পোশাক, শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা এবং ধর্মীয় চিহ্নের প্রকাশ্যে প্রদর্শনের উপর দমন-পীড়ন করেছে, যার ফলে হুই জনগোষ্ঠীর মধ্যেও নিরাপত্তাহীনতার বোধ তৈরি হয়েছে। ভয়ের পরিবেশ রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে।

২. নজরদারি : চীন সরকার মুখের শনাক্তকরণ প্রযুক্তি এবং অনুপ্রবেশকারী তথ্য সংগ্রহসহ ব্যাপক নজরদারি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে, যা হুই সম্প্রদায়ের মধ্যে গোপনীয়তা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অনেক হুই মুসলিম মনে করে, যেন তারা ক্রমাগত নজরদারির মধ্যে রয়েছে, যা অবাধে তাদের বিশ্বাস অনুশীলন করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে।

৩. সাংস্কৃতিক আত্তীকরণ : চীনে নগরায়ন এবং আধুনিকীকরণ বিপুলভাবে চলমান। এর মধ্যে সাংস্কৃতিক একচ্ছত্রতার বোধ জাতীয়তাবাদী আবেগের উপর সওয়ার হয়েছে। ফলে হুই মুসলমানদের মধ্যে তাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের সম্ভাব্য ক্ষতির উদ্বেগ বাড়ছে। তরুণ প্রজন্ম ধর্মনিরপেক্ষ জীবনধারা দ্বারা বিপুলমাত্রায় প্রভাবিত হচ্ছে এবং ঐতিহ্যগত হুই সংস্কৃতি ও ইসলামী অনুশীলনের সাথে সংযোগের ধারা ক্রমহ্রাসমান।

৪. জেনোফোবিয়া ও বৈষম্য : অন্যান্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর মতো না হলেও হুই মুসলিমরাও জেনোফোবিয়া ও বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে নানাভাবে, বিশেষ করে যে অঞ্চলগুলোতে জাতিগত উত্তেজনা চলমান, সেখানে এটি ঘটে বেশি। চীনে জাতীয়তাবাদের উত্থান প্রায়ই হুই মুসলিমসহ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতি শত্রুতামূলক আচরণ করে। দমন ও দলন তার প্রিয় পদ্ধতি।

উপসংহার : চীনের হুই মুসলমানদের রয়েছে গভীর শিকড়; সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। চীনা এবং ইসলামিক ঐতিহ্যের অনন্য মিশ্রণ ঘটিয়েছে তারা, যা চীনা সংস্কৃতির ট্যাপেস্ট্রিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। হুইদেরকে চীনের সুখী মুসলমান বলে চিহ্নিত করা হয়। তারা সুখী বটে। কিন্তু ততটুকুই, নিজেদের সাংস্কৃতিক স্বত্বের প্রশ্নে যতটুকু তারা ছাড় দেবেন। উইঘুর বা কাজাখদের মতো তারা নিপীড়িত নন। তবুও তাদের সামনে ধর্মীয় বিধিনিষেধ, নজরদারি, সাংস্কৃতিক আত্তীকরণ ও বৈষম্যের মতো চ্যালেঞ্জ ক্রমবর্ধমান। ফলে হুই সম্প্রদায়কে চীনা সমাজে তাদের মিথস্ক্রিয়া এবং ধর্মীয় পরিচয় ও অনুশীলন সংরক্ষণের জন্য একটি জটিল ল্যান্ডস্কেপ নেভিগেট করতে হবে। চীনের জনসংখ্যার বৈচিত্র্যময় এবং বহুমুখী প্রকৃতি ও দ্রুত পরিবর্তনশীল বাস্তবতায় তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। চীনা বাস্তবতায় ইতিবাচকতা ও প্রজ্ঞার পথ ধরে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে আত্মউন্নয়ন ও ফলপ্রসূ সক্ষমতায় তাদেরকে অনুস্মারক হয়ে উঠতে হবে।

লেখক : কবি, গবেষক। ইমেইল- 71.alhafij@gmail.com

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।