Home সোশ্যাল মিডিয়া মুসলমানদের ট্যাক্সের টাকায় পতিতাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষকতা!

মুসলমানদের ট্যাক্সের টাকায় পতিতাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষকতা!

।। মাওলানা মুনির আহমদ ।।

মাদ্রাসাবিরোধী বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আসা উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ এবার বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার জন্য আরেকটি ভয়ানক ও অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। গত ১ জুন তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে—অর্থাৎ জনগণের ট্যাক্সের অর্থ থেকে—দুই কোটি নয় লাখ ৪০ হাজার টাকার একটি চেক বিতরণ করেছেন ‘নারীপক্ষ’ নামে একটি বিতর্কিত এনজিওর হাতে, যারা পতিতা (বেশ্যা) ও সমকামী ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে কাজ করে। এরপর ৮ জুলাই থেকে এই অর্থ ২,০৯৪ জন পতিতার মাঝে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।

চমকে ওঠার মতো বিষয় হলো—এই অর্থ পতিতাদের পুনর্বাসনের জন্য নয়, বরং সরাসরি তাদের জীবিকা চালানোর উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই সংগঠনের নেতারা উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে এটিকে “যৌনকর্মীদের ‘অধিকার ও মর্যাদার স্বীকৃতি” বলেও অভিহিত করেছেন।

আরও পড়তে পারেন-

কী ভয়াবহ দৃষ্টান্ত! ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ট্যাক্সের অর্থ এভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অনৈতিক পেশাকে উৎসাহিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এমন দুঃসাহস তো স্বয়ং ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনাও দেখায়নি, যা দেখাচ্ছেন ড. ইউনূসের সরকারের একজন উপদেষ্টা!

যদি এই অর্থ পতিতাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ব্যবহার হতো—হাঁস-মুরগি পালন, সেলাই প্রশিক্ষণ, বা ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার প্রকল্পে ব্যয় হতো—তাহলে অন্তত যুক্তির কিছু অবকাশ থাকত। কিংবা দরিদ্র শ্রমজীবী নারীদের সহায়তার জন্য ব্যয় হলেও তা গ্রহণযোগ্য হতো।

প্রশ্ন হলো—জনগণের অর্থ এভাবে স্পষ্টভাবে জনপ্রত্যাশা ও নৈতিকতাবিরোধী খাতে ব্যয়ের ক্ষমতা কে দিয়েছে??? উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদের কাছে এর জবাব চাই—এবং তা এখনই চাই।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। অবধারিতভাবে তা উম্মাহ টুয়েন্টিফোর ডটকম-এর অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।