Home ইসলাম মু’মিন বান্দাদের কতিপয় গুণ

মু’মিন বান্দাদের কতিপয় গুণ

।। মাওলানা তাজুল ইসলাম আশরাফী ।।

মহান আল্লাহ্ তাআলার হুকুম এবং আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের উপর যিনি নিজেকে এ দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবেন, কেবল তিনিই মু’মিন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন। পবিত্র কুরআনে সূরা আল-মু’মিনুনে প্রথমোক্ত দশটি আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা মু’মিন বান্দাদের কতিপয় তথা সাতটি গুণ বর্ণনা করেন। একজন মুসলমানকে মু’মিন হতে উক্ত গুণাবলী অর্জন করা অত্যাবশ্যক অর্থাৎ ফরয। আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন, সূরা মু’মিনুন-এর প্রথমোক্ত দশটি আয়াত কেউ যদি পুরোপুরি পালন করে, তবে সে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে। উক্ত আয়াত সমূহের সরল বাংলা অর্থ দেয়া হল- (১) মু’মিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে, (২) যারা নামাযে বিনয় ও নম্র, (৩) যারা অনর্থক কথা-বার্তায় লিপ্ত নয়, (৪) যারা যাকাত আদায় করে থাকে, (৫) এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, (৬) তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না, (৭) অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে  কামনা করলে সে সীমালংঘন কারী হবে, (৮) এবং যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুঁশিয়ার থাকে, (৯) এবং যারা তাদের নামায সমূহের খবর রাখে, (১০) তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে।

মু’মিন বান্দার সর্বপ্রথম এবং মৌলিক গুণ হচ্ছে ঈমানদার হওয়া। ঈমানের পূর্ণতা ব্যতিরেকে খাঁটি মু’মিন হওয়া কখনোই সম্ভবপর নয়। উপরোক্ত আয়াত সমূহে মু’মিন বান্দাদের সাতটি গুণ বর্ণিত হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে মু’মিন বান্দাদের উক্ত সাতটি গুণ অতি সংক্ষিপ্তাকারে নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

প্রথম গুণঃ নামাযে  ‘খুশূ’ তথা বিনয়ী, নম্র হওয়া। ‘খুশূর’ আভিধানিক অর্থ শিথিলতা। শরীয়তের পরিভাষায় এর অর্থ অন্তরে স্থিরতা থাকা। অর্থাৎ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন কিছুর কল্পনাকে অন্তরে ইচ্ছাকৃত ভাবে উপস্থিত না করা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও স্থিরতা থাকা অর্থাৎ অনর্থক নড়াচড়া না করা। (বয়ানুল কুরআন)। বিশেষতঃ  এমন নড়াচড়া না করা, যা রাসূলুল্লাহ্ (সা.) নামাযে নিষিদ্ধ বলেছেন। ফিক্বাহ্বিদগণ এ ধরণের নড়াচড়া নামাযে মাকরূহ সমূহের  শিরোনামে সন্নিবেশিত করেছেন। হযরত মুজাহিদ (রাহ.) বলেন, দেহের কোন অংশ নিয়ে খেলা না করা ‘খুশূ’। হাদীসে পাকে হযরত আবু যর (রাযি.) থেকে বণির্ত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, নামাযের সময় আল্লাহ্ তাআলা বান্দার প্রতি সর্বক্ষণ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখেন যতক্ষণ না মনটা অন্য কোন দিকে ফিরিয়ে নেয়। যখন সে অন্য কোন দিকে মনোনিবেশ করে, তখন আল্লাহ্ তাআলা তার দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন। (আহমদ, নাসায়ী,আবুদাঊদ, মাযহারী)। হযরত রাসূলুল্লাহু (সা.) হযরত আনাস (রাযি.)কে নির্দেশ দেন সিজদার জায়গার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখ এবং ডানে বামে ভ্রুক্ষেপ করো না। (বায়হাকী, মাযহারী)। হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহু (সা.) এক ব্যক্তিকে নামাযে দাঁড়িয়ে খেলা করতে দেখে বললেন, “এই ব্যক্তির অন্তরে ‘খুশূ’ থাকলে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্থিরতা থাকত”।

দ্বিতীয় গুণঃ অনর্থক বিষয়াদি থেকে বিরত থাকা। অনর্থক কথা বা অনর্থক কাজ বলতে যাতে কোন ধর্মীয় উপকার নেই সে সমস্ত কাজকে বুঝানো হয়েছে। সেই কাজ উচ্চস্তরের গুনাহ্। যে কাজে ধর্মীয় উপকারিতা নেই, বরং ক্ষতি বিদ্যমান, তা থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব। উপকার এবং ক্ষতি উভয়টি না থাকা এর নিুস্তর। একে বর্জন করা নূন্যপক্ষে উত্তম ও প্রশংসনীয়। হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন, “মানুষ যখন অনর্থক বিষয়াদি ত্যাগ করে, তখন তার ইসলাম সৌন্দর্য মন্ডিত হতে পারে”। একারণেই অনর্থক বিষয়াদি থেকে বিরত থাকা কামেল মু’মিনদের বিশেষ গুণ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।

তৃতীয় গুণঃ যাকাত প্রদান করা। যাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ পবিত্র করা। ইসলামী পরিভাষায় মোট অর্থ সম্পদের একটা বিশেষ অংশ (৪০ ভাগের এক ভাগ) কিছু শর্তসহ দান করাকে যাকাত বলা হয়। মোট কথা কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন আয়াতের আলোকে যাকাত আদায় যে মু’মিনের জন্য অপরিহায্য ফরয, তা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। পক্ষান্তরে যাকাত শব্দের অর্থ আত্মশুদ্ধি ধরা হলেও এক্ষেত্রে যাকাত ফরয। কেননা শিরক, রিয়া, অজ্ঞতা, হিংসা, শত্রুতা, লোভ-লালসা, কার্পণ্য ইত্যাদি থেকে নফ্স পবিত্র রাখাকে আত্মশুদ্ধি বলা হয়। এগুলো সবটাই হারাম এবং কবীরা গুনাহ্। নফসকে এগুলো থেকে পবিত্র রাখা ফরয।

চতুর্থ গুণঃ যৌনাঙ্গকে হারাম থেকে সংযত রাখা। যারা স্ত্রী ছাড়া বেগানা নারীদের থেকে যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে এবং স্ত্রীর সাথে শরীয়তের বিধি মোতাবেক কামপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করা ছাড়া অন্য কারো সাথে অবৈধ পন্থায় কামবাসনা পূর্ণ করতে প্রবৃত্ত হয় না। যারা শরীয়তের বিধি মোতাবেক স্ত্রীর সাথে কামবাসনা পূর্ণ করে, তারা তিরস্কৃত হবে না। অবশ্য এটাকে প্রয়োজনের সীমায় রাখতে হবে, জীবনের লক্ষ্য বানানো যাবে না। যারা এই প্রয়োজনে সীমা অতিক্রম করবে, তারা অবশ্যই তিরস্কার যোগ্য হবেন।

বিবাহিত স্ত্রী অথবা শরীয়ত সম্মত দাসীর সাথে শরীয়তের বিধি মোতাবেক কামনা বাসনা পূর্ণ করা ছাড়া ভিন্ন পন্থায় কামপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করা নিষিদ্ধ ও হারাম। উক্ত বর্ণনার আলোকে অধিকাংশ তাফ্সীরবিদের মতে হস্তমৈথুনও হারাম। (বয়ানুল কুরআন, কুরতুবী, বাহরে মুহীত)।

পঞ্চম গুণঃ আমানত প্রত্যর্পণ করা। আমানত শব্দের আভিধানিক অর্থ এমন প্রত্যেকটি বিষয় শামিল, যার দায়িত্ব কোন ব্যক্তি বহন করে এবং সে বিষয়ে কোন ব্যক্তির উপর আস্থা স্থাপন বা ভরসা করা হয়। এর অসংখ্য প্রকার আছে বিধায় এ শব্দটি মূল ধাতু হওয়া সত্ত্বেও একে বহুবচনে ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে যাবতীয় প্রকার এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। হুক্কুল্লাহ্ অর্থাৎ আল্লাহর হক সম্পর্কিত আমানত হোক, কিংবা হুক্কূল ইবাদ তথা বান্দার হক সম্পর্কিত হোক। আল্লাহর হক সম্পর্কিত আমানত হচ্ছে, শরীয়ত আরোপিত সকল ফরয ও ওয়াজিব পালন করা এবং যাবতীয় হারাম ও মাকরূহ বিষয় থেকে আত্মরক্ষা করা। বান্দার হক সম্পর্কিত আমানতের মধ্যে আর্থিক আমানত যে অন্তর্ভুক্ত, তা সুবিদিত।

আরও পড়তে পারেন-

অর্থাৎ- কেউ কারো কাছে টাকা পয়সা আমানত রাখলে তা তার আমানত। একে প্রত্যর্পণ করা পর্যন্ত এর হেফাযত করা তার আবশ্যকীয় দায়িত্ব। তাছাড়া কেউ কোন গোপন কথা কারো কাছে বললে তাও তার আমানত। শরীয়ত সম্মত অনুমতি ব্যতিরেকে কারো গোপন তথ্য ফাঁস করা আমানতের খেয়ানতের অন্তর্ভুক্ত। মজুর ও কর্মচারীকে অর্পিত কাজের জন্য পারস্পরিক সমঝোতা ক্রমে যে সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়, তাতে সেই কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা এবং মজুরী বা চাকুরীর জন্য নির্ধারিত সময়ে সে কাজই করা এবং অন্য কাজ না করাও আমানতের অন্তর্ভুক্ত। কাজে ফাঁকি দেয়া ও সময় চুরি করা বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। এতে জানা গেল যে, আমানতের হেফাযত ও তার হক্ আদায় করার বিষয়টি অত্যন্ত সুদূর প্রসারী অর্থবহ।

ষষ্ঠ গুণঃ  অঙ্গীকার পূর্ণ করা। অঙ্গীকার বলতে প্রথমতঃ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বোঝায়, যা কোন ব্যাপারে উভয়পক্ষ অপরিহার্য করে নেয়। এরূপ চুক্তি পূরণ করা ফরয। এবং এর খেলাফ করা বিশ্বাসঘাতকতা তথা প্রতারণার শামিল, যা নিশ্চিত হারাম। দ্বিতীয় প্রকার অঙ্গীকার হচ্ছে ওয়াদা তথা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা। অর্থাৎ একতরফাভাবে একজন অন্য জনকে কিছু দেয়ার বা অন্যজনের কোন কাজ করে দেয়ার ওয়াদা করা। এরূপ ওয়াদা পূর্ণ করাও ওয়াজিব। শরীয়তসম্মত ওযর ব্যতিরেকে ওয়াদা খেলাপ করা গোনাহ্। উপরোক্ত উভয় প্রকার অঙ্গীকারের মধ্যে পার্থক্য এই যে, প্রথম প্রকার অঙ্গীকার পূর্ণ করার জন্য প্রতিপক্ষ আদালতের মাধ্যমেও বাধ্য করতে পারে, কিন্তু এক তরফা ওয়াদা পূর্ণ করার জন্য আদালতের মাধ্যমে বাধ্য করা যায় না। ধর্মপরায়ণতার দৃষ্টি ভঙ্গিতে ওয়াদা পূর্ণ করা ওয়াজিব এবং শরীয়তসম্মত ওযর ব্যতিত এর খেলাফ করা গোনাহ্।

সপ্তম গুণঃ নামাযে যত্নবান হওয়া। নামাযে যত্নবান হওয়ার অর্থ নামাযের পাবন্ধী করা এবং প্রত্যেক ওয়াক্ত নামায মোস্তাহাব ওয়াক্তে আদায় করা। (রুহুল-মা’আনী)। এখানে পাঁচ ওয়াক্তের নামায বোঝানো হয়েছে। যেগুলো মুস্তাহাব ওয়াক্তে পাবন্দী সহকারে আদায় করাই উদ্দেশ্য।

শুরুতেও নামাযের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে নামাযে বিনয় ও নম্রতার কথা বলা উদ্দেশ্য ছিল। নামায ফরয হোক অথবা ওয়াজিব, সুন্নাত কিংবা নফল হোক, নামায মাত্রই হচ্ছে বিনয় ও নম্র হওয়া, অর্থাৎ ‘খুশূ’। গভীরভাবে একটু ভেবে দেখলে মনে হয় যে, উল্লিখিত সাতটি গুণের মধ্যে যাবতীয় প্রকার আল্লাহ্র হক ও বান্দার হক এবং এতদসংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান প্রবিষ্ট হয়ে গেছে। যে ব্যক্তি উপরোক্ত এসব গুণে গুণান্বিত হয়ে যায় এবং এতে অটল থাকে, সে কামেল মু’মিন এবং ইহকাল ও পরকালে সাফল্যের হকদার।

এখানে এ বিষয় প্রণিধান যোগ্য যে, এই সাতটি গুণ শুরুও করা হয়েছে নামায দ্বারা এবং শেষও করা হয়েছে নামায দ্বারা, এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, নামাযকে নামাযের মত পাবন্দী ও নিয়ম-নীতি সহকারে আদায় করলে অবশিষ্ট গুণগুলো আপনা আপনি নামাযীর মধ্যে সৃষ্টি হতে থাকবে।

উল্লিখিত গুণে গুণান্বিত লোকদেরকে দশম আয়াতে জান্নাতুল ফেরদাউসের উত্তরাধিকারী বলা হয়েছে। উত্তরাধিকারী বলার মধ্যে ইঙ্গিত আছে যে, মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি যেমন উত্তরাধিকারীর মালিকানায় আসা অমোঘ ও অনিবার্য, তেমনি উপরোক্ত এ সব গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিদের জান্নাতে প্রবেশও সুনিশ্চিত।

প্রবন্ধে বর্ণিত গুণগুলো অর্জন ব্যতিরেকে মু’মিন হওয়ার বাসনা দূরাশা মাত্র। প্রত্যেক মু’মিন বান্দাই মুসলমান বটে। কিন্তু মুসলমান মাত্রই মু’মিন নয়। আল্লাহ্ তাআলা মু’মিনদের যে সাতটি গুণ বর্ণনা করেছেন, তা আমাদের অনেক জনের মধ্যেই পুরোপুরিভাবে পাওয়া দুস্কর। একমাত্র খাঁটি মু’মিন বান্দারাই সরাসরি জান্নাতে গমনের অনুমতি পাবেন। যেহেতু আমরা মুসলমান। আমাদের প্রত্যেকেরই খাঁটি মুসলমান হওয়া অপরিহার্য। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই এসব গুণ অর্জন করা জরুরী তথা ফরয।

উপরোক্ত গুণাবলী অর্জনের জন্য ‘খুশূ’ এর সাথে মুস্তাহাব ওয়াক্তে নামায আদায়ের প্রতি অধিক যত্নবান হওয়া উচিত। বাস্তবিকই  একজন মুসলমান যখন সঠিকভাবে নামায আদায়ে সমর্থ হবেন, তখন তার পক্ষে মু’মিনের অন্যান্য গুণ অর্জন করা সহজতর হবে। একজন মুসলমান এবং কাফিরের মধ্যে পার্থক্য একমাত্র নামায। নামাযই বেহেশতের চাবি, এই মর্মে হাদীস রয়েছে। তবে দুনিয়ার প্রতি অধিক মনোযোগী ব্যক্তির পক্ষে নামাযে মনোযোগী হওয়া দুরূহই বটে।

মু’মিনের গুণসমূহ অর্জনের লক্ষে আমাদের সকলকে নামাযের প্রতি গভীর মনোনিবেশ করতে হবে। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, নামাযের মধ্যে যারা চুরি করে অর্থাৎ সঠিকভাবে নামাযের রুকনসমূহ আদায় করে না, তারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর। বর্তমানে আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ মসজিদ থাকা সত্ত্বেও ‘খুশূর’ সাথে নামায আদায়কারী মুসল্লিদের সংখ্যা অতি নগণ্য। তাই তো সমাজ আজ উল্টো পথে শান্তি খুঁজছে।

তাই আসুন, আমরা প্রত্যেকেই নামাযের প্রতি অধিক যত্নবান হই এবং অন্তরকে পবিত্র রাখতে তথা শিরকমুক্ত রাখতে সাধ্যমত চেষ্টা করি।

প্রকৃতপক্ষে মুসলমানরা যখন খাঁটি মু’মিন হতে পারবে, তখন সমাজে নিশ্চিতভাবে শান্তি নেমে আসবে। বিকল্প যে কোন পথে শান্তি সুদূর পরাহত। শুধু বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কখনোই সম্ভবপর নয়। আসুন আমরা সকলে এ ব্যাপারে মনোযোগী হই। আল্লাহ্ তাআলা মেহেরবানী করে আমাদের সকলকে খাঁটি মুসলমান হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমিন॥

লেখক: শায়খুল হাদিস- তিলপাড়া মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, খিলগাঁও, ঢাকা ও মিফতাহুল উলূম মাদ্রাসা, বাড্ডা, ঢাকা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক- সানমুন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, নয়াপল্টন, ঢাকা।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।