।। মুনির আহমদ ।।
বর্তমান সময়ে অনেক দাম্পত্য সম্পর্ক এমন এক অদৃশ্য সংকটে জর্জরিত, যার নাম ‘সাইলেন্ট ডিভোর্স’ বা ‘নীরব বিচ্ছেদ’। এটি কোনো আইনি পদক্ষেপ নয়, বরং এমন একটি মানসিক দূরত্ব, যেখানে স্বামী-স্ত্রী সামাজিকভাবে একত্রে বসবাস করলেও তাদের মাঝে আবেগ, বোঝাপড়া বা আন্তরিকতার আদান-প্রদান প্রায় নেই বললেই চলে।
এই সম্পর্কগুলোতে বাইরে থেকে হয়তো সব কিছু স্বাভাবিক মনে হয়, কিন্তু ভেতরে চলতে থাকে নিরব যুদ্ধ—একটা শূন্যতা, যা দিন দিন সম্পর্ককে আরও নিঃসঙ্গ করে তোলে।
সাইলেন্ট ডিভোর্সের লক্ষণসমূহ
সাইলেন্ট ডিভোর্সের উপস্থিতি বোঝা যায় কিছু সাধারণ লক্ষণ থেকে। যেমন-
আবেগশূন্য যোগাযোগ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অর্থপূর্ণ কথোপকথন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কথাবার্তা হয় বটে, কিন্তু আবেগ বা অনুভূতির আদান-প্রদান থাকে না।
ভালোবাসা ও সহানুভূতির অভাব: পরস্পরের প্রতি আগ্রহ, কেয়ার বা সহমর্মিতা ক্রমশ কমে যায়।
আলাদা জীবনযাপন: একই ছাদের নিচে থেকেও দুজন ভিন্ন সময়সূচিতে চলেন। একসাথে সময় কাটানোর ইচ্ছা বা চেষ্টাও থাকে না।
শারীরিক দূরত্ব: ঘনিষ্ঠতা কমে যায় বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে। এটি মানসিক দূরত্বের বড় ইঙ্গিত।
ঝগড়াহীন বিচ্ছিন্নতা: ছোটখাটো বিষয়েও ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে, কেউই ক্ষমা চাইতে বা মিটমাট করতে চায় না।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অভাব: দম্পতিরা একসাথে কোনো পরিকল্পনা করেন না, বরং ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও ব্যস্ততায় ডুবে থাকেন।
সাফল্য-ব্যর্থতায় উদাসীনতা: একজনের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো অন্যজনের কাছে তেমন গুরুত্ব পায় না।
সাইলেন্ট ডিভোর্সের পেছনে যে কারণগুলো কাজ করে
দীর্ঘদিনের জমে থাকা সমস্যাগুলো: ছোটখাটো সমস্যার সমাধান না হলে তা ক্রমে মানসিক ব্যবধান তৈরি করে।
আস্থার ভাঙন: একবার বিশ্বাস নষ্ট হলে তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে।
আবেগিক চাহিদার অপূর্ণতা: আবেগ ও মানসিক সমর্থন না পেলে সম্পর্ক ফিকে হয়ে যায়।
অর্থনৈতিক ও সন্তান পালনের মতবিরোধ: এসব বিষয়েও মতানৈক্য মানসিক দূরত্ব বাড়াতে পারে।
অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা ও সময়ের অভাব: ব্যস্ত জীবনযাপন সম্পর্কের যত্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
যোগাযোগের অভাব: অনুভূতি প্রকাশে অক্ষমতা ও অপরের কথা শোনার অনীহা সম্পর্কের দেয়াল গড়ে তোলে।
সম্পর্কের ওপর সাইলেন্ট ডিভোর্সের প্রভাব
এই বিচ্ছিন্নতা শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং পুরো পরিবারের ওপর পড়ে এর প্রভাব। যেমন-
- দাম্পত্য জীবনে একাকীত্ব ও মানসিক হতাশা বেড়ে যায়।
- সন্তানরা বাবা-মায়ের দূরত্ব অনুভব করে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
- সম্পর্কের প্রতি তাদের ধারণা বিকৃত হতে পারে—তারা ভাবতে পারে ভালোবাসা বা আবেগ অপ্রয়োজনীয়।
- সমাজের চোখে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখার ভান করতে গিয়ে মানসিক চাপ আরও বাড়ে।
- দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ শারীরিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায়
সাইলেন্ট ডিভোর্স থেকে মুক্তি সম্ভব, যদি যথাসময়ে সচেতন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিছু কার্যকর উপায় হতে পারে; যেমন-
খোলামেলা যোগাযোগ: দুজনকেই নিজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে, অপরকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।
প্রয়োজনে থেরাপি বা পরামর্শ: দাম্পত্য কাউন্সেলিং অনেক সময় সম্পর্ক পুনর্গঠনে সহায়ক হয়।
সময়ের পুনর্বিন্যাস: ব্যস্ততার মাঝেও একসাথে সময় কাটানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে।
আবেগ প্রকাশে আন্তরিকতা: ছোট ছোট বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, দুঃখের মুহূর্তে পাশে থাকা, আন্তরিক হাসি—সবই সম্পর্কের ঔষধ।
পুরোনো স্মৃতিতে ফিরে যাওয়া: প্রথম দিককার সুন্দর মুহূর্তগুলো মনে করে একসাথে কিছু করতে চেষ্টা করা যেতে পারে।
পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা: দ্বিমত হলেও সম্মান ও সহানুভূতির মনোভাব বজায় রাখা জরুরি।
নিজস্ব স্বাস্থ্য ও মানসিক শক্তি বজায় রাখা: নিজেকে ভালো রাখতে পারলেই অন্যকে ভালো রাখার শক্তি পাওয়া যায়।
দাম্পত্য সম্পর্ক রক্ষায় করণীয়: কিছু সময়োচিত উপদেশ
- “আমি ঠিক আছি” বললেই যে ঠিক থাকা বোঝায় না—এই উপলব্ধি করতে হবে।
- দাম্পত্য সম্পর্ক কোনো যন্ত্র নয়, যার একবার চালু করলেই চলবে—এটি নিয়মিত যত্ন, বোঝাপড়া ও আবেগ বিনিয়োগের বিষয়।
- সম্পর্ক ভালো রাখতে ‘বড় কিছু’ নয়, বরং ‘ছোট ছোট যত্নের প্রকাশ’ই বড় ভূমিকা রাখে।
- নিজে আগে বদলান, সম্পর্কও বদলাতে শুরু করবে।
- প্রয়োজন হলে বিচ্ছেদ নয়, প্রথমে চেষ্টার পথ বেছে নিন। তবে যদি সম্পর্ক ক্ষতিকর পর্যায়ে পৌঁছায়, তাহলে শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদই হতে পারে সম্মানজনক সমাধান।
ইসলামের আলোকে করণীয়
১. আল্লাহভীতি (তাকওয়া) ও দায়বদ্ধতার অনুভব
কুরআনে বারবার স্বামী-স্ত্রীকে পরস্পরের প্রতি দায়িত্ববান হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। “তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে সম্মানজনকভাবে জীবন-যাপন করো” (সূরা নিসা ৪:১৯)। যদি উভয়েই আল্লাহকে ভয় করেন, তবে পারস্পরিক দায়িত্ব পালনে অবহেলা করবেন না।
২. দাম্পত্য জীবনে ভালো আচরণের গুরুত্ব
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে উত্তম আচরণ করে। আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীর সঙ্গে সবচেয়ে উত্তম আচরণ করি।” (তিরমিযী)। এই হাদীস দাম্পত্য জীবনে সদ্ব্যবহার, সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাবোধের গুরুত্ব তুলে ধরে।
৩. ক্ষমাশীলতা ও ধৈর্যচর্চা
কোনো ভুল বা অপূর্ণতা দেখলে তা সহনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করা জরুরি।
“যদি তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) অপছন্দ করো, তবে মনে রেখো, আল্লাহ অনেক সময় এমন কিছুর মধ্যে কল্যাণ রাখেন যা তোমরা অপছন্দ করো।” (সূরা নিসা- ১৯ আয়াত)।
৪. গোপনীয়তা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা রক্ষা
ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক বিষয় গোপন রাখা এবং একে অপরকে অপমান না করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দাম্পত্য সম্পর্কের অন্তরঙ্গ দিকগুলো প্রকাশ করাও কঠিন গুনাহ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।
৫. পরস্পরের চাহিদা ও অনুভূতির কদর করা
হাদীসে এসেছে, “তোমরা একে অপরকে উপহার দাও, ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।” (সহীহ বুখারী, আদাবুল মুফরাদ)।
পরস্পরের মনোভাব বোঝার চেষ্টা, সময় দেওয়া এবং ছোট ছোট উপহারে আবেগ প্রকাশ দাম্পত্য জীবনকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।
৬. ইসলামী পরামর্শ গ্রহণ ও সালিশের উদ্যোগ
দাম্পত্য সমস্যার সমাধানে কুরআন সালিশ বা দ্বীনদার লোকের মাধ্যমে মীমাংসার পথ বাতলে দিয়েছে (সূরা নিসা- ৩৫ আয়াত)। আজকাল ইসলামিক কাউন্সেলিংও একটি উপযোগী মাধ্যম হতে পারে।
৭. দোআ ও আত্মশুদ্ধি
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা, রহমত ও শান্তি আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। তাই দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত দোআ করা এবং নিজের খুটিনাটি আচরণ সংশোধনের চেষ্টা করাও একান্ত জরুরি।
দোআ উদাহরণ– “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের চোখের শীতলতা করে দাও এবং আমাদের মুত্তাকিদের জন্য আদর্শ বানাও।” (সূরা ফুরকান- ৭৪ আয়াত)।
নারীর কোমলতা ও সহনশীল ভূমিকা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
স্বভাবগত পার্থক্য: আল্লাহ তাআলা মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন—“الذَّكَرِ وَالْأُنثَىٰ” (পুরুষ ও নারী)—যার মধ্যে প্রত্যেকের দায়িত্ব ও গঠন ভিন্ন, কিন্তু পরিপূরক।
পুরুষরা সাধারণত কঠিন পরিস্থিতি, শারীরিক পরিশ্রম ও ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষমতা রাখেন। এ কারণে তারা বাহ্যিক দায়িত্ব (যেমন উপার্জন, নিরাপত্তা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ) বেশি নেন। নারীরা আবেগনির্ভর, কোমল ও সংবেদনশীল—এ কারণে তারা শিশুপালন, স্নেহ প্রদর্শন, ঘরের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গঠনে বেশি পারদর্শী হন।
সংকটে স্ত্রীর নমনীয়তা কেন গুরুত্বপূর্ণ: যখন দাম্পত্য জীবনে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয় বা “সাইলেন্ট ডিভোর্স”-এর মতো পরিস্থিতি আসে, তখন শক্তির জায়গা থেকে নয়, বরং স্নেহ, ধৈর্য ও কৌশলের জায়গা থেকে এগিয়ে আসাই বেশি কার্যকর। এই জায়গায় স্ত্রীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ; যথা-
- তিনি যদি নিজের কোমলতা ও সহনশীলতা ধরে রাখতে পারেন, তাহলে অনেক ভুল বোঝাবুঝি সহজেই নিরসন হয়।
- পুরুষরা বহুক্ষেত্রে মানসিক কষ্ট প্রকাশ করতে পারেন না, সেক্ষেত্রে স্ত্রীর সহানুভূতিশীল মনোভাব তাদের ভিতরটা খুলে ধরার সাহস জোগাতে পারে।
- স্ত্রীর একটু নম্রতা, ক্ষমাশীলতা, শ্রদ্ধাশীল আচরণ অনেক সময় একজন পুরুষকে পুরোপুরি বদলে দিতে পারে।
ইসলামে স্ত্রীকে দাম্পত্য জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। নবীজী (সা.) ইরশাদ করেছেন- “তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর প্রতি উত্তম।” (তিরমিযী)।
এমনকি নবীজী (সা.) নিজে ঘরের কাজে সহায়তা করতেন। কিন্তু তার সঙ্গিনীরা—বিশেষত হযরত খাদিজা (রাযি.) ও আয়েশা (রাযি.) সবসময় তার প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল, নম্র এবং সহযোগিতাপূর্ণ ছিলেন।
দাম্পত্য জীবনে ইসলাম নারীর মমতা, ধৈর্য ও সম্পর্ক রক্ষার গুণাবলিকে সম্মান জানায়। যেমন, হাদীসে এসেছে- “যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমযানের রোজা রাখে, নিজের সতীত্ব রক্ষা করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহীহ হাদীস, মুসনাদে আহমদ)।
সুতরাং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেবল দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি আমানত—যার জবাবদিহি হবে আল্লাহর দরবারে। তাই নারী যদি ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে সাময়িক দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝির সময়টুকু পার করে দিতে পারেন, তাহলে দাম্পত্য জীবনের ভবিষ্যৎ অনেক বেশি নিরাপদ হয়।
দাম্পত্য সংকটে কেন স্ত্রীর একটু ছাড় দেওয়াই বড়ো প্রজ্ঞা হতে পারে?
- নারীর এই “ছাড়” বা “সহনশীলতা” কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটি তার দূরদর্শিতা ও সম্পর্ক রক্ষার কৌশল।
- দাম্পত্য জীবনে জিত নয়, শান্তি মুখ্য—এই বোধ যার মধ্যে বেশি থাকবে, সেই হবে প্রকৃতভাবে বিজয়ী।
সুতরাং স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এই ধরণের সংকটে কিছু অতিরিক্ত সহিষ্ণুতা ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন—এটি পরিবার রক্ষায় এক অনন্য অবদান। তবে এও ঠিক যে, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে উভয়ের অংশগ্রহণ আবশ্যক। কিন্তু যেহেতু নারী কোমলতা ও আবেগিক প্রজ্ঞায় বিশেষভাবে সমৃদ্ধ, তাই তিনি চাইলে অনেক জটিল সম্পর্ককেও পুনরায় জীবন্ত করে তুলতে পারেন।
শেষ কথা
সাইলেন্ট ডিভোর্স বা নীরব বিচ্ছেদ এক প্রকার সম্পর্কহীনতা, যা বাইরে থেকে দৃশ্যমান না হলেও ভিতরে ভিতরে দাম্পত্য সম্পর্ককে ক্ষয়ে ফেলে। এটি শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ককে নিঃস্ব করে না, বরং পুরো পরিবার—বিশেষ করে সন্তানদের মানসিক ও আবেগিক বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলে।
তবে এই সংকট অনতিক্রম্য নয়। যে সম্পর্ক একসময় গড়েছিল ভালোবাসা, আস্থা ও প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে, সেই সম্পর্ককেই আবার নতুন করে জাগিয়ে তোলা সম্ভব—যদি উভয়পক্ষ আন্তরিক হন। খোলামেলা কথোপকথন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সময় দেওয়া এবং ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার মানসিকতা অনেক সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—দাম্পত্য সম্পর্ককে শুধুই পার্থিব প্রয়োজন বা সামাজিক চুক্তি নয়, বরং এক পবিত্র আমানত হিসেবে দেখা। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয়, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে মাওয়াদ্দাহ (ভালোবাসা) ও রাহমাহ (দয়া) থাকা উচিত। তাই এ সম্পর্ক রক্ষা করা শুধু আবেগ বা দায়িত্বের বিষয় নয়, বরং তা ইবাদতেরই অংশ।
আসুন, আমরা দায়িত্ব, ভালোবাসা এবং আল্লাহভীতির ভিত্তিতে দাম্পত্য সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি। দয়াময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের পরিবারগুলোতে ভালোবাসা, বোঝাপড়া ও বরকত দান করুন। আমিন।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক মুঈনুল ইসলাম, সম্পাদক- উম্মাহ টুয়েন্টিফোর ডটকম এবং শিক্ষক- জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
ইমেইল- munirmmi09@sayema-ahmad
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com