Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানবের পতনের বীজ কোথায়?

শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানবের পতনের বীজ কোথায়?

।। মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী ।।

যে বিষয় নিয়ে কিছু লিখতে মনস্থির করেছি, জানি তা বড়ই কঠিন ও জটিল এবং সত্যকথা। এ বিষয়ে পাঠকের প্রত্যাশা মোতাবেক লিখার কোন যোগ্যতা ও দক্ষতা আমার নেই। তবুও কেন লিখছি। আমি উল্লিখিত বিষয়ে যতটুকু জেনেছি ও বুঝেছি, তাই আপনাদের জানাতে চাই।

আমার মনে বার বার এ প্রশ্ন নাড়া দিয়েছে গভীরভাবে- আল্লাহ্ পাকের সবচেয়ে প্রিয় ও শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানব কেন আজ চরম পতন ও ধ্বংসের শিকার? কেন মানব জাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ জাতি মুসলমান আজ অধঃপতনের শেষ সীমায়? কেন মানব আজ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না? এমন তো হবার কথা নয়।

মহান আল্লাহ্ তায়ালা তো মানবকে পর্যাপ্ত শক্তি, মেধা ও হিক্মত দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানব সে শক্তি ও মেধা দিয়ে তার ভেতরের সমস্ত মানবিক গুণের চরম উৎকর্ষ ও বিকাশ সাধনের দ্বারা এ পৃথিবীর যমীনকে সুন্দর, শান্তিময় ও বাসযোগ্য করে তুলতে পারে এবং দ্বীনের আমল ও মেহনতের দ্বারা চিরন্তন শান্তি নিকেতনের অধিকারী হতে পারে- এটাই তো সকল মানবের প্রত্যাশা। কিন্তু সেই প্রত্যাশিত ফল কেন পাওয়া যাচ্ছে না- এটা বড় চিন্তা ও গবেষণার বিষয়।

যত সৃষ্টি দুনিয়াতে আছে, মানব-স্রষ্টার বড়প্রিয় ও মাহবুব, এতে কোন সন্দেহ নেই। তিনি চান মানব দু’জাহানে শান্তি ও সফলতা লাভ করুক, কেউ যেন চিরস্থায়ী আযাবের শিকার না হয়। মানবও প্রকৃতপক্ষে শান্তি ও কামিয়াবী চায়। ক্ষতিগ্রস্ত হতে কেউ চায় না।

মহান দয়ালু দাতা আল্লাহ্ তায়ালা শ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাবে মানুষের ভেতর বাইরের শত্রুর কথা সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে, নফ্স ভেতরের এবং শয়তান বাইরের প্রকাশ্য শত্রু। দুনিয়ার মোহ সমস্ত গুনাহের মূল কারণ। দুনিয়াকে অবশ্যই আসবাব হিসেবে ব্যবহার করতে হবে কিন্তু দুনিয়ার কোন বস্তুর মুহাব্বত অন্তরে ঠাঁই দেয়া যাবে না। মানবের স্বভাবগতি প্রকৃতি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, মানব সৃষ্টিগতভাবে অকৃতজ্ঞ, অবাধ্য, কলহপ্রিয়, বিদ্রোহী, অস্বীকারকারী, অস্থির চঞ্চলমতি, আত্মভোলা, নৈরাশ্যবাদী ও দৃশ্যমান শক্তির পূজারী।

মানবের এরূপ স্বভাবচরিত্র ও বিপদগামীর কথা ভেবেই মহাজ্ঞানী আল্লাহ্ তায়ালা আসমানী সহীফা ও কিতাবসহ লক্ষাধিক বাছাইকৃত আদর্শ মানব তথা নবী ও রাসূলকে মানবকে হিদায়াতের পথ দেখাবার জন্য দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে

শ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব দান করে দ্বীনকে পূর্ণতা দিয়ে ক্বিয়ামত পর্যন্ত কালাম ও হাদীসে রাসূলের দ্বারা বাস্তবে হাতে কলমে মানবের ভেতরে বাইরের সমস্ত শত্রু ও ধ্বংস থেকে রক্ষার উপায় ও পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। সত্যিই মহান আল্লাহ্ জাল্লা জালালুহু ও আম্মা নাওয়ালুহু এবং মহামানব শ্রেষ্ঠ নবীজী সমস্ত মানব জাতির উপর কত বড় দয়া সহানুভূতি করেছেন, তা কল্পনা করা যায় না। কিন্তু অজ্ঞ অকৃতজ্ঞ মানব আজ নফসের গোলাম হয়ে শয়তানের জালে পড়ে ও দুনিয়ার মুহাব্বতে ও ক্ষণিকের স্বাদে ডুবে নিজেদের চরম ধ্বংস ডেকে আনছে। তার নিজস্ব নফসানিয়্যাত ও অসৎ কৃতকর্মের দ্বারা দুনিয়াকে বসবাসের অযোগ্য এবং যন্ত্রণা, অশান্তির এক অগ্নিকান্ড বানিয়েছে, যা থেকে মানব পরিত্রাণ চায় ও প্রকৃত শান্তি ও সফলতাকে হন্যে হয়ে তালাশ করছে।

আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানবের সৃষ্টির উদ্দেশ্য, তার স্বভাব-চরিত্র, গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন- একমাত্র আমার ইবাদতের জন্যই জ্বীন-ইনসানকে পয়দা করেছি। বস্তুত আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি। বলুন, সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত। অতএব, যার ইচ্ছা বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক। (৮, ৯)।

শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন। অতঃপর তাকে তার অসৎ ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন। যে নিজেকে শুদ্ধ করে সেই সফলকাম হয় এবং যে নিজেকে কলুষিত করে সে ব্যর্থ মনোরথ হয়। (১০)।

তিনি দুনিয়াকে এ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেন যেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন যে, তোমাদের মধ্যে কার আমল উত্তম। (সূরা হূদ, আয়াত- ৭)।

ভূপৃষ্ঠে যাকিছু আছে তা আমি তার জন্য সৌন্দর্যের উপকরণ করে দিয়েছি যেন মানুষকে পরীক্ষা করে নেই যে, কে তাদের মধ্যে অধিকতর ভাল কাজ করে। (সূরা কাহাফ, আয়াত- ৭)।

আমার আয়াতকে যারা অস্বীকার করে তারা বধির মূর্খ ও ঘোর অন্ধকারে রয়েছে। (সূরা আন্আম, আয়াত- ৩৯)।

আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট ভয়ংকর জীব তারা, যারা কুফরী করে। (সূরা আনফাল, আয়াত- ৫৫)।

তারা পশুর মতোই বরং তারা আরও অধম। (সূরা ফুরকান, আয়াত- ৪৪)।

বাস্তবিকই মানুষ অত্যন্ত অবাধ্য। (১৭: ৬৭)।

কিন্তু মানুষই সবচেয়ে বেশী কলহ ভালবাসে। (১৮: ৫৮)।

নিশ্চয়ই মানুষ অবশ্যই অকৃতজ্ঞ। (২২: ৬৬)।

কিন্তু বেশীরভাগ লোকই বিদ্রোহী হয়ে অস্বীকার করেছে। (২৫: ৫০)।

আজ আমি দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম। আল্লাহর মনোনীত একামাত্র দ্বীন হল ইসলাম। কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করলে তা কখনও কবুল করা হবে না এবং প্রত্যেকটি কাজের পরিণামে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। (সূরা ইমরান, আয়াত- ৮৫)।

নিজের জান-মাল দিয়ে যারা আল্লাহর পথে মুজাহাদা করবে তাদের সামনে হিদায়াতের সমস্ত রাস্তা খুলে দেয়া হবে। তাদেরকে পবিত্র জীবন দান করা হবে। যারা আল্লাহর পথে ত্যাগ ও সংগ্রামে লিপ্ত থাকে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথ দেখাব এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ্ নেককারদের সাথে থাকেন। আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করে, তারাই বেহেশতের অধিকারী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। যে আত্মাকে পবিত্র করেছে সে সফল হয়েছে।

হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের দেহের মধ্যে একটি মাংস পিন্ড বা ক্বলব আছে। যার তা খারাপ হয়ে যায়, তার সমস্ত শরীর খারাপ হয়ে যায়। যে ব্যক্তি আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করেছে সে নিশ্চয় সত্য ও সঠিক পথ প্রদর্শিত হবে। (সূরা ইমরান, আয়াত- ১০)।

আল্লাহ্ পাকের মনোনীত নির্বাচিত আদর্শ মানব লক্ষাধিক নবী রাসূল মানবজাতির পতন ও ধ্বংসের মূল কারণ তালাশ করে তাকে দূর করা ও নিরাময় করার জন্য জান প্রাণ মেহনত মুজাহাদা করেছেন। মানুষকে ধ্বংসকারী শিরক কুফর নিফাক ও সর্বপ্রকার রূহানী বিমার থেকে মুক্ত করে হিদায়াত বা সীরাতুল মুস্তাকিমের পথে আনার সর্বাত্মক মেহনত করেছেন।

সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীজী ও তাঁর নিজ হাতে গড়া নজিরবিহীন আত্মত্যাগী এক আদর্শ মানব কাফেলাকে সাথে নিয়ে দুনিয়ার মধ্যে এক অসভ্য বর্বর ধ্বংসশীল এক জাতিকে কালিমার দাওয়াত ও দ্বীনের মেহনতের দ্বারা সুসভ্য উন্নত আদর্শবান মহান জাতিতে পরিণত করেছেন। মানবের সব ধরনের শান্তি সফলতা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ্ তায়ালা মুবারক দ্বীনের মধ্যে রেখেছেন। মানবের পতন ও ধ্বংসের মূল কারণ ঈমান হারা হয়ে যাওয়া। মানব দেহে এক অমূল্য বস্তু সৃষ্টি করেছেন যার নাম দিল বা ক্বলব। সমস্ত দেহ ও শরীরের রাজা হচ্ছে দিল বা রূহ্।

মানুষের ভাল-মন্দ, লাভ-ক্ষতি, উত্থান-পতন, সৎ ও অসৎ চিন্তা চেতনার উৎপত্তি হয় এ দিল থেকে। এ দিল নষ্ট হলে, খারাব হলে তার শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল খারাপ হয়ে যাবে। আর দিল নষ্ট হওয়া মানে শিরক কুফর নিফাক অর্থাৎ চরিত্র বিনষ্টকারী সমস্ত দোষ ও খারাপ রিপুর প্রভাব প্রবল হওয়া। তাই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবের দিলকে সমস্ত খারাপী থেকে মুক্ত শুদ্ধ করার জন্য এক আল্লাহর তাওহীদী শক্তিতে বলীয়ান করার জন্য কালিমার দাওয়াত ও দ্বীনের মেহনতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

একথা সত্য যে, মানব দেহের অত্যন্ত কঠিন ও জটিল রোগ ভাল হয়ে যেতে পারে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা। কারণ তিনি পরীক্ষা নীরিক্ষা করে প্রকৃত রোগের কারণ নির্ধারণ করে উপযুক্ত ঔষধ ও পথ্যের নির্দেশ দেন। বাস্তব সত্য যে, দেহের কোন রোগ নয় বরং দিলের রোগে বা রূহানী বিমারই মানবের পতন ও ধ্বংসের মূল কারণ।

মানবের জন্ম জীবন সফল কর্ম সাধনা বিফল হয়ে যেতে পারে জটিল এ রূহানী রোগে। আর তাই সমস্ত নবী-রাসূল দুনিয়াতে এসে মানবের রূহানী ব্যাধির চিকিৎসা করেছেন। সর্বশেষ শ্রেষ্ঠ নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরক্ষর হলেও আল্লাহ্ প্রদত্ত জ্ঞান ও হিকমতে পরিপূর্ণ ছিলেন। দুনিয়ার কমবেশী সবাই আন্ধা। হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমাত্র প্রজ্ঞাবান ও চক্ষুস্মান ছিলেন। তিনি আল্লাহ্ তায়ালার অপার সৃষ্টি রহস্য মানব দেহের ভেতর বাহির রোগ, জান্নাত, জাহান্নাম, মানবের সুখ শান্তি, সফলতা-বিফলতা, শাস্তি ও পুরস্কার সবকিছুর প্রকৃত বাস্তব জ্ঞান তাঁর ছিল। সেই মহাজ্ঞানী আদর্শ মানব এমন এক জবরদস্ত কালিমা দ্বীনের দাওয়াত এবং মেহনত করলেন ফলশ্রুতি স্বরূপ ধ্বংস ও পতনোন্মুখ বর্বর মানব গোষ্ঠীকে পরবর্তীতে অনুসরণ ও অনুকরণযোগ্য নক্ষত্রসম সমুজ্জ্বল মানব কাফেলায় পরিণত করেন।

আজকে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানবের চরম অবনতি ও ধ্বংসের মুখে সবাই হাত গুটিয়ে দেখছি আর ভাবছি যে, কিভাবে কোন উপায়ে বা মেহনতে মানবকে এ সর্বনাশা পতন থেকে রক্ষা করা যাবে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুপম আদর্শ ও তরীকাকে বাদ দিয়ে কতভাবে কত উপায়ে সীমাবদ্ধ মানব রচিত বিধি-বিধানে চেষ্টা করছি ও মূল্যবান অর্থসম্পদ ও সময় ব্যয় করছি কিন্তু হিতে বিপরীত হচ্ছে।

মানব দানব হয়ে লোভ-লালসা, স্বার্থপরতা, পরশ্রীকাতরতা, হিংসা প্রতিহিংসায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছে এবং পশুত্বের চরম সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে দ্রুত। সমস্ত মানবিক গুণ হারিয়ে মানব এখন খুন-জখম, যমীন ও চর দখল, পুকুর চুরি, আত্মসাৎ, লুটপাট, ভোটবাজি, গদি-মসনদ দখলের খেলায় মত্ত। দুনিয়াকে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও অশান্তির ঘর বানিয়েছে এবং আখিরাতের অনন্ত শান্তি ও সফলতাকে বরবাদ করছে।

অথচ নষ্টভ্রষ্ট গান্ধা মানবকে সংশোধন, আত্মশুদ্ধি, আত্মসচেতন ও আত্মজাগরণ করতে নূতনভাবে চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা করার কিছু নেই। কোন মতের পথের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। মহামানব শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী বিচক্ষণ নবীজীর আদর্শ বা তরীকার সর্বাত্মক অনুসরণ ও অনুকরণ করলেই আমরা নষ্ট পতন ধ্বংস থেকে বাঁচতে পারব। এ জীবনে সুখশান্তি নিরাপত্তা পাব এবং আখিরাতে অনন্ত জীবনে চরম সফলতা পাব।

সবচেয়ে বড় বাস্তব সত্য যে, মানবের দেহের ভেতর সবচেয়ে মূল্যবান এক মাংসপিন্ড যার নাম ক্বলব বা রূহ্ তা নষ্ট অপবিত্র গান্ধা হয়ে গেছে। রূহানী কঠিন বিমারে আক্রান্ত হয়ে গেছে, যার কারণে মানব আজ সমস্ত মানবিক গুণ হারিয়ে ফেলেছে, দুনিয়ার বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছেনা। তার পতন ও ধ্বংস অনিবার্য হয়ে গেছে।

মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে লাখো শুকরিয়া জানাই যে, তিনি তাঁর কুদরত দ্বারা মানবকে তার চরম পতন ও ধ্বংস থেকে রক্ষার জন্য মুবারক কালিমার দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত সারা দুনিয়ায় চালু করে দিয়েছে। আশাকরি এ শক্তিশালী বুনিয়াদী মেহনতের দ্বারা মানবের মহাশক্তি ঈমান ধ্বংসকারী শিরক কুফর ও নিফাককে নাশ করা সম্ভব হবে। তাই আজ প্রত্যেকের জন্য একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এ মুবারক মেহনতে শরীক হওয়া এবং চরম পতন থেকে বেঁচে যাওয়া। আমীন।

লেখক: বিশিষ্ট আলেমে-দ্বীন, ইসলামী রাজনীতিবিদ, দায়ী এবং প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক- ‘আল-ইহসান মাদরাসা ঢাকা’, বেনারাশী পল্লী, ১০নং সেকশন, মিরপুর-১০, ঢাকা।

আরও পড়ুন- ‘বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণ’