Home ফিকহ ও মাসায়েল ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ্জ: তাৎপর্য ও শিক্ষা

ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ্জ: তাৎপর্য ও শিক্ষা

।। হাফেয মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী ।।

পবিত্র হজ্জ ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। এটি ইসলামের পঞ্চ ভিতের একটি এবং অকাট্য ফরয। মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সম্মেলনও বটে। হজ্জের এই মহাসম্মেলন একত্ব ও সাম্যের এক মোহিনী চিত্র। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সান্নিধ্য লাভের এক মহামিলন অনুষ্ঠান। ইসলামের সবচেয়ে বৃহত্তম ঐক্যের তথা বিশ্বভ্রাতৃত্বের উৎকৃষ্ট নিদর্শন হচ্ছে হজ্জের বিশ্বসম্মেলন।

হজ্জের শাব্দিক অর্থ ‘যিয়ারতের সংকল্প’। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মুসলমানগণ খানায়ে কা’বায় তাওয়াফ বা যিয়ারতের সংকল্প নিয়ে ছুটে আসেন বলেই এর নাম হয়েছে হজ্জ।

পবিত্র হজ্জ সম্পর্কে কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- “মানুষের উপর বাইতুল্লাহর হজ্জ ফরয করা হয়েছে, যারা সে পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ রাখে। আর যারা অস্বীকার করবে (তাদের স্মরণ রাখা উচিত) আল্লাহ বিশ্ববাসীর মুখাপেক্ষী নন।” (সূরা ইমরান- ৯৭ আয়াত)।

আবার একই বাণী প্রতিধ্বনিত হয়েছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায়। সাহাবী আবু সাঈদ (রাযি.) থেকে বর্ণিত- “নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে লক্ষ্য করে বল্লেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি হজ্ব ফরয করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ্ব কর।” (মুসলিম শরীফ)। আরো বলেছেন- “হজ্ব করার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও যারা হজ্ব পালন করবে না সে ব্যক্তি ইহুদী হয়ে মরুক আর খ্রীস্টান হয়ে মরুক আমার কিছু যায় আসে না।”

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্বের ফযীলত সম্পর্কে বলেছেন- “বিশুদ্ধ ও মকবুল একটা হজ্ব পৃথিবী এবং পৃথিবীর যাবতীয় বস্তু অপেক্ষা উত্তম। বেহেশ্ত ব্যতীত আর কোন কিছুই এর প্রতিদান হতে পারে না”।

আর এক বর্ণনায় জানা যায়- “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হজ্ব করবে, হজ্ব পালন কালে স্ত্রীমিলন কিংবা তৎসম্পর্কে আলোচনা এবং কোন প্রকার গুনাহর কাজেও লিপ্ত না হয়, (হজ্ব শেষে) সদ্যজাত শিশুর মত নিষ্পাপ অবস্থায় গৃহে প্রত্যাবর্তন করবে।”

আসলে হজ্ব মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রদত্ত একটি বিশেষ নিয়ামত। তাই উম্মতে মুহাম্মদির জন্যে হজ্ব একটা দুর্লভ প্রাপ্তি।

প্রবর্তনের সময় কালঃ

আজ থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর পূর্বে আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইবরাহীম (আ.) সর্বপ্রথম হজ্জ অনুষ্ঠানের প্রবর্তন করেন। এর পর থেকে নবী-রাসূল পরম্পরায় চলে আসছে হজ্জ পালনের অনুষ্ঠান।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামর্থবান মুসলমানদের উপর হজ্জ অবশ্যকরণীয় কর্তব্য বলে পুনঃনির্দেশ দিয়ে এর গুরুত্ব ও মর্যাদা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা তাঁর পবিত্র কালামে সূরা বাক্বারার ১২৫ নং আয়াতে কা’বা ঘর নির্মাণ সম্পর্কিত বিষয় এভাবে প্রকাশ করেছেন- “আর আমি যখন কা’বা গৃহকে মানুষের ইবাদতের স্থান এবং নিরাপত্তার স্থান করলাম আর বল্লাম নামাযের স্থান নির্মাণ কর মাক্বামে ইবরাহীমকে। আর আমি ইবরাহীম (আ.) ও ইসমাঈল (আ.)কে আদেশ করলাম গৃহটিকে খুব পবিত্র রেখো বহিরাগত ও স্থায়ী লোকদের জন্যে এবং রুকু-সিজদাকারীদের জন্যে।”

হজ্ব প্রবর্তনের পূর্বে হযরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাঈল (আ.)কে সঙ্গে নিয়ে পুনঃনির্মাণ করেন পবিত্র খানায়ে কা’বা। উল্লেখ্য, হযরত আদম (আ.) ফেরেশ্তাদের সহায়তায় সর্বপ্রথম খানায়ে কা’বা নির্মাণ করেন। হযরত নূহ (আ.)এর সময়ের মহাপ্লাবনে তা নিঃশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। হযরত ইবরাহীম (আ.) হযরত জিব্রাঈল (আ.)এর সাহায্যে অবস্থান জেনে নিয়ে একই ভিতে অর্থাৎ হযরত আদম (আ.) কর্তৃক নির্মিত খানায়ে কা’বার স্থানে এর পুনঃনির্মাণ করেন।

নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর হযরত ইবরাহীম (আ.)এর প্রতি নির্দেশ হলো হজ্বব্রত পালনের। আল্লাহ তাআলা হযরত জিব্রাঈল (আ.) মারফত তাঁকে হজ্বের সকল আহ্কাম সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। হযরত ইবরাহীম (আ.) তাঁর পুত্র হযরত ইসমাঈল (আ.)কে নিয়ে খানায়ে কা’বা সাতবার তাওয়াফ করেন, চুম্বন করেন হাজরে আসওয়াদ এবং একে একে সম্পন্ন করেন হজ্বের সকল আহ্কাম। এরপর আল্লাহর নির্দেশ এলো হজ্বের দাওয়াত বিশ্ববাসীকে পৌঁছে দেওয়ার।

ইব্নে আবী হাতেম কর্তৃক হযরত ইব্নে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত “যখন হযরত ইবরাহীম (আ.)কে হজ্ব ফরয হওয়ার কথা ঘোষণা করার আদেশ দেওয়া হয় তখন তিনি আল্লাহর কাছে আরয করলেন, এটাতো জনমানবহীন প্রান্তর। ঘোষণা শোনার মত কেউ নেই। যেখানে ঘনবসতি আছে সেখানে আমার আওয়াজ কিভাবে পৌঁছবে? আল্লাহ তাআলা বললেন, তোমার দায়িত্ব শুধু ঘোষণা দেওয়া। সারা বিশ্বে পৌঁছানোর দায়িত্ব আমার। একথা শুনে হযরত ইবরাহীম (আ.) তখন মাক্বামে ইব্রাহীমে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন। আল্লাহ তাআলা তা উচ্চ করে দেন। কোন কোন রিওয়ায়াতে আছে তিনি আবু কুবায়েস পাহাড়ে আরোহন করে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বর্ণিত আছে, আল্লাহর খলীল হযরত ইবরাহীম (আ.)এর সেই আহ্বান জড়-জগতের সীমা অতিক্রম করে রূহানী জগতে গিয়ে পৌঁছেছিল এবং ‘লাব্বাইক’ বলে যে সমস্ত রূহ সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল ক্বিয়ামত পর্যন্ত তারাই পর্যায়ক্রমে আরাফাতের প্রান্তরে সমবেত হবে।

এভাবে খানায়ে কা’বা পরিণত হলো হজ্বব্রত পালনের ক্ষেত্রস্থল হিসেবে। এই হজ্ব দ্বারা স্থাপিত হলো বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মহামিলনের ক্ষেত্রস্থল তথা বার্ষিক মহামিলনের আদর্শ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

প্রতি বছর চন্দ্র মাসের ৮ জিলহজ্ব থেকে ১২ জিলহজ্ব পর্যন্ত হজ্বের এই মিলন অনুষ্ঠানে খানায়ে কা’বা মুখরিত হয়ে উঠে লাখো লাখো মুসলমানের কণ্ঠের লাব্বাইক ধ্বনিতে।

বস্তুতঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে হযরত ইবরাহীম (আ.) এই কা’বাকে কেন্দ্র করে হজ্বের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর ঈমানী অভিযাত্রা শুরু করেন এবং অদ্যাবধি তা অব্যাহত আছে।

স্মর্তব্য, একটা জীবন বিধান তথা আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে সাংগঠনিক তৎপরতা অপরিহার্য। আর এই তৎপরতা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যে একটা কেন্দ্রীয় অফিস থাকা প্রয়োজন। মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় বিধান তথা জীবন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় অফিস খানায়ে কা’বাকেই বোঝানো হয়।

হজ্বের উদ্দেশ্যঃ

আল্লাহর আনুগত্যকে স্বীকার করে সব মুসলমান ‘ভাই ভাই’ নীতিতে প্রেম-প্রীতি, সৌহার্দ-সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য প্রভৃতি দ্বারা এক সূত্রে বেঁধে এই সুন্দর পৃথিবীকে আরো সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলবে এই তো হজ্বের উদ্দেশ্য।

হজ্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো আÍশুদ্ধি এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে বান্দার নিঃশর্ত আÍসমর্পন। হজ্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি কাজের মধ্যে তা সু¯žষ্টভাবে ফুটে উঠে। এ সম্মেলনের প্রধান শিক্ষাই হলো সমগ্র বিশ্ব মানুষের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য এক ভ্রাতৃত্ব বন্ধন গড়ে তোলার জন্যে ব্রতী হওয়া।

হজ্বের প্রশিক্ষণঃ

সামাজিক প্রয়োজন-চাহিদা পুরণ করার উদ্দেশ্যে ইসলাম বিভেদ ও অনৈক্য সৃষ্টিকারী বিষয়গুলোর মূলোৎপাটন করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায়। সেই লক্ষ্যে নামায, রোযা প্রভৃতির ন্যায় হজ্ব পালনও মূলতঃ একটা ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ। সমগ্র বিশ্বের সকল তাওহীদবাদীর সমন্বয়ে এক মহাজাতি তথা মুসলিম জাতির এক সুদৃঢ় ভিত গড়ে তোলার এক বাস্তব অনুশীলন এই হজ্ব অনুষ্ঠান।

দুনিয়ার জীবনে যেমন অর্পিত দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ডাকা হয়, তেমনি আল্লাহর যমীনে একমাত্র আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে যোগ্য, দক্ষ ও সচেতন করে তোলার জন্যে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে প্রশিক্ষণ দানের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তাআলা জীবনে অন্ততঃ একবার তাঁর খানায়ে কা’বায় তথা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আহ্বান করেন।

আরও পড়তে পারেন-

প্রতিটি প্রশিক্ষণেরই একটি কর্মসূচী থাকে। হজ্ব প্রশিক্ষণেরও কর্মসূচী আছে। হজ্বের কর্মসূচীগুলো হলো (এক) ইহ্রাম বাঁধা, (দুই) তাওয়াফ করা, (তিন) সাফা-মারওয়ায় সাঈ করা, (চার) রমি করা বা কংকর নিক্ষেপ করা, (পাঁচ) আরাফাতে অবস্থান করা, (ছয়) কুরবানী করা, (সাত) বিদায়ী তাওয়াফ করা।

প্রত্যেকেরই স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, হজ্ব কর্মসূচীগুলো নিছক প্রথাগত কোন কর্মকাণ্ড নয় বরং এর প্রতিটি কর্মকাণ্ডের মধ্যে নিহিত আছে বহু শিক্ষণীয় বিষয়। এক্ষেত্রে দৈহিক কর্মকাণ্ডের সাথে মৌখিকভাবে উচ্চারিত হয় কিছু দোয়া। আসলে হজ্ব কর্মসূচীটা কোন মানব রচিত নয় বরং আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইবরাহীম (আ.)কে হযরত জিব্রাঈল (আ.) কর্তৃক শেখানো কর্মসূচী বিধায় দোয়াগুলো যথাসময়ে যথাস্থানে পাঠ করলে যে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ সাধিত হবে তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। কেননা, এর মধ্যে আরবী ভাষায় কিছু অঙ্গীকার ও কিছু প্রার্থনা করা হয়েছে মহান আল্লাহর দরবারে।

পরিশিষ্টঃ

বিভেদ ও অনৈক্য সৃষ্টিকারী বিষয়গুলোর মূলোৎপাটন করে বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীকে একসূত্রে বন্ধন করাই হজ্বের এ মহাসম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, হজ্বের এই মহান উদ্দেশ্য আধুনিক ঋণতাšিক স্বার্থসর্বস্ব দুনিয়ায় দুঃখজনকভাবে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। কেননা, আমরা আজ স্বার্থের মোহ কাটিয়ে উঠতে পারিনা। স্বার্থের বশবর্তী হয়ে আমরা ধর্মীয় আদর্শ তথা হজ্বের উদ্দেশ্য বিস্মৃত হয়ে আজ আমরা হজ্বকে অনুষ্ঠান সর্বস্ব ইবাদতে পরিণত করেছি।

নতুবা আজ এক মুসলিম রাষ্ট্র প্রধান হজ্ব পালন করে এসে কি করে আরেক মুসলিম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করতে পারে? কেমন করে দেশের মধ্যে অনৈসলামী কর্মকাণ্ড করতে পারে? কেমন করে একজন হাজী সাহেব হজ্ব পালন করে এসে হাতগুটিয়ে ঘরে নিস্ক্রিয় বসে থাকতে পারে? কেমন করে তারই সামনে দেশময় দ্বীনহীন গাফেল পরিবেশ সৃষ্টি হয়? কেমন করে হাজার হাজার মানুষ ঈমান হারা হয়ে কাফির মুশরিকদের মত মৃত্যু বরণ করে? একদিন তারাইতো হজ্বের মহাসম্মেলনের অনুষ্ঠানে তথা তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার সময় এবং মিনা নামক স্থানে আরবী ভাষায় তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল, আমরা একমাত্র আল্লাহর আনুগত্য করবো। আমরা রাসূলের প্রদর্শিত পথে চলবো। আল্লাহর যমীনে একমাত্র আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার জন্যে প্রচেষ্টা চালাবো। সমাজে মানুষরূপী শয়তানের কর্মতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।

ইসলামের সোনালীযুগে সাহাবায়ে কিরামগণ ও আল্লাহর প্রিয় বান্দারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চেয়েছিলেন বলেই বিদায় হজ্বের ময়দান থেকে ফিরে এসে তাঁরা নিস্ক্রিয় হয়ে ঘরে বসে থাকতে পারেন নি। তাঁরা সমস্ত সুখ-শান্তি, ভোগ-বিলাস, মায়া-মমতা, পরিবার-পরিজন, ঘর-বাড়ী সবকিছু ত্যাগ করে আল্লাহর দেওয়া জান-মাল ও সময় আল্লাহর পথে তথা দ্বীনের পথে উৎসর্গ করেছিলেন।

কাজেই আজ আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে। তাঁদের মত আমরাও যেন হজ্বের শিক্ষাগুলিকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে স্বীয় জীবনের সাথে সাথে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বাস্তবায়িত করে এই সুন্দর পৃথিবীকে আরো সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে পারি- এই হোক আমাদের ঐকান্তিক কামনা।

– আল্লামা হাফেয নাজমুল হাসান, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক- জামিয়াতুন নূর আল কাসেমিয়া-উত্তরা, ঢাকা, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক- জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা-ঢাকা, সাংগঠনিক সম্পাদক- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক- উত্তরা রওজাতুস সালিহাত মহিলা মাদ্রাসা, খতীব-  উত্তরা ১২নং সেক্টর বায়তুন নূর জামে মসজিদ এবং উপদেষ্টা- উম্মাহ ২৪ ডট কম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।