।। সৈয়দ শামছুল হুদা ।।
বাংলাদেশের কওমিভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোট করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষক মহল। তাদের মতে, প্রশাসনে জনবল ও রাজনৈতিক প্রভাবের ঘাটতির কারণে এ ধরনের দলের জন্য বিএনপির সহযোগিতা নেওয়াই এখন কৌশলগতভাবে নিরাপদ হতে পারে।
কওমিভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো দেশের ধর্মীয় অঙ্গনে প্রভাব রাখলেও সরাসরি রাজনৈতিক ময়দানে তাদের শক্তি তুলনামূলকভাবে কম। প্রশাসনেও তাদের উপস্থিতি প্রায় নেই। ফলে নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা এবং কার্যক্রম বিস্তারের স্বার্থে বড় দলের ছায়াতেই টিকে থাকা তাদের জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের অবস্থান ভিন্ন। জামায়াতের দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক কাঠামো, প্রশিক্ষিত জনবল ও প্রশাসনিক উপস্থিতি রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও দরবারকেন্দ্রিক দল হওয়ায় সামাজিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে তাদের অনুসারী আছে। তাই এ দুই দলের রাজনৈতিক অবস্থান কওমিভিত্তিক দলগুলোর তুলনায় স্বতন্ত্র।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোটসহ কওমিভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়াই জাতীয় স্বার্থে কার্যকর হতে পারে বলে অভিমত উঠেছে। শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, মুফতি আমিনী ও নূর হোসাইন কাসেমীর সময় থেকে যে জোটকেন্দ্রিক রাজনীতির ধারা গড়ে উঠেছে, আপাতত সেই পথেই এগোনো তাদের জন্য নিরাপদ বলে ধরা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপিকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে এককভাবে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামলে কওমিভিত্তিক দলগুলো তেমন কোনো লাভবান হবে না। বরং জোটকেন্দ্রিক কৌশল গ্রহণ করাই তাদের ভবিষ্যৎ টিকে থাকার জন্য কার্যকর ও নিরাপদ পথ।
লেখক: ইসলামী রাজনীতি বিশ্লেষক।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ