Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন ইসলামে কুরবানীর বিধান সুস্পষ্ট: এর বিকল্প অন্য কিছুতে হতে পারে না

ইসলামে কুরবানীর বিধান সুস্পষ্ট: এর বিকল্প অন্য কিছুতে হতে পারে না

।। ফয়েজ উল্লাহ ভূঁইয়া ।।

কুরবানী যার ওপর ওয়াজিব, তাকে এই বিধান পালনের জন্য হালাল পশু কুরবানীই দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটবাজার, ব্যবসা, বাণিজ্য অফিস, যাতায়াত ইত্যাদি করা গেলে শরীয়তের এই বিধানও পালন করা যাবে। এটি বছরে একবারই করা হয়। এই বিধানের বিকল্প বিধান কিংবা এটি বিলম্বিত করার কোন সুযোগ শরীয়তে নেই। যেমন হজ বিলম্বিত করার সুযোগ আছে। তবে কুরবানীর মতো হজের টাকাও অন্য ভালো কাজে দান করার সুযোগ নেই। গত কয়েকদিনে বিখ্যাত আলেমরা এই মত দিয়েছেন।

যারা আগ বাড়িয়ে কুরবানী নিয়ে মনগড়া মত দিচ্ছেন, কথা বলছেন এমনকি কোথাও কোথাও কুরবানী করা যাবে না নোটিশ দেয়ার মতো শরয়ী বিধান নিয়ে উদ্ধতপূর্ণ কাজ করছেন- এগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরী। শরীয়তের বিধান নিয়ে এমন মনগড়া কিছু করার সুযোগ কোন মুসলমানের থাকতে পারে না।

যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব তিনি উট, গরু, মহিষ- এগুলোর যে কোনএকটিকে ৭ জনে মিলে কুরবানী করতে পারেন। ছাগল দুম্বা হলে একটি করতে পারেন। একেবারে কম টাকা খরচ করে কুরবানী দেয়ার ইচ্ছা করলে তাতে ৮-১২ হাজার টাকার মধ্যেও কুরবানীর ওয়াজিব আদায় করা সম্ভব।

আরও পড়তে পারেন-

* ‘আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পেতে হলে সঠিক আক্বিদা-বিশ্বাসে ফিরে আসা জরুরী’

* বিশ্বব্যাপী একই দিনে ঈদ উদযাপন চিন্তা মনগড়া ও শরয়ী সিদ্ধান্ত বিরোধী

* পবিত্র ঈদুল আযহা ও কুরবানীর ফাযায়েল ও মাসায়েল

* ইসলামের পথে আমার জীবনকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি: অভিনেত্রী এ্যানি খান

* মওলানা বরকতুল্লাহ আমাদের ইতিহাসের কে হন?

যারা আগে লাখ লাখ টাকার পশু কিনে কুরবানী দিতেন- তা না করে শুধু ওয়াজিব আদায় মতো কুরবানী দিয়ে বাকী টাকা বিলিয়ে দিতে পারেন। তাতে কোন সমস্যা নেই।

এটাও মনে রাখতে হবে, গরীব অসহায় মানুষ সারা বছর গোস্ত খেতে পারে না। কুরবানীর গোস্ত তিনভাগ করে এক ভাগ নিজে খাওয়া, এক ভাগ আত্মীয়দের দেয়া এবং বাকী একভাগ গরীবদের মধ্যে বিতরণ করার নিয়ম। কুরবানীর চামড়ার হকদারও গরীবরা। ফলে কুরবানীর বিধানে গরীবদের কল্যাণ্যের বিষয় জড়িত রয়েছে। কুরবানীর পশু যারা পালন করেন তাদের স্বার্থের বিষয়ও রয়েছে। পশুর দাম না পেলে তারা অসহায় অবস্থায় পড়বেন। বহু কৃষক ও গরীব পরিবার কুরবানীতে পশু বিক্রির অপেক্ষায় লালন পালন করেন।

কুরবানীর উদ্দেশ্য আল্লাহর সুন্তুষ্টি। আর সেই কুরবানীটা হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর সুন্নাত হিসেবে মুসলমানদের ওপর ওয়াজিব বিধান হয়ে এসেছে। কুরআনেই সরাসরি কুরবানী করার জন্য বলা হয়েছে। রাসুল (স.) বলেছেন, আল্লাহ যাঁকে সামর্থ্য দান করলেন এবং সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যিনি কুরবানি করলেন না, তিনি যেন ঈদগাহে না আসেন।

জিলহজ্ব মাসের ১০, ১১, ১২ তারিখের মধ্যে কেউ নেসাব পরিমাণ মালের অধিকারি হলে অথ্যাৎ সাড়ে ৭ ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা বা সমমূল্যের অথের অধিকারি থাকলে তার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব।

– ফয়েজ উল্লাহ ভূঁইয়া, সাংবাদিক ও সমাজ চিন্তক।

উম্মাহ২৪ডটকম:এমএমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।