Home ধর্মীয় প্রশ্ন-উত্তর তাকবীরে তাশরিক সম্পর্কিত কয়েকটি জরুরী মাসআলা

তাকবীরে তাশরিক সম্পর্কিত কয়েকটি জরুরী মাসআলা

।। মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ ক্বাসেমী ।।

প্রশ্নঃ ১|তাকবীরে তাশরিক পড়ার বিধান কি?
উত্তরঃ যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত তাকবীরে তাশরিক একবার পড়া ওয়াজিব। (সূত্র- ফাতাওয়ায়ে তাতার খানি, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা- ৬৩৪-৬৪০)।

প্রশ্নঃ ২|তাকবীরে তাশরিক পড়া কার উপর ওয়াজিব?
উত্তরঃ বালেগ, মুকিম, মুসাফির, পুরুষ, মহিলা, ইমাম, মুক্তাদী, একাকী বা জামাতে নামায আদায়কারী প্রত্যেকের উপর তাকবীরে তাশরিক ওয়াজিব। (সূত্র- ফাতাওয়ায়ে শামি, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা- ১৭৯)।

প্রশ্নঃ ৩|তাকবীরে তাশরিক কি শুধু ৯ই যিলহজ্জ থেকে ১৩ই যিলহজ্জ এর মধ্যেই নির্দিষ্ট?
উত্তরঃ ৯ই যিলহজ্জ থেকে ১৩ই যিলহজ্জ পর্যন্ত তাকবীরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। তবে যিলহজ্জ এর চাঁদ দেখার পর থেকে শুরু করা উত্তম৷(সূত্র- তুহফাতুল ক্বারি, খন্ড- ৩, পৃষ্ঠা- ২৯৬)।

প্রশ্নঃ ৪|ঈদের নামায ওয়াজিব। আর তাকবীরে তাশরিক পড়ার বিধান হলো ফরজ নামাজের পর। তাহলে কি ঈদের নামাজের পরও তাকবীরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব?
উত্তরঃ ঈদের নামাজের পর তাকবীরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব নয়। তবে কেউ চাইলে পড়তে পারে। (সূত্র- ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়া, খন্ড- ৮, পৃষ্ঠা- ৪৪৫ এবং রদ্দুল মুহতার, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা- ১৭৯)।

প্রশ্নঃ ৫|তাকবীরে তাশরিক কতবার পড়ার বিধান রয়েছে?
উত্তরঃ তাকবীরে তাশরিক ১ বার পড়া ওয়াজিব। একাধিক বার চাইলে পড়তে পারে যদি ওয়াজিব মনে না করা হয়। (সূত্র- দুররুল মুখতার, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা- ১৭৭)।

আরও পড়তে পারেন-

ওজন দরে গরু ক্রয় করে কুরবানী করা জায়েয হবে কি?

রাসূলুল্লাহ (সা.)এর দাম্পত্য জীবনে খাদিজা (রাযি.)এর ভূমিকা

কুরবানী এলেই তাদের পশুপ্রেম বেড়ে যায়!

ইসলামে কুরবানীর বিধান সুস্পষ্ট: এর বিকল্প অন্য কিছুতে হতে পারে না

বিদেশনীতিতে প্রবল ধাক্কা খেল ভারত

প্রশ্নঃ ৬|পুরুষরা তাকবীরে তাশরিক কিভাবে পড়বে আর মহিলারা কিভাবে পড়বে?
উত্তরঃ পুরুষরা তাকবীরে তাশরিক উচ্চস্বরে পড়বে। আর মহিলারা আস্তে আস্তে পড়বে। (সূত্র- দুররুল মুখতার, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা- ১৭৯)।

প্রশ্নঃ ৭|ফরজ নামাজের পর তাকবীর পড়তে ভুলে গেছে এবং এখনও মসজিদে অবস্থান করছে। তাহলে তার তাকবীরের বিধান কি?
উত্তরঃ মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বেই তাকবীরে তাশরিক পড়ে নিবে। (সূত্র- দুররুল মুখতার, খন্ড- ৩, পৃষ্ঠা- ৬৩ এবং বাদায়েউস সানাঈ, খন্ড- ১, পৃষ্ঠা- ৪৬১)।

প্রশ্নঃ ৮|তাকবীরে তাশরিকের দিনগুলোর কোনো নামায কাযা হলে তাকবীরে তাশরিকের বিধান কি?
উত্তরঃ তাকবীরে তাশরিকের দিনগুলোর কোনো নামায কাযা হলে যদি তাকবীরের দিনগুলোতে কাযা নামায আদায় করে তাহলে তাকবীর পড়তে হবে। আর তাকবীরের ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আদায় করলে তাকবীর পড়তে হবে না। (সূত্র- রদ্দুল মুহতার, খন্ড- ৩, পৃষ্ঠা- ৬৩ এবং বাদায়েউস সানাঈ, খন্ড- ১, পৃষ্ঠা- ৪৬৪ এবং ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, খন্ড- ১, পৃষ্ঠা- ২১৩)।

প্রশ্নঃ ৯|তাকবীরে তাশরিকের দিনগুলোর পূর্বের কোনো কাযা নামায তাকবীরে তাশরিকের দিনগুলোতে আদায় করলে কি তাকবীরে তাশরিক পড়তে হবে?
উত্তরঃ তাকবীরে তাশরিকের দিনগুলোর পূর্বের কোনো কাযা নামায তাকবীরে তাশরিকের দিনগুলোতে আদায় করলে তাকবীরে তাশরিক পড়তে হবে না। (সূত্র- রদ্দুল মুহতার, খন্ড- ৩, পৃষ্ঠা- ৬৩ এবং বাদায়েউস সানাঈ, খন্ড- ১, পৃষ্ঠা- ৪৬৪ এবং ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, খন্ড- ১, পৃষ্ঠা- ২১৩)।

প্রশ্নঃ ১০|মাসবুক যদি ইমামের সাথে তাকবীরে তাশরিক পড়ে ফেলে, তাহলে তার নামাজের বিধান কি?
উত্তরঃ মাসবুক যদি ইমামের সাথে তাকবীরে তাশরিক পড়ে ফেলে, তাহলে তার নামায নষ্ট হবেনা। (সূত্র- দুররুল মুখতার, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা- ১৮০)।

– মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ ক্বাসেমী, ফারেগে- দারুল উলূম দেওবন্দ, শিক্ষক ও খতীব- জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসা।

উম্মাহ২৪ডটকম:এমএমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।